তার জন্য রইল ঘৃণা

ঘৃণা (সেপ্টেম্বর ২০১৬)

আতাউর রহমান আলিম
  • 0
মেয়েটির নাম লায়লী। চেহারা ছুরত দেখে রুপসীই বলতে হয়। বয়স চৌদ্দ হতে না হতেই বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু করে। একাধিক প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেও অবশেষে জামালের প্রস্তাব কে তার বাবা-মা আর ফিরিয়ে দেয়নি। জামালকে দেখতে সুদর্শন পুরুষদের মতই দেখায়। জামালের সাথে লায়লীর খুব মানাবে বলে জামালের বাবা-মা লায়লীর সাথে জামালের ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন করে। জামাল এসএসসি পরীক্ষায় এক বিষযে ফেল করেছে। জামালের বাবা একজন দরিদ্র কৃষক তাই জামাল আর দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দিতে পারেনি। জামালের যদিও কোন চাকুরি বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি তার পরও বাবা-মা শখ করে জামালকে বিয়ে করায়। বিয়ের কিছুদিন পর পাশের গ্রামের একজন পল্লী চিকিৎসক জামালকে একটি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ পদে চাকুরি দেয়। এতে করে জামাল একটা রুজি রোজগারের পথ খুঁজে পায়। আরও একটি সুখবর হল দুই বছর পর জামালের আনসার ব্যাটলিয়ানে সরকারি চাকুরি হয়। জামালের পোস্টিং হয় বান্দরবান। জামাল তার স্ত্রীকে নিয়ে বান্দরবান থাকে। এক বছর পরেই জামালের ঘরে ফুটফুটে এক মেয়ে সন্তান আসে। সুখি সংসার বলতে যা বুঝায় তা যেন জামালের সংসার। এভাবে পরবর্তী তিন বছরে জামালের সংসারে আরও দুইটি ছেলে সন্তান আসে। এখন এক মেয়ে ও দুই ছেলের বাবা-মা হন জামাল ও লায়লী।
জামাল তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে অনেক সুখেই দিন কাটাচ্ছিল। কথায় বলে “সুখে খাইতে ভুতে কিলায়” তাই জামালের ইচ্ছে হল গ্রামের বাড়ীতে জমি কিনে একটি নতুন বাড়ী করতে। গ্রামের মাঝখানে রাস্তার পাশে আট শতাংশ জমি কিনে একটি নতুন বাড়ী করল। এবার নতুন বাড়ীতে থাকার জন্য জামালের স্ত্রী তিন সন্তানকে নিয়ে বান্দরবান থেকে গ্রামে চলে আসল। আর জামাল চাকুরিতে বান্দরবান রযে গেল। জামাল ছুটিতে গ্রামে এসে ছেলেমেয়েদের পড়া লেখার জন্য অনার্স পড়ুয়া চাচাত ভাই নাজমুলকে গৃহ শিক্ষক হিসেবে ঠিক করে। কিছুদিনের মধ্যেই গৃহ শিক্ষক নাজমুলের সাথে জামালের স্ত্রীর সাথে আস্তে আস্তে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে। জামালের নতুন বাড়ী, আশে পাশে কোন বাড়ী ঘর নেই। সেই সুযোগে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক আরও গাড় হতে থাকে। অপরদিকে জামালের নতুন বাড়ী পাহারা দেয়ার জন্য জামালের বাবা রাতে এসে থাকে। জামালের স্ত্রী একদিন তার শশুরকে বলছে “আব্বা আপনি মুরুব্বি মানুষ, বাড়ি পাহাড়া দেয়ার জন্য আপনি কষ্ট না করে নাজমুলকেও তো দায়িত্বটা দিতে পারেন”। জামালের বাবা সহজ সরল বয়স্ক মানুষ, ছেলের বউর কথায় নাজমুল কে বাড়ী পাহাড়া দেয়ার প্রস্তাব দেয়। নাজমুলের জন্য বিষয়টা এমন হল যে, কবুতরের বাচ্চা যেন শিয়ালের মুখের কাছে এনে দেয়া। নাজমুল চাচা কে বলল “চাচা আপনি কোন চিন্তা করবেন না, আমি সবই দেখে ঠিকঠাক রাখব”। পনের বিশ দিন পরেই জামালের বাবা জানতে পারল যে নাজমুলের সাথে জামালের স্ত্রীর অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে। তখন নাজমুল কে নিষেধ করা হল যে, “তুমি আর জামালের বাড়ীতে যেতে পারবে না”। সেই সাথে জামালের বাবা জামালকে ফোন করে ছেলের বউর পরকীয়ার কথা জানালেন।
অন্যদিকে জামালের স্ত্রী জামালের নিকট সবকিছু অস্বীকার করলো এবং তার শশুর তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সমাজে কলঙ্কিনী বানাতে চায় বলে অভিযোগ করলো। জামাল তার স্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করলো এবং তার বাবা কে ইচ্ছামত বকা ঝকা করলো। শুধু কি তাই? জামাল গৃহ শিক্ষক নাজমুলকে অবাধে নতুন বাড়ীতে আসা যাওযা করার অনুমোতি দিল। জামালের স্ত্রী আর নাজমুলের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর করতে আর কোন বাধা থাকলো না। তিন চার মাস পর জামালের স্ত্রী চাঁদের ন্যায় ফুটফুটে এক মেয়ে ও অবুঝ দুই ছেলের মায়া ত্যাগ করে সুখের সংসার তছনচ করে নাজমুলের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে নাজমুলকে বিয়ে করে নতুন সংসার করা শুরু করলো। সমাজের ছোট বড় সকলের মুখে একই কথা, এমন ফুটফুটে সন্তানগুলো রেখে কোন মা অন্যর হাত ধরে পালিয়ে যেতে পারে? এমন লোকদের জন্য ঘৃণা ছাড়া আর কি থাকতে পারে?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Lutful Bari Panna গল্প বেশ পরিচিত। আর বর্ণনা খুব সাদামাটা লাগলো। যেনো মেল ট্রেনের গতিতে ছুটছে। ভবিষ্যতে ভালো হবে।
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আতাউর রহমান আলিম আপনার দুয়া চাই ।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আহা রুবন নিজে ঘন ঘন গ্রামের বাড়ি যাই। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। এটার বড় একটা কারণ কিছু টাকা হলেই সবার বাপ-ভাইকে আর ভাললাগে না। ধানের জমিতে গিয়ে বাড়ি করে। পরণামে যা ঘটার... খুব ভাল লিখেছেন, জীবন থেকে নেয়া। শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আপনার দুয়া চাই
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
পন্ডিত মাহী গল্পে বর্ননার গতিটা একটু লাগাম টেনে ধরলে আরো ভালো হবে।
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আপনার দুয়া চাই।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
রীতা রায় মিঠু এত অল্প কথায় এমন বাস্তব গল্প কি করে লিখতে পারলে? খুব ভালো লেগেছে।

০২ আগষ্ট - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪