একটি রাত্রির হাজারটি মহাকাব্যের কথা বলি
চাঁদহীন আকাশে ছিলো লক্ষ-কোটি চাঁদ
অলক্ষ থেকে কেউ যেনো একটু একটু করে তাতিয়ে দিচ্ছিলো
কিশোরী জোছনার নৈর্ব্যত্তিক আবাদ!

ডিজিটাল নির্মেদ কথাবার্তা শেষ। বৈশ্যা অর্থাৎ বশির পলিব্যানারের আগলটা ফাঁক করে ঝুপড়িতে মাথা গলাল। পকেট থেকে ম্যাচ বের করে মোমবাতি ধরিয়ে দেখল হাসি অর্থাৎ হাসিনা – তার পোয়াতি বউ কাত হয়ে পাকুড় গাছের গুঁড়ির মত শুয়ে আছে। তার পোয়াতি হওয়ার অজুহাতে উত্তমমধ্যমের মাত্রা ইদানীং কম–বৈশ্যা শেষ বিচারে মানুষতো!

চট্টগ্রামের বাঁশখালির উপজেলার প্রেমাশিয়া গ্রামের ছেলে ফরহাদ । পাঁচ বছর আগে বিক্রমপুরের লৌহজংয়ে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। হঠাৎ সেখানেই মামাতো বোন শিউলির সাথে তার তুমুল প্রেম হয়ে যায়। শিউলি তখন মাত্র এইচ এস সি পরিক্ষা দিবে। ভরা বর্ষায় মামাতো ভাইকে সাথে নিয়ে পদ্মা নদীর পাড়ে বসে ঢেউ দেখে।কলেজে যেতে মন চায় না।

লতিফা তার মার কাছে জানতে চায়, ”মা তোমার কাছে একটা কথা জানতে চামু, আবার রাগ করবা না তো?
কি বলবি বল,আমার অনেক কাজ পইরা আছে। লতিফাকে তার মা বলতে বলল।
আচ্ছা মা , বাবাকে সবাই খুনি কালাম কইয়া ডাকে কেন? লতিফা জানতে চাইল।

রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন সুবিচারের অাশা করা বোকামি ছাড়া অার কিছুই নহে। যারা রক্ষা করবে অাইন শৃঙ্খলা, যারা দমন করবে অপরাধ, তারাই বিশৃঙ্খলার হোতা অার নিজেরাই জড়িয়ে পরে অপরাধের সাথে।

স্টাডি রুমের দরজায় ধাক্কা দিয়ে নানু নানু বলে ডাকছে চার বছরের জারিফ। এই নাতিটাকে নিয়ে তিন দিন ধরে চরম বিপাকে পরেছেন আবিদ সাহেব। ছোট বাচ্চা গায়ে হিসু করে দিলে যতটা না রাগ হয় সেই বাচ্চা কাজের সময় বিরক্ত করলে তার চেয়ে ঢের বেশি রাগ হয়।

খুব ভোরবেলার দিকে যতীন সাহেব টেবিলে কাজ করতে করতে টুপ করে মরে গেল। এই মৃত্যুটি অকাল মৃত্যু না হলেও নামকরা ব্যাক্তিবর্গের মৃত্যুতে অকাল প্রয়াণ শব্দটি লিখবার সময় কলমের ডগায় চলে আসে।

বাইরে ভীষণ ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। চুপচাপ বসে বসে নানা কথা ভাবছি। ইলেক্ট্রিসিটিও নাই। টিমটিম করে মোমবাতিটা জ্বলছে। এমন সময় বাসার কলিং বেলটা বেজে উঠতেই আমার ভীষণ বিরক্ত লাগল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দশটা!

সুখীবিলাসের সুখের সজ্ঞা সতন্ত্র ।এমন বিচিত্র নাম ও স্বভাবের বেহায়া লোক এ গ্রামের কেউ আগে দেখে নি ।লজ্জা ,ঘৃণা ,ভয় –এই তিনটের কোনটাই তার নেই । নামটাও নকল করা কিনা তাতেও সকলের সন্দেহ ।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতার মেজাজ ও বাড়তে থাকে। বদমেজাজ। কে এই নেতা? আগে তার একটু পরিচয় জানা দরকার। তিনি শফিউদ্দিন শফি। শান্তিপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা।