একদিন কেউ আমার দিকে তিনটা প্রশ্নের তির্যক বান ছুড়ে দিয়েছিল,
১. কতটা উত্তপ্ত হলে আগুন হওয়া যায়?
২. কতটা হালকা হলে বাতাস হওয়া যায়?
৩. কতটা নিচু হলে পথ হওয়া যায়?

আমি নিজের সবটুকু নিয়ে তোমাকে এই নিজেকে দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি এলে আবার চলে গেলে। তুলে রেখে গেলে এক দেয়াল। যে চায়না তাকে দিতে যাওয়ায় অযাচিত অধিকার নিয়ে বিরক্তি জন্মানোর ভয় থাকে।

খুব ভোরবেলার দিকে যতীন সাহেব টেবিলে কাজ করতে করতে টুপ করে মরে গেল। এই মৃত্যুটি অকাল মৃত্যু না হলেও নামকরা ব্যাক্তিবর্গের মৃত্যুতে অকাল প্রয়াণ শব্দটি লিখবার সময় কলমের ডগায় চলে আসে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালির উপজেলার প্রেমাশিয়া গ্রামের ছেলে ফরহাদ । পাঁচ বছর আগে বিক্রমপুরের লৌহজংয়ে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। হঠাৎ সেখানেই মামাতো বোন শিউলির সাথে তার তুমুল প্রেম হয়ে যায়। শিউলি তখন মাত্র এইচ এস সি পরিক্ষা দিবে। ভরা বর্ষায় মামাতো ভাইকে সাথে নিয়ে পদ্মা নদীর পাড়ে বসে ঢেউ দেখে।কলেজে যেতে মন চায় না।

বাইরে ভীষণ ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। চুপচাপ বসে বসে নানা কথা ভাবছি। ইলেক্ট্রিসিটিও নাই। টিমটিম করে মোমবাতিটা জ্বলছে। এমন সময় বাসার কলিং বেলটা বেজে উঠতেই আমার ভীষণ বিরক্ত লাগল। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত দশটা!

উল্কার বয়স কুড়ি বছর। দুই দশক অতিক্রমের ক্ষণটি সে স্মরণীয় করে রাখতে চায়। যেমন ইচ্ছে তেমন কাজ। বন্ধুদের দাওয়াত করল। আর সব বন্ধুকে বলল, দেখি তোদের মাঝে কে আমাকে সব থেকে বেশি খুশি করতে পারে।

একটানা সাতদিন ভ্যাপসা গরমের পরে গতকাল থেকে ঝমঝম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে; কিন্তু গরম গরম ভাবটা যাচ্ছে না। প্রকৃতির উত্তাপ কিছুমাত্র কমেছে বলেও মনে হয় না। প্রকৃতির মতো দেশের এরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সবার চোখের পানি যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরছে।

রাত্রি ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসে আয়না দেখে চুল আছড়াচ্ছিলো। বারোটা দিনের প্রতিটি মুহূর্ত তার ভেতর দিয়ে কি ঝড় যাচ্ছে, শুধু সেই জানে।
রাত্রি তো নারী, মানুষ নয়।

পোলা মাইয়ারা এইগুলাই কইরা খাইবো। পাশ, সার্টিফিকেট, ডিগ্রী এইগুলার দরকার নাই। এইগুলা ছাড়াই এরা মানুষ হইব। জীবন মোগো লইয়া অনেক খেলছে, এইবার মোরাও একটু খেলি।" হাসুর গলায় ক্ষোভ, ঘৃণা, অভিযোগ, সংকল্প আর অভিমানের মিশ্রন।

'যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজ কথা বলতে এসেছি ,কখনও ভাবিনি যে এই অবস্থায় আমাকে কথা বলতে হবে'... এই পর্যন্ত বলে কবি আদিত্য গজেন হল ঘরের সিলিংয়ের দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।