বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতার মেজাজ ও বাড়তে থাকে। বদমেজাজ। কে এই নেতা? আগে তার একটু পরিচয় জানা দরকার। তিনি শফিউদ্দিন শফি। শান্তিপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা।

তীর ছোঁয়া পানির মতো এ গাঁয়ে যাদের বয়স কবর ছুঁইছুঁই করছে, ওরা বলে গহরের দাদা লোকটা বেরসিক, কাঠখোট্টা। এক আধটু বিলাসিতা, সামান্য আহ্লাদও প্রশ্রয় পায়নি ওর কাছে। আড়ংয়ে এক ঘন্টা ঘ্যানঘেনের পরেও দু'গাছি কাঁচের চুড়ি কিনে দেয়নি নয়া বউকে।

‘ও মা, বাবায় কবে আইবো?’
ছেলের প্রশ্ন শুনে রোজিনা ঘাড় ঘু্রিয়ে তাকালো তার দিকে। পাটের শুকনো বাকল দলা পাকিয়ে পানি আর কাদা দিয়ে মাটির মেঝে নিকোচ্ছিল রোজিনা।

খুব ভোরবেলার দিকে যতীন সাহেব টেবিলে কাজ করতে করতে টুপ করে মরে গেল। এই মৃত্যুটি অকাল মৃত্যু না হলেও নামকরা ব্যাক্তিবর্গের মৃত্যুতে অকাল প্রয়াণ শব্দটি লিখবার সময় কলমের ডগায় চলে আসে।

যেদিন আমাদের দেশ স্বাধীন হলো , সেদিন সবার মতো আমিও সারারাত আনন্দ করে রাস্তায় কাটিয়েছিলাম । একটা সময় চাকরি থেকে অবসর নিয়ে এই হোটেলে কাজ করতে চলে এলাম ।

রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন সুবিচারের অাশা করা বোকামি ছাড়া অার কিছুই নহে। যারা রক্ষা করবে অাইন শৃঙ্খলা, যারা দমন করবে অপরাধ, তারাই বিশৃঙ্খলার হোতা অার নিজেরাই জড়িয়ে পরে অপরাধের সাথে।

'যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজ কথা বলতে এসেছি ,কখনও ভাবিনি যে এই অবস্থায় আমাকে কথা বলতে হবে'... এই পর্যন্ত বলে কবি আদিত্য গজেন হল ঘরের সিলিংয়ের দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।

বাইরে ভীষণ ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। চুপচাপ বসে বসে নানা কথা ভাবছি। ইলেক্ট্রিসিটিও নাই। টিমটিম করে মোমবাতিটা জ্বলছে। এমন সময় বাসার কলিং বেলটা বেজে উঠতেই আমার ভীষণ বিরক্ত লাগল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দশটা!

লতিফা তার মার কাছে জানতে চায়, ”মা তোমার কাছে একটা কথা জানতে চামু, আবার রাগ করবা না তো?
কি বলবি বল,আমার অনেক কাজ পইরা আছে। লতিফাকে তার মা বলতে বলল।
আচ্ছা মা , বাবাকে সবাই খুনি কালাম কইয়া ডাকে কেন? লতিফা জানতে চাইল।

একটানা সাতদিন ভ্যাপসা গরমের পরে গতকাল থেকে ঝমঝম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে; কিন্তু গরম গরম ভাবটা যাচ্ছে না। প্রকৃতির উত্তাপ কিছুমাত্র কমেছে বলেও মনে হয় না। প্রকৃতির মতো দেশের এরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সবার চোখের পানি যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরছে।