এক মুঠো শিউলী গুঁজে রেখেছি তোমার পাটভাঙা শাড়ির ভাঁজে...
বিছানাতে আলগোছে সাজিয়ে রেখেছো,
এখনি বুঝি কাক ডুব সেরে জড়িয়ে নেবে গায়ে।

আমার যেমন লাজুক স্বভাব,
একলা ঘরে
অন্ধকারে।
অগোচরে সবাই কেমন হয় অবাক!
বাইরে দেখি-
ছুটছে জীবন অবলীলায়,
গাড়ীর চাকায়

প্রেমিকা হারানোর ভয়ে
প্রেমিকার লাশ নিয়ে
শোকে মাতে হলি খেলায়!

জীবনের কোন এক অংশে পূর্ণতা প্রাপ্তির জন্য,
আমি ছুটে গিয়েছিলাম তোমার কাছে।
সদ্যবিবাহিত পুরুষ যেমন করে ছুটে যায়,
তার বউয়ের কাছে।

যেদিন ধরেছিনু মোর হস্তদ্বয়
ঐ কোমল পরশের আভায়,
হিরক জ্যোতির ন্যায় আলোক
রশ্মি জ্বলেছিল মোর হৃদয়।

ভালোবাসার আবেগ ধরে হাত,
ছুঁতে চায় চিবুক। ভাবেনি আগে
এত কোলাহল হবে একটু আলিঙ্গনে।
নির্মম আঘাতে শালীনতার শাসন
খুঁজবে লজ্জার আবরন।

ওদিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীটিও মা হয়
ধরণী কাঁপে তার চিৎকারে,
তোমাদের নির্মমতায় - তোমাদের পাপের গ্লানিতে
মলিন হয় সূর্যের রঙ! কালো মেঘে ঢেকে যায় চাঁদ!
এ লজ্জাটুকু কার?

বেশ হাসিমুখ দেখছি তোমার কত নিলে ভাই
আরে বেশি নিতে পারি নাই এই সামান্য কিছু
তা কঠিন ছিল বুঝি এবারের খদ্দের তোমার
বলতেই পারো এ্যায়ছা কৃপণ ঘুরতে হয়েছে পিছু পিছু।

এসেছে বৈশাখ, থেমেছে বসন্তের আয়োজন,
তবুও চারপাশে কোকিলের বেসুরো কলতান
নববর্ষের দোলা লাগল মনে,
হৃদয় বীণা বাজল ছন্দে
জীবন চলবে আপন গতিতে,

কিন্তু হায়! জিঘাংসার বীজ গজায় তরতরে তোমাদের সমাজ পটে
ধানক্ষেত, নদী, সমুদ্র, চর, বস্তি, পুকুর ঘাটে।
বাতাসে লাশের গন্ধ, লাশের গন্ধ জলে
রাস্তায় রাস্তায় হাহাকার, রুগ্ন জনপদ শবদেহের যাঁতাকলে।