বৃষ্টির দিনে যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে আমাদের মেসের প্রায় প্রতিটি সদস্য খোশগল্পে মেতে ওঠেন। রাজীব ভাইয়া আমাদের মধ্যে সবার বড়।

রাত তখন দশটা। আমরা চারজন বাজার থেকে নানার বাড়ি যাচ্ছিলাম। চারিদিকে সুনসান নিরবতা। ঘুমোট অন্ধকারে চেয়ে আছে পথঘাট। নানার বাড়ির যাওয়ার পথ ছিল দুইটি: একটি চা বাগানের মধ্য দিয়ে অন্যটি তেঁতুল গাছের তলা দিয়ে।

ঐ তো ওরা আবার এদিকেই আসছে। নাহ! এ নীতু নয়, পেছন থেকে আর সাইড থেকে দেখতে নীতুর আদল আসে, মুখখানায় নীতুর সাথে কোন মিল নেই। কী আশ্চর্য্য, এত বছর বাদে কেন একটি মেয়েকে পেছন থেকে দেখে নীতুর কথা মনে এলো!

একটা সময় ছিল, যখন ভূতের গল্প শোনার আগ্রহে মনটা আঁকুপাঁকু করত।

চেয়ার আর সুইচবোর্ডেরও একটা সম্পর্ক থাকে তা কেবল দীনেশবাবু ছাড়া আর কেউ জানে না ।

রাজারাম জীবনে বহু ব্যবসা করেছে. কিন্তু কোনো ব্যবসাতেই থিতু হতে পারেনি.ইদানিং সে একটা নতুন ব্যবসা ফেন্দেছে.রাজারামের কথায় বলতে হয়

বেশ কয়েকদিন ধরেই দিনগুলো ভালো যাচ্ছে না ফজুর। ভালো নাম আবুল ফজল। সবাই ফজু বলেই ডাকে। ধামালিয়া লঞ্চ ঘাটে কুলি মজুরের কাজ করে সে।

॥এক॥

সকাল সাড়ে ছয়টার মত বাজে।বিছানায় চিত্
হয়ে শুয়ে আছে সজল।আধো ঘুম আধো জাগ্রত।

বারান্দায় এসে ফস করে দেয়াশলাই টা জ্বালালো রাজীব; ঝিমঝিমে একটা ভাব এসে গিয়েছিল এতক্ষন, সিগারেটটার মাথায় আগুন জ্বালিয়ে একরাশ ধোঁয়া

খোলা ছাদ। একান্তে পায়চারি করতে মন্দ লাগছিল না। ফুরফুরে বাতাস দিচ্ছে। স্যান্ডোগেঞ্জি পরিহিত কেদারের মন মেজাজ বেশ প্রসন্ন হয়ে উঠল। চারিদিকে বরফের চাঁইয়ের মতো জমাট নিটোল অন্ধকার।

ছুটতে ছুটতে উঁচু টিলাটার চূড়ায় উঠে গেল ইয়াসিন। এতক্ষণ ও খুব হাসছিল, কারণ বড় ভাই ওমর–কে এই প্রথম দৌড়ে হারিয়ে দিয়েছে সে। বিস্তৃত চৌকোনো

এমন কি আকাশে চাঁদও নেই। আধা ঘণ্টা ধরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি, একটা চিকন হওয়া এসে বার বার আমার গায়ে ধাক্কা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে আমার চিৎকারে মনে হয় পুর ঢাকা জেগে গিয়েছিল, শায়েলা জেগে জিজ্ঞাস করল কি? আবার সেই স্বপ্ন,

শেরে বাংলা হলের ৪০৪ নং রুমের তালা খুলে ভিতরে ঢুকতেই মেঝেতে পরে থাকা খামটা নজরে এলো সাহেদের। ছোঁ মেরে খামটা তুলে এপিঠ ওপিঠ

আমি তখন ক্লাশ সেভেন এ পড়ি। তখন ছিল বর্ষাকাল। আমাদের গ্রামের পাশেই ছিল হাই স্কুল। সেই স্কুলে এক সাথে লেখাপড়া করতাম আমি ও শিহাব।

শহরতলির রাস্তা বড় অদ্ভুত! কিছু একটা দেখতে পেলেই লোকের ভিড় জমে যায়। সময়টা ভোর হোক বা সন্ধ্যে। আর এ তো রাস্তার ধারে পড়ে থাকা লাশ দেখা!