শুধু অনুভব করার চেষ্টা করলাম, ‘ক্ষুধার রাজ্যে অসহায় কতটা ক্ষুধার্ত?’ ‘কতটা তৃপ্তি কামনা করে ক্ষুধার জ্বালা ভুলতে?’

দেখো নীলা, বিছানায় অর্ণব কত সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে, মুখটা কত নিষ্পাপ সুন্দর! আচ্ছা নীলা, তুমি তো অর্নবের মা, আমার জীবনসঙ্গিনী। ধরো, তুমি একটি দানা পেলে খাওয়ানোর জন্য সারা পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজে, যে দানা ভাগ-জোখ করা যাবে না। যে খাবে সেই বাঁচবে, অপরজন চলে যাবে। কাকে খাওয়াবে?

উত্তুরে বাতাসে কেমন যেন একটা মাদকতা মিশে থাকে। গাছে গাছে পাতায় পাতায় কীসের যেন অজানা শিহরণ। সদ্য যৌবনার মতো রহস্যময় লুকোনো পদচারণ...ফিসফিসিয়ে কানাকানি। আর অকারণে হেসে লুটিয়ে পড়া ঝঙ্কারের মতোই ব্যস্ত হাওয়ারা শব্দ তোলে শনশন।

এখনো মাঝে মাঝে বিকালের সূর্যের আভায় লাল হয়ে যাওয়া পুকুরের পানির দিকে তাকিয়ে এসব কথা ভাবে ফাতেমা, যদিও এ সবিই পাঁচ-ছয় বছর আগের কথা। এখন তার ভাইও তার সাথে কথা পড়ে, সে তার মত না, কথাও বলতে পারে।

চায়ে শেষে চুমুকটা দিয়ে ঘড়িটা দেখে নিলো বিনয়, এখন ৩-৩০; এখনো ৩০ মিনিট এর অপেক্ষা। অগত্যা, সে সামনের পার্কটার দিকে এগিয়ে গেলো। এখনো পার্কে লোকজন কম, আস্তে আস্তে বাড়বে। একটা বেঞ্চ খুঁজে বসল, যেখান থেকে পার্কে ঢোকার রাস্তাটা সে যেন পরিষ্কার দেখতে পায়।

এই বাড়ির পেছনদিকে যাওয়ার দুটো দরজা আছে। একটি দরজা কিচেন থেকে, অন্যটি গ্যারেজ থেকে। দুটো দরজা থাকার কারণ আছে। গ্যারেজ থেকে যে দরজা, সে দরজা দিয়ে পেছনদিকে গেলে নাক বরাবর ছোট খুপরি ঘর আছে,

"ধোঁয়া ওঠা কফি" কথাটা ভুল। ইউরোপের কোনো কফিশপের কফিতে ধোঁয়া ওঠে না, হালকা উষ্ণ গরম কফি হাতে নিয়ে চুকচুক করে খায় সবাই।
ফাহিমের কফি ভালো লাগে না। বাংলাদেশী বুড়ো মানুষদের মতো ঠোঁট জ্বলানো গরম চা খেতেই তার ভালো লাগে। মিলি বলে, "এতদিন আমেরিকা থেকেও কিচ্ছু শিখতে পারলে না।

এত‌গু‌লো দিন একা থাকার পর সু‌মি‌তের জীব‌নে নতুন ক‌রে ভা‌লো লাগার জন্ম নি‌য়ে‌ছে। কিন্তু কেন ভা‌লো লাগ‌ছে তার কোন কারন খু‌জে পায়‌নি সু‌মিত। এই তিনটা বছর ছোট্ট বাচ্চা মে‌য়েটা‌কে নি‌য়ে একাই আছে সে।

এবার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল নাঈম ও তার মা। ইচ্ছাশক্তি থাকার ফলস্বরুপ তারা ভালো ফলাফল করেই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল।

তোমার কাছে আমার এক্তি প্রশ্ন
জানিনা উত্তর দিতে পারবে...।
জীবন যন্ত্রণা কখনো কি শেষ হবে!
তুমি বলবে আমারে....?