যতীন সাহেবের ছায়া

কাঠখোট্টা (মে ২০১৮)

পারভেজ রাকসান্দ কামাল
  • ২১
১) খুব ভোরবেলার দিকে যতীন সাহেব টেবিলে কাজ করতে করতে টুপ করে মরে গেল। এই মৃত্যুটি অকাল মৃত্যু না হলেও নামকরা ব্যাক্তিবর্গের মৃত্যুতে অকাল প্রয়াণ শব্দটি লিখবার সময় কলমের ডগায় চলে আসে। একটু যেন কোথায় হায় হায় ভাবটা বিরাজ করে ‘অকাল প্রয়াণ’শব্দটির মাঝে। এমনিতে নিরোগ শরীরের অধিকারী হলেও যতীন সাহেবের বয়সকাল যথেষ্ঠই হয়েছিল। বলতে গেলে মরবার বয়স তাঁর ক্রমেই পার হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ওই যে বলছিলাম তারকা শ্রেণীর নামকরা ব্যাক্তিবর্গের কথা। যতীন সাহেব অনেকটা সে রকমই। অনেকটা বললাম এই কারণে, তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য প্রকৌশলি। সোজা কথায় ‘প্রকৃষ্টরূপে কৌশলী’আর কি। তবে যতটুকু না প্রকৌশলবিদ্যায় নাম কামিয়েছিলেন তার থেকেও বেশি তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ কাঠকোট্টা আচরণের জন্য সবার কাছে এক নামে সুপরিচিত ছিলেন। বয়স সবার থেকে বেশী হওয়ার কারণে প্রকাশ্যে কেউ তাঁকে খুব বেশী ঘাটাত না। আড়ালে আবডালে যা একটু সমালোচনা করত। কটু বাক্য ব্যয় ছাড়া বোধহয় তিনি কথা বলতে পারতেন না। জীবনে দুই দুই বার বিবাহের পিড়িতে বসলেও শেষ পর্যন্ত কোন স্ত্রীর সাথে বেশিদিন সময় কাটাবার সুযোগ তিনি পান নি, ওই তাঁর কাঠকোট্টা স্বভাবের কারণে। তাই পরবর্তি প্রজন্মেরও পৃথিবীতে আগমন হয়নি।
নিজের বলতে যতীন সাহেবের প্রকৌশলসংক্রান্ত একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে জনা বিশেক কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্মরত আছেন। যতীন সাহেবের এই অকাল মৃত্যুতে সকলের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। এটার কারণ যতীন সাহেব নিজেই। মনে করবার কোন কারণ নেই যে, কর্মচারীরা যতীন সাহেবের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তাই ভেঙ্গে পড়েছেন। বরঞ্চ তাঁর এই মৃত্যুতে সকলে তাঁদের নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তিত। যৌবনের কোন এক কুক্ষণে তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। এতগুলো বছর এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে গিয়েছেন কিন্তু পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড এমনকি সঞ্চয়ও বেশি কিছুই করতে পারেন নাই। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে তাঁরা এই প্রতিষ্ঠানে পড়ে না থেকে অন্য কোথাও চলে যেতে পারতেন। তা হয়ত পারতেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে যতীন সাহেব ছিলেন বড় বাঁধা। যতীন সাহেবের এক অদ্ভুত গুণ ছিল। যে সমস্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী কে তাঁর মনে ধরত তাঁদের পায়ে এক অদৃশ্য শিকল পরিয়ে দিতেন। তাঁদের বিপদে আপদে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করা, প্রচুর লোন দেয়া ইত্যাদি। কিন্তু অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে কেউ চাকুরীর সুযোগ পেলেও তা নষ্ট করতে তিনি বিন্দুমাত্র কার্পন্য করতেন না।তাছাড়া প্রতিষ্ঠান ছাড়লে অনেকের নামে কোম্পানীর সম্পদ তছরুপের মামলা করবেন এই ভয়ও দেখাতেন তিনি। তারপরও দু’চার জন যারা শত ভয় ডর উপেক্ষা করে বেরিয়ে যেতে পেরেছেন তাঁরা বেচে গিয়েছেন। যার ফলে যতীন সাহেবের প্রতি কারোরই দরদ খুব বেশি উথলিয়ে উঠত না। যতীন সাহেবের আত্মীয়স্বজন খুব একটা বেশি ছিল না। আর যারা আছে তাঁরা ভয়ে এই অফিসের ছায়াও মাড়াত না। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানের ভার কে নিবে সেটাই সকলের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। সে যা হোক, যেহেতু যতীন সাহেবের নিজের বলতে আর কেউ ছিল না সেহেতু অফিসের সবাই মিলে তাঁর শেষকৃত্যটি শেষ করে ফেলল।
যতীন সাহেব মারা যাওয়ায় কথা বলার সুযোগ যখন পেয়েছি তখন আরেকটা কথা বলি, যে সমস্ত মাকাল ফল টাইপের (যতীন সাহেবের ভাষায়) কর্মচারীদের তিনি দু’চোখে দেখতে পারতেন না তাঁদেরকে অবশ্য দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন। এরকম কর্মচারীদের সংখ্যাও কম নয়। তার মধ্যে এই মূহুর্তে যার নাম মনে আসছে তিনি হলেন ফাহিম। শান্ত শিষ্ট গোবেচারা ধরণের একজন অমায়িক মানুষ। এই ভদ্রলোকের কথা মনে হওয়ার কারণ যতীন সাহেব তাঁকে এক প্রকার ঘাড়ে ধরে অফিস থেকে বের করে দিয়েছিলেন আর বহু অশ্রাব্য গালিগালাজ তো ছিলই। ফাহিম কাদতে কাদতে বের হয়ে চলে গিয়েছিলেন আর কোনদিন এই অফিসের ধারে কাছেও আসেন নি। কোন সহকর্মীর সাথেও যোগাযোগ করেন নি। তা প্রায় বিশ বছর আগের কথা।
২) ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু বিধি আড়ালে বসে মুচকি হাসলেন। যতীন সাহেবের মৃত্যুর কয়েক দিন পর তাঁর স্মরণে একটি শোক সভার আয়োজন করেছিল তাঁর অফিসের কর্মচারীরা মিলে। আসলে শোকসভার প্রধান উদ্দেশ্য সকলে সকলের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি তো বন্ধ হয়ে যাবে। সকলে লক্ষ করল এই শোকসভাতে ফাহিম এসে উপস্থিত। অনেকে কয়েকবার করে চোখ কচলাতে লাগল যে ভুল দেখছে কিনা। কিন্তু সকলের দৃষ্টিকে তাক লাগিয়ে ফাহিম এই শোকসভায় এসে পড়েছেন। ফাহিম বাংলাদেশের নির্মাণজগতে এক উজ্জল নক্ষত্রের নাম। পত্রিকা মারফত তিনি এই মৃত্যুর ও শোকসভার খবর জানতে পারেন। খবরটি পড়ে তাঁর হাত পা কাপতে লাগল। পরাক্রমশালী যতীন বাবু তাহলে মৃত্যুর কাছে পরাজিত হলেন। খবরটি দেবার জন্য ফাহিম তাঁর বর্তমান এমডি সাহেব লুৎফর রহমানের কক্ষে ঢুকলেন।
সব শুনে লুৎফর রহমান বললেন, ‘কিছুদিন আগে আমি যতীন সাহেবের নিকট থেকে এই খামটি আমি পেয়েছি। তিনি এটা তাঁর মৃত্যুর পর তোমাকে দিতে বলেছেন।’
ফাহিম বেশ অবাকই হল। জিজ্ঞেসা করল, “উনি জানলেন কি করে আমি এখানে চাকরী করি।”
লুৎফর রহামান বললেন, ‘উনি সবার খবর রাখতেন’
কাপা কাপা হাতে ফাহিম খামটি নিলেন। রওনা দিলেন যতীন সাহেবের অফিসের দিকে। আজ কত কথা মনে হচ্ছে তাঁর। বিশ বছর আগেকার বহু সুখ-দুঃখ মিশ্রিত কথা। কত অকথা-কুকথা বলতে বলতে যতীন সাহেব ফাহিম কে অফিস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। প্রতিষ্টানটির প্রতি ফাহিমের বেশ একটু মায়া পড়ে গিয়েছিল। চোখের জলে ভাসতে ভাসতে ফাহিম বড় রাস্তার মোড়ে চলে এসেছিল সেদিন। পিছন ফিরে খুব ভাল করে একবার শেষবারের মত দেখেছিল অফিসটিকে। হলুদ রঙএর ছোট একটি বিল্ডিং। চারপাশে ঘন সবুজ গাছ গাছালি। অনেক গুল্ম লতা আস্তে আস্তে বিল্ডিং কে আকড়ে ধরে আকাশের দিকে উঠছে। আসলে প্রথম সব জিনিষের প্রতি মানুষের আকর্ষন বেশি থাকে। তাই হয়ত ওই প্রতিষ্ঠান ও তার সহকর্মীদের ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু যতীন সাহেবের সেই কথাটি বার বার কানে বাজছিল, ‘তুই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা একটি পচা মাল। দূর হ এখনই।’ কোন রকমে দ্রুত পায়ে গলি পার হয়ে গিয়েছিল ফাহিম। হঠাৎ সেখানে তাঁর বর্তমান এমডি লুৎফর রহমানের সাথে দেখা। খপাত করে ফাহিমের হাত ধরেছিল ভদ্রলোকটি। ফাহিম একটু হকচকিয়ে গিয়েছিল। দাত বের করে লুৎফর রহমান ফাহিমের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘তাহলে যতীন সাহেবের অফিসে পাঠ চুকলো তাহলে তোমার।’ ফাহিম ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল আগন্তুকের দিকে। লুৎফর রহমান আবার বললেন, ‘চল আমার সাথে আমার অফিসে। আমি চাকরি দিব তোমায়। তুমি নবীন প্রকৌশলী, নওজোয়ান, তুমি ভেঙ্গে পড়লে হবে? বাই দ্যা ওয়ে। আমার একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আছে।’ এভাবেই ফাহিম সেদিন তাঁর এই বর্তমান কোম্পানীতে যোগদান করেছিল।
দেখতে দেখতে চোখের নিমিষে বিশ বছর পার হয়ে গেল। লুৎফর রহমানের প্রতি ফাহিমের কৃতজ্ঞের ভাষা নেই। এই এত গুলো বছর ফাহিম তীব্র ঘৃণায় তাঁর পুরাতন অফিসের দিকে ভুলেও যায় নাই, কোন খবর রাখেও নাই। আজ লুৎফর রহমানের চাপাচাপিতে সে আর লুৎফর রহমান যতীন সাহেবের শোকসভায় উপস্থিত হয়েছেন। সেই হলুদ রঙ্গা বিল্ডিংটি আজ শেওলা আর বাহারী লতার কারণে সবুজ রং ধারণ করেছে। পুরাতন অফিসে এসে প্রায় অনেক পুরোনো সহকর্মীদের সাথে আবার আলাপ হল ফাহিমের। সবাই যেন মুখ পাংশু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন অনেকেরই শেষ বা মধ্য বয়স। এই বয়সে তাঁদের আর কেই বা চাকরী দিবে আর কীই বা করে তাঁরা চলবে বাকিটা জীবন। ফাহিম কে সবাই ঘিরে ধরল।
বিপ্লব দা অফিসের সব চেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য। তিনি বলে উঠলেন, ‘বড় সাহেবের (মানে যতীন সাহেব) আপনার সাথে সেদিন ওই ব্যাবহার করা উচিত হয় নাই।’ ফাহিম মুখ নিচু করে বসে আছে।
পাটওয়ারী মাঝখান থেকে ফোড়ন কেটে বলল, ‘একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে তাঁর অফিসের একজন জুনিয়র কর্মচারীর সাথে এই ব্যাবহার করতে পারে, আমার মাথায় আসে না।’ ফাহিমের কোন কথা মাথায় ঢুকছিল না। শুধু একবার অষ্ফুট স্বরে বলল, ‘বাদ দেন ওসব কথা।’
ইতিমধ্যে শোকসভায় যতীন সাহেব সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য উপস্থাপক সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। কেউই খুব একটা আগ্রহ দেখাল না আলোচনা করবার জন্য। তার কারণ বোধহয় যতীন সাহেবের ছায়া। সবার মনে যতীন সাহেব যে ভয় ঢুকিয়ে গেছেন তাঁর মৃত্যুর পরেও তাঁকে নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করতে বোধহয় কেউই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। মাঝখান দিয়ে ফাহিম হাত তুললেন কিছু বলবার জন্য। সবাই যেন হাপ ছেড়ে বাচলো মাইক্রোফোনটা ফাহিমের হাতে দিতে পেরে। তবে মুখ চাওয়া চাওয়ি করেতে লাগল।
ফাহিম শুরু করল বলা, ‘সবাই কে ধন্যবাদ আমাকে সুযোগ দেবার জন্য। আজ আমি অন্য এক যতীন সাহেবের কথা বলব। যার পরিচয় আজই আমি পেয়েছি। প্রায় বিশ বছর আগে আমি এই মানুষটিকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। বলা যেতে পারে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি যখন কাদতে কাদতে মোড়ের চায়ের দোকানে পৌছেছি, তখন আমার বর্তমান এমডি লুৎফর রহমান সাহেবের সাথে দেখা। আমাকে পরম যত্নে তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকরী দিয়েছিলেন। আজকের দিনের আগ পর্যন্ত তিনিই আমার কাছে একমাত্র দেবতুল্য মানুষ। কিন্তু আজ এখানে আসার সময় গাড়িতে তিনি আমায় যা বললেন তা শুনে আমি শুধু হতবাক নয়, একেবারে নির্বাক হয়ে গেছি। যতীন স্যার আমাকে তাড়িয়ে দেবার আগের দিন তিনি আমার বর্তমান এমডি লুৎফর রহমান কে আমার চাকরীর ব্যাবস্থা করতে বলেছিলেন। আরও বলেছিলেন যে, আমি নাকি পরামর্শক হওয়ার থেকে নির্মাণশিল্পে গেলে অনেক উন্নতি করব। আমি একটু ভীতু ধরণের মানুষ। কোন রকম পরিবর্তন আমি সহজে মেনে নিতে পারি না। সেটাও তিনি বুঝেছিলেন। তাই তিনি লুৎফর রহমান কে বলেছিলেন যে, তিনি আমাকে বের করে দিলে লুৎফর সাহেব যেন তৎক্ষনাত চাকরী দেন। আমি ভেবেছিলাম এটা ছিল আমার নিয়তি। কিন্তু এটা ছিল যতীন স্যারের চাল। তিনি সঠিক লোক কে সঠিক জায়গায় বসিয়ে দিতেন। আমার হাতে একটি খাম দেখছেন যেটি আমার বর্তমান এমডি আমাকে আসার সময় দিয়েছেন। গাড়িতে বসে খুলে দেখি যতীন স্যার আপনাদের সবার জন্য আলাদা করে ফিক্সড ডিপোজিট করে গেছেন সেটার মূল্য কম হবে না নতুন ব্যবসা বা বাকি জীবন কাটানোর জন্য।’ এই পর্যায়ে ফাহিম একটু থেমে পানি খেয়ে মুচকি হেসে আবার বলতে লাগলেন, ‘শুধু আমার জন্য কোন ফিক্সড ডিপোজিট নেই। আমার দ্বায়িত্ব আপনাদের হাতে সব কিছু সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেয়া।’
শেষ কথা ফাহিম শেষ করতে পারল না। কন্ঠস্বর ভারী হয়ে এল। চোখ মুছতে মুছতে মঞ্চ থেকে নেমে এল। কান্না আর হাসি অনেকটা সংক্রামক রোগের মত। সবার মধ্যে যখন তখন ছড়িয়ে পড়ে। সবার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়ে ফাহিম ওই অফিস থেকে দৌড়ে পালাল। আর ভুলেও পিছনে তাকায় নি। কিন্তু যাবে কোথায় যতীন সাহেবের ছায়া থেকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৌরি হক দোলা বাইরে কাটখোট্টা কিন্তু ভিতরে একেবারে কোমল হৃদয়ের একজন মানুষ!.....চমৎকার গল্প। ভালোলাগা ও শুভকামনা রইল.....
ARJUN SARMA খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটি।যতীন সাহেবের হৃদয়ে ফল্গুধারার মতো যে মমতা লুকানো ছিল তার সুন্দর প্রকাশ গল্পটিকে আমার কাছে উপভোগ্য করেছে।ধন্যবাদ।
মৌমিতা পুষ্প গল্পটি ভাল লাগল। বেশী কিছু বলব না। ভোট দিলাম। আমার কবিতাটি পড়ার আমন্ত্রন।
Fahmida Bari Bipu বেশ অনেকদিন পরে তোমার দেখা পাওয়া গেল রাকসান্দ। প্রকৌশল নিয়ে ব্যস্ত আছো বুঝি। তবে লেখালেখি ছেড়ে দিও না একেবারে। মাঝেমাঝে লেখাতে শান না দিলে ধার কমে যায়! এই লেখাটিতে পুরনোদিনের কথাসাহিত্যিকদের কিছুটা ছায়া পেয়েছি শুরুতে। শরদিন্দু, তারাশংকর, মনোজ সেন...এরা যেভাবে লিখতেন আর কী! সেই ফ্লেভারটা পাচ্ছিলাম। গল্প ছোট ছোট প্যারায় না লেখা হলে মনোযোগ বিচ্যূতি ঘটে। এটা খেয়াল রেখো। আর গল্পের টুইস্ট আরেকটু জোরালো হলে গল্পে আপনাআপনি মন লেগে যায়। সেদিক দিয়েও কিছুটা কমতি লেগেছে। পরিশেষে বলি, নিয়মিত হও। এমনিতেই এই ছোটখাট ত্রুটিগুলো কেটে যাবে। ভোট রইলো।
প্রজ্ঞা মৌসুমী শুরুর দিকে বর্ণনায় রীতিমত মুগ্ধ হয়েছি। ভাবছিলাম এই মুগ্ধতার রেশ যেন না কাটে মাঝবরাবরে। অনেক জায়গায় চন্দ্রবিন্দুর অভাব বা চোখের জলে ভাসতে ভাসতে- এরকম ছোটখাট কিছু অতিরঞ্জিত কথা ভালো না লাগলেও পুরো গল্পটা উপভোগ করেছি। অনেক শুভকামনা
প্রজ্ঞাদি, আপনি আমার গল্পে একটা লাইক দিয়েছেন দেখলাম। তবে আপনার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যটা মিস করেছি আমি। :)
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত গল্পে " যতীন সাহেবের " চরিত্রটি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন । ভাল লেগেছে । ভোট / শুভকামনা রইল ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

যতিন বাবু স্বভাবে বেশ কাঠখোট্টা লোক। তাঁর অফিসের কেউ তাঁকে পছন্দ করত না। কারণ তিনি সব কিছু কে যৌক্তিক ভাবে চিন্তা করতেন এবং ব্যবহার আচার টা খুব কর্কশ ছিল। কিন্তু মানুষের কর্কশ আচরণটা তাঁর ভিতরের মানুষ কে প্রতিফলিত করে না। একজন কাঠখোট্টা মানুষ কে যেমন সবাই ছেড়ে চলে যায় তেমনি তাঁর দুই স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে তাঁর এই কর্কশ বা কাঠখোট্টা স্বভাবের কারণে। অনেকে তাঁর মৃত্যুতে খুশিই হয়েছে। যারা ছেড়ে যায় নি তাঁরা আসলে ছেড়ে যেতে পারেনি। এমন কি তাঁর নিজের আত্মীয় স্বজনরা তাঁর খোজ নিত না এবং তাঁর মৃত্যুতেও তাঁর সৎকার করতে আসেনি। সবই তাঁর ঐ স্বভাবের কারণে। এটি একজন কাঠকোট্টা মানুষের গল্প যিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সবার অপছন্দের তালিকায় থাকলেও মৃত্যুর পরে দেখা গেল এক জন অসামান্য মানুষ। যিনি তাঁর অফিসের সাবেক ও বর্তমান সবার খবর রাখতেন এবং যার যার প্রয়োজন অনুযায়ি ব্যাবস্থা করতেন।

১৩ এপ্রিল - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ১৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪