অপরাজিতা কেমন আছো তুমি ?
ভালো যে নেই তা আমি জানি।
আমার উপর ক্ষোভ আর
কষ্ট নিয়ে কি ভাবে ভালো
থাকবে। তোমার প্রতিটি দীর্ঘ
শ্বাসের ধ্বনি আমার হৃদয়ে বাজে।

আমি বললাম—কীরে? কী হলো? অমন ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছিস কেন?
মারুফ হতভম্বের মতো আমার দিকে চেয়ে বলল—ও তুই! ভেড়া নোস?
আতি তাজ্জব হয়ে বললাম—আমি ভেড়া হতে যাব কোন দুঃখে?
মারুফ বলল—কেন, দুঃখ না পেলে কী ভেড়া হওয়া নিষেধ?

কিছু মানুষ থাকে যারা খেলতে ভালবাসে। কিছু মানুষ ভালোবাসে জিততে। কেউ জয় অর্জনের জন্য থাকে অপেক্ষায়। আর কেউ জয়কে কেড়ে নিতে হয় বেপরোয়া। একজন প্রেমিক, দস্যু অন্যজন। ক্ষ্যাপা দুজনেই। এ গল্পের চরিত্র আল আহসানও ছিল এক ক্ষ্যাপাই।

এইবার দেখছি এর একটা বিহীত না করলে নয় । আর মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা । আবার সবকটা বই উধাও । অবশ্য এই বাড়িতে বই উধাও হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয় । প্রত্যেক মাসের শেষে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার মতো এটিও একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নিয়ে মোট ২৯৯ খানা বই উধাও ।

আচমকা মল্লিকবাবুর খেয়াল হয় আয়নার কথা। আয়নায় তার নিজের চেহারার কথা। সম্মুখের দেয়ালের দিকে চোখ পড়ে মল্লিখবাবুর। চমকে ওঠে সে। এখানে আয়না কোথায়! এর মধ্যে কেউ সরিয়ে ফেলেনিতো! ‘তাড়াতাড়ি ডাক্তার বাবুকে ডাক্’ ।

"মানুষ যেন আর কাউকে বিশ্বাস করে না । পৃথিবীর কোন মানুষকেও না । এমনকি নিজের ভাই বোনকেও না । মানুষ বড়ই স্বার্থপর । নিজের স্বার্থ ফুরালে সবাই কেটে পরে ।" কাতার প্রবাসী শ্রমিক আনিস দুঃখ করে এই কথাগুলো বলতেছিল ।

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়াটা নিশ্চিন্ত ছিলো , শুধু স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়াটা ছিলো সময়ের ব্যাপার ।

পাষণ্ড টা আজও গলির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। আজ সাত দিন ধরে একি ভাবে আমার প্রাইভেটে যাবার সময় দাঁড়িয়ে থাকে। ওপাড়ার ছেলে জ্যাক। নাম তার জেকি। পাড়ায় বলে বেড়ায় জ্যাক। পড়ালেখার ছিটেফোঁটাও নাই।

এটা কোনো গাল-গল্প নয়, বাস্তব ঘটনা। মেয়েটি গত দশ-পনেরো দিন আগে আমাকে ফোন করে বললো, ‘স্যার আমাকে বাঁচান, আমি একটি কিডনী বিক্রি করবো।’

আমি মেয়েটির মুখে এ কথা শুনে কিছুক্ষণ থ’ বনে গেলাম। উত্তর দিতে পারলাম না। তারপর তাকে প্রশ্ন করলাম, ‘আপনার বাড়ি কোথায়?’

সে বললো, ‘আমার বাড়ি রংপুর।’

প্রতিবছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশ থেকে তারা মেধাবী, গুণী মানুষদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করে । তাদের মেধাকে তারা সম্মান জানায় তাদের মুদ্রার মাধ্যমে, উন্নত জীবনযাত্রার মাধ্যমে । তারা এই গুণী মানুষদের সুযোগ দেয় কাজ করার,

পূজার বন্ধে বাড়ী চলে এলাম। তফিজ মিয়া ভাইও তাঁর ছেলেদেরকে নিয়ে বাড়ী এলেন, মোজাহারও এলো। সকলেরই বন্ধ হয়েছিল। তফিজ মিয়া ভাই তাঁর ছেলেদেরকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন, তাঁর স্ত্রী থাকতেন বাড়ীতে।

রফিক নিজের বিছানায় জড় বস্তুর মতো পড়ে থাকে। তার বিছানাটি বেশাবেশি আরাম দায়ক। এ বিছানায় শুলে আর উঠতে মন চায় না। রফিক ঠিকমতো উঠতে পারেনা। লেখা-পড়াতেও ক্ষতি হয়। ঠিকমতো ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনা। কখনো কখনো অনেক দেরীতে ঘুম ভাঙ্গে।

শহর থেকে অনেক দূরে, সরলা নদীর ধারে। প্রকৃতির অতি সন্নিকটে। যেখানে কোনো পাকা রাস্তা নেই, আছে কেবল গাঁয়ের মেঠো পথ। যেখানে কোনো হাসপাতাল নেই, আছেন স্বয়ং আলম কবিরাজ।

মানুষ কেন সিগারেটের প্যাকেটের মতো হয় না? সিগারেটের প্যাকেটের মতো মানুষের দেহে লেখা থাকা উচিত আমাকে গ্রহন করা মানে মৃত্যুকে ধীরে ধীরে গ্রহন করা অথবা আমাকে অতিরিক্ত ভালোবাসা তোমার জন্য ক্ষতিকর যেমন করে অতিরিক্ত ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর!

সে, দেশের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নিয়ে ঢাকায় ভালো একটি চাকরি করছে। কিন্তু চাকরিটা সে ছেড়ে দিতে চায়। দেশের বিপথগামী-মানুষগুলোকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য সে নিজেদের গ্রামে মানুষগড়ার একটি কারখানা গড়ে তুলতে চায়।