জ্যোৎস্নায় জলরঙ

কামনা (আগষ্ট ২০১৭)

সেলিনা ইসলাম
মোট ভোট ২৯ প্রাপ্ত পয়েন্ট ৫.১২
  • ২২
-কি রে! এই ঝড় বৃষ্টির ভিতরেও বাইরে যাইবি মা?
পিছন থেকে আসা হঠাৎ মায়ের কথায়,জুলেখা আঁতকে উঠে! থুথু ছিটায় বুকে। মৃদ্যু রাগ দেখিয়ে বলে-
-মা কতবার বলেছি এভাবে আচমকা এসে কথা বলবে না।
মা হাসে। জুলেখার মাথায় হাত রাখে। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এবার নিচু স্বরে বলে-
-সারাক্ষণ কী এত চিন্তার মধ্যে ডুইবা থাকস মা? জুলেখা মায়ের কথার জবাব দেয়না। মা আবার বলে উঠে-
-মাগো পুরা সংসারের বোঝা কান্ধে লইয়া লইছিস। তাও যদি এট্টু অভাব ঘুচতো!
জুলেখা জানে মায়ের হাতে যখন একেবারেই টাকা থাকে না;তখনই সে এভাবে কথা বলে। কিন্তু মাকে কিছু বলতেও ভয় লাগে। যদি টাকা চেয়ে বসে! ও এখন টাকা দিতে পারবে না। এবারও মায়ের কথার উত্তর না দিয়ে পাঁচটা একশো টাকার নোট এগিয়ে ধরে। মায়ের ঠোঁটে খুশির ঝিলিক দেখতে পায় জুলেখা। নিজেই ঘুরে অন্যদিকে নিজের মুখটা লুকিয়ে নেয়। যেন সে মায়ের খুশি দেখেনি। বলে-
-টাকাটা জুয়েলরে দিও। ও নাকি কোন বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে বই কিনছে। দুদিন আগেই নাকি টাকাটা দেবার কথা ছিল। কিন্তু ও দিতে পারে নি।
জুলেখার কথায় মা আঁতকে উঠে! জোরালো কণ্ঠে বলে-
- পণের দিন আগেই তো বই কেনার নাম দিয়া আমার কাছ থাইকা দুইশো টাকা নিছে! মায়ের কথায় জুলেখার অবাক হবার কথা! কিন্তু সে হয় না। ভাইটা যে ইদানীং মিথ্যে বলছে তা সে বুঝে গেছে। এই তো দুদিন আগেই সে জুয়েলকে টাকা দিয়ে বলেছিল'জুয়েল মোড়ের দোকান থেকে দুইটা মোমবাতি নিয়ে আয়। কারেন্ট চলে গেলে লাগবে।' টাকাটা নিয়ে জুয়েল বের হয়ে গেলো। প্রায় একঘণ্টা হয়ে গেলেও যখন সে এলো না। তখন জুলেখা নিজেই বাসা থেকে বের হয়ে মোড়ের দোকান থেকে মোমবাতি নিয়ে এলো। ও জানে ইদানীং জুয়েল মহল্লার বখাটেদের সাথে মেলামেশা করে। মহল্লায় বেশ ধনি একজন এসেছেন। তার ছেলেকে নিয়ে মহল্লার অনেকেই আতঙ্কিত। বাসায় এসে দেখে তখনও জুয়েল ঘরে আসেনি। সে ফিরল আরও আধা ঘণ্টা পরে। জুলেখার ভীষণ রাগ হলেও জুয়েলকে রেগে কিছু বলেনি। শুধু জিজ্ঞাসা করেছিল-কি রে এত দেরি করলি কেন? জুয়েল কিছুক্ষণ ভাবল। তারপর মাথা নিচু করে বলল-আপু মোড়ের দোকান বন্ধ আর আর...
-আর কি?
-আমি টাকাটা হারায় ফেলছি।
-হারায় ফেলছিস তো দেরি করলি কেন?
-ভ...ভ...ভয়ে! জুলেখা জানে জুয়েল একেবারেই মিথ্যে কথা বলছে। তাই আর কিছু বলল না। ও ভাবল মা এসব জানলে হয়ত অনেক দুশ্চিন্তা করবে। ভালোই ভালোই দুইটা মাস যাক। তারপর ওর সাথে নিজেই সরাসরি কথা বলে নেবে। এসব কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে বুকচিরে। শান্তভাবে মাকে বলে-
-মা এই বয়সে একটু বুঝে শুনে চলতে বল ওকে। আর ও মহল্লার যে সব ছেলেদের সাথে মেলামেশা করে? ওরা ভালো না। ওকে একটু বুঝিয়ে বল। রাগারাগি কর না।
-তুই ওতো ওরে একটু বুঝাইতে পারিস! আসলে তর তো সময়ই নাই। তর বাপে মইরা গিয়া বাইছা গেছে। দায়গ্রস্ত কইরা গেছে তোরে! আর আমার মাথার উপ্রে দুনিয়ার চিন্তা দিয়া গেছে! আমি আর এসব সহ্য করতে পারতেছি না!
মা আঁচলে মুখ ঢেকে কেঁদে দিলেন। মায়ের এই একটা স্বভাব! ফুসফুস করে আহ্লাদী হয়ে মুখে আঁচল চাপা দেয়া! আচ্ছা মা কেন বুঝে না এসব দেখলে আমার মনের অবস্থা কেমন হয়! দীর্ঘশ্বাসটা অনেক কষ্টে ধীরে ধীরে গিলে খেলাম। নরম সুরে বললাম-
- মা এসব কথা কেন বল? দেখি আজকে রাতে আমিও ওকে বুঝাব। দশদিন পর যার পরীক্ষা সে কিনা দেখো এখনো ঘরের বাইরে!

মা এবার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। জুলেকার বুকের ভীতরে কে যেন হাতুড়ী পিটায়! মনে হয় এই বুঝি মা টাকার কথা বলবে। এই পাঁচশো টাকা সে অগ্রিম নিয়েছে। একটা কথা আছে 'অভাগা যে দিকে চায় সাগর শুকাইয়া যায়'। এখন ওর অভাবের সময়। বন্ধুরাও কেউ ওকে ধাঁর দিতে চায় না। সবারই অভাব থাকে। আসলে ওর অবস্থা সম্পর্কে সবাই জেনে গেছে। তাই হয়ত ফেরত না পাবার ভয়ে,কেউ ধাঁর দিতে সাহস করে না। কথাটা ভেবে নিজেরই খারাপ লাগে। আজ বাবা বেঁচে থাকলে তাকে এই অল্প বয়সেই ভাইবোন আর মায়ের দায়িত্ব নিতে হত না। জানালার দিকে তাকিয়ে দেখে ঝড় নেই। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। বহু কষ্টে হাসি মুখ করে মাকে বলে-
-মা আজকের টিউশনিটা যেন পেয়ে যাই সেই দোয়া কর।
-কিন্তু মা তুই আর কত কষ্ট করবি?
- কীসের কষ্ট মা? জুয়েল ইন্টার পাশ করলে ও নিজেও একটা কিছু করবে। দেখবা তখন আমাদের আর অভাব থাকবে না। আমরা দুই ভাইবোন মিলে সব অভাবকে একেবারে ছুটি দিয়ে দেব। সোজা বলব -যারে অভাব যা,আমার মাকে আর জ্বালাস না!
কথাটা বলেই মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে হাসার চেষ্টা করে। ওর হাসি দেখে মায়ের খুব ভালো লাগে। সে ভাবে মেয়েকে কথাটা বলার এই মোক্ষম সুযোগ। আর তাই আমতা আমতা করতে করতে বলে-
-ইয়ে বলছিলাম কি মা,আর কতদিন রাত করে করে টিউশনি করে ঘরে ফিরবি? মহল্লার লোকজন আত্মীয়স্বজন এই নিয়ে কানাঘুষা করে। তাই বলছিলাম কি তোর মামা...
মায়ের কথা শেষ না হতেই জুলেখা রেগে বলে উঠে- মা আবার শুরু করছো? আমরা খেয়ে থাকলাম,না মরলাম- এসব খবর যারা কোনদিন রাখে না। তারা আমি রাতে ঘরে আসি বা না আসি,তা নিয়ে কিছু বলার অধিকার রাখে না। আর তারা কিছু বললেই তুমি প্রতিদিন ঘ্যান ঘ্যান করবা? আর কত মা?
মা যেন তবুও দমে না। নিজের কথা শেষ করে-
- না মানে তোর মামা ভালো একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছে... যদি একবার...
বেশ বড় একটা বজ্রপাত হয়। জুলেখা এবার যেন রাগে ফেটে পড়ে। এই মামাগুলো আব্বাকে কি জ্বালান জ্বালিয়েছে। আজ আব্বা মারা গেছে এখন জ্বালাতে এসেছে আমাদেরকে। বোরখাটা পরতে পরতে জুলেখা বলে উঠে
-মা তোমার ভাইদের কথা আমার সামনে বলবা না। আর যদি বিয়ে করতে হয় তুমি গিয়া কর যাও...! আমি আমার ভাইবোনের লেখা পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিয়া করব না।
কথাটা বলেই ব্যাগটা কাঁধে নিয়েই ঝড়ের বেগে বের হয় বাসা থেকে। গেইটের কাছে এসে ধাক্কা লাগে কারো সাথে। দেখে জুয়েল। আর যায় কোথায়! জুলেখা পুরো রাগটা ঝেড়ে ফেলে ছোট ভাইয়ের উপর-
- কীরে জমিদার? তোর না সামনে পরীক্ষা? ঘরের বাইরে যাইতে তোরে নিষেধ করছি না!
জুয়েল কাঁচুমাচু করে। 'না মানে বন্ধুর কাছে...ইয়ে মানে,নোট আনতে গেছিলাম'
জুলেখা এবার ওর হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে কিছুই নেই হাতে। জুয়েলের একটা হাত ওর প্যান্টের পকেটে। নিশ্চয় মোবাইল ধরে আছে। জুলেখা নিজে মোবাইল ব্যবহার করে না। কিন্তু বাইরে থেকে যেন ঘরের সবার খবরা খবর নিতে পারে। বাসায় ওর আসতে দেরি হলে যেন মাকে জানাতে পারে। সেইজন্য একটা মোবাইল ঘরে রেখেছে। কিন্তু তা সব সময় দখল করে থাকে জুয়েল। বোনের তাকানো দেখে সে মাথা নিচু করে অপেক্ষা করে। ভাবখানা সে যে অন্যায় করেছে তার জন্য ভীষণ অনুতপ্ত! জুলেখা আর কিছু না বলে হেঁটে যেতে যেতে থমকে দাঁড়ায়। রাগটা এখন কম মনে হচ্ছে। জুয়েলকে বলে-'শোন মায়ের কাছে পাঁচশো টাকা দিয়ে আসছি।' এইটুকু শুনেই ব্যস্ত হয়ে জুয়েল ঘুরে ঘরের দিকে হাঁটা শুরু করে। জুলেখার রাগ হয়। জোরে জোরে বলে-
-'আরে পুরো কোথা না শুনে দৌড়াস কেন!' জুয়েল থমকে দাঁড়ায় এবার। আজ সে সত্যি অনেক ব্যস্ত! জুলেখা বলে
- 'শোন বন্ধুর কাছ থেকে বই কেনার জন্য টাকা নিয়েছিস না? ঐটা দিয়ে দিস।' জুয়েল দৌড়ে এসে বোনের গলা জড়িয়ে ধরে বলে-বুবু তুমি অনেক অনেক অনেক ভালো!
জুলেখার চোখ ভিজে আসে। বাবা ওদের জন্য কত কষ্ট করেছেন। জুলেখা সবার বড় হওয়ায় বাবাকে ওদের থেকে একটু বেশি সময়ই পেয়েছে। বাবা যখন মারা যায় ওর হাত দুটো ধরে বহু কষ্টে বলেছিল ' মাগো তগোরে সাগরে ফালাই যাইতেছি! আমারে ক্ষমা করে দিস। তোর মা আর ছোট ভাই বোনরে দেইখা রাখিস মা!' জুলেখা সেদিন একেবারেই বুঝতে পারেনি যে,বাবা সত্যিই ছেড়ে যাচ্ছে। আর ওকেই কঠিন দায়িত্ব দিয়ে যাচ্ছে! আজ এই মুহূর্তে ভাইবোনের মুখে একটু খুশি,ওর জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া! মৃদ্যু হেসে বলে
-থাক থাক আর মাখন খাওয়াতে হবে না। যা মন দিয়ে লেখাপড়া কর।
জুয়েল হেঁটে যায়। জুলেখা শুনতে পায় মোবাইলের রিং-এর শব্দ। পিছন ফিরে আর দেখে না। মাথার উপর ছাতাটা মেলে ধরে সামনের দিকে হেঁটে যায়।


দুই
ফোনটা পেয়ে আজ জুয়েল ভীষণ খুশি। অনেকদিনের ইচ্ছে আজ পূরণ হতে যাচ্ছে। কানের সাথে ফোন ধরে বলে-
-'হ্যাঁ দোস্ত বল' ওপাশ থেকে ওর বন্ধু রিঙ্কু বলে-
-দোস্ত আমি ফোন দিলেই কিন্তু চইলা আসিস।
-'শোন মাল পাইছস?'
-'না দোস্ত এখনও পাওয়া যায় নাই'
-'শোন টাকার কথা ভাবিস না। আগে দিছি পাঁচশো আর আজকে দিমুনে পাঁচশো'
-'কস কি হালায়? এত্ত টাকা কই পাইলি? বড়লোকের মাইয়া পটাইসোসনি?'
-'হেই রকমই মনে হর' কথাটা বলেই হো হো করে হেসে দেয় জুয়েল। মোবাইলে কথা বলতে বলতে ঘরে প্রবেশ করে। সোজা চলে যায় নিজের ঘরে। ওপাশ থেকে ভেসে আসে রিঙ্কুর উত্তেজিত কণ্ঠ-
-'দোস্ত একটা মাল পাইছি। তারে তো দূর থাইকাই পরীর মত লাগতাছে! ফর্সা দুধের নাহান! আমি শিপন দবি আর মনা যাইতেছি ধইরা নিয়ে আসতে। তুই পাঁচ মিনিটের মধ্যে জায়গায় চইলা আয়।'
-'ধইরা আনতে মানে? তুই না কইলি এর আগেও ঐ মাল আনছিস?'
-'ধুর! দোস্ত নতুন মাল পাইলে পুরাণ মাল কে খায়! তুই আইয়া পড়!'
-'এই হন হন,আগে কিন্তু আমি কইয়া রাখলাম। আমি সব চাইতে বেশি টাকা দিছি।' আনন্দে আত্মহারা আজ জুয়েল।
-তাইলে কিন্তু আরও দুইশ দেওন লাগব' ব্যস্ত হয়ে রিঙ্কু বলে।
-'দুইশ না তিনশো দিমু...আমি আইতাছি!'
জুয়েল ছুটে মায়ের কাছে যায়। 'মা বুবু যে টাকা দিছে ঐ টাকা দাও।' মা বসে বসে কাঁদছে আর কি যেন ভাবছে। জুয়েল সেদিকে একদম খেয়াল করে না। সে আজ অনেক ব্যস্ত! মা ভাবে-মেয়েটা ইদানীং যা মুখে আসে তাই বলে। সে জানে যে মেয়ে অনেক কষ্ট করছে। সেই সকালে বের হয় আর রাত দশটা এগারোটা বাজায় ঘরে আসতে। সে নিজেও জানে মেয়েটাকে বিয়ে দিলে ছোট দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। ভাগ্যিস স্বামী মাথা গুজার ঠায়টুকু করেছিল। তাও আশে পাশের বাড়িগুলোর মালিক যে যেখান থেকে পেরেছে,নিজেদের মত করে পাচিল টেনে দিয়েছে। এতে করে অনেক খানি জমি ওদের দখলে চলে গেছে। এইসব প্রতিবেশী বেশি মানুষদের অনেক অর্থ ক্ষমতা। ওদের সাথে লড়াই করে ন্যায্য জমিটুকু ফেরত নেবার সাহস নেই বলেই চুপচাপ রয়েছে। জুয়েল দেখে মা গভীর ভাবনায় ডুবে আছে। নিজেই টাকাটা টেবিলের উপর থেকে নিয়ে ঝড়বেগে বের হয়।

রিঙ্কুরা এই এলাকায় নতুন এসেছে। গলির মোড়ের যে আলিশান বাড়িটা তৈরি হচ্ছে ওটা ওদের। ওর মাধ্যমেই জুয়েল নতুন কিছু বন্ধু পেয়েছে। ওদের সাথে মিশে সে জীবনের অন্যরকম মানে খুঁজে পেয়েছে। সারাজীবন শুধু অভাব অনটন আর রাগ বিরাগের জীবন দেখেছে। ওর একটা বদ্ধমূল ধারণাই হয়ে গিয়েছিল- জীবন মানেই হচ্ছে আনন্দহীন। ধুঁকে ধুঁকে কোন রকমে বেঁচে থাকা। জীবন মানেই হচ্ছে মা ভাইবোন আর তাদের সব দায়িত্ব নেয়া! আত্মসুখ ত্যাগ করে আরাম আয়েস বিসর্জন দিয়ে শুধুই দারিদ্রতায় যুদ্ধ করে হিমসিম খাওয়া! নিজের বলে আসলে কিছুই নাই। সে বুবুকে দেখছে না? বোকা বুবু! দুনিয়ায় এখন এতো বোকা মানুষের কোন জায়গা নেই! সবাই বোকাদের ব্যবহার করে আনন্দ লুটে নেয়। জুয়েল এতোটা বোকা আর থাকবে না! ওর কাছে জীবন মানে হচ্ছে সারাদিন বইয়ের মাঝে ডুবে থাকো। আর মাঝে মাঝে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ফেসবুকে ঢুকে নতুন নতুন ভার্চুয়াল বন্ধু বানাও। অনেকেই কি সব গল্প কবিতা লেখে! ওর সেদিকে একটুও নজর দিতে ইচ্ছে হয় না। মাঝে মাঝে দেখে সবাই এইটা ঐটা নিয়া কীসব আন্দোলন করে! ভাবখানা এই ফেসবুক দিয়াই সব ঠিক করে দেবে! একে একে সব সমস্যার সমাধান করে দুনিয়াটাই বেহেস্ত বানায় ফেলবে! এক এক মিনিটে স্ট্যাটাসের টপিং চেঞ্জ! খাইয়া কামকাজ নাই,এই আজাইরা কাজে সময় নষ্ট! এসব জুয়েলের কাছে একেবারেই বোরিং লাগে। সবাই নিজেকে আর নিজের ফুটানিকে বড় করে দেখে। ভাবখানা ওরাই সেরা। আর ওদের আশে পাশে যারা আছে? সব একেবারে হোদা যদুমধু,বোকা রাম!

নতুন এই বন্ধুদের সাথে থেকে গত ছয়মাসে সে অনেক কিছু জেনেছে। ফেসবুকও এখন অন্যরকম লাগে। এখন নতুন নতুন বন্ধু বানায়। আর কীভাবে তাদের কাছে নানা উছিলায় টাকা ধার চাওয়া যায়,খাওয়া, আড্ডা হৈ হুল্লোড় করবে সেই শিক্ষা নেয়। বিশ জনের কাছে উধার চাইলে একজনকে অন্তত আয়ত্তে আনা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় মেয়েদের সাথে যদি খাতির দেয়া যায়। তাদের সাথে যা যা কথা হবে তা রেকর্ড করতে হবে। তারপর সেই রেকর্ড রিঙ্কুর কাছে বিক্রি করলেই ওর কাছে থেকে টাকা পাওয়া যায়। ঐ রেকর্ড দিয়ে কীভাবে কি করা যায়? সেই শিক্ষাটা রিঙ্কু দুদিন পরেই ওকে শিখিয়ে দেবে বলেছে। এছাড়াও আরও কিছু ভিডিও-যেমন রাস্তায় কোন মেয়ে একটু অসতর্ক হয়ে হেঁটে যাচ্ছে। বা কোন নারী পুরুষের অন্তরঙ্গ কোন মুহূর্ত! কুত্তা বিলাই জানোয়ার বাচ্চা বুইড়া কিছুই বাদ যায় না! যদি ওদের ভিডিও করে রিঙ্কুকে দেয়া যায়! তাহলেও বেশ টাকা পাওয়া যায়। এই বন্ধুদের সাথে মিশে জুয়েল জেনেছে,লেখাপড়া না শিখেও খুব সুন্দর একটা জীবন মেলে। যে জীবনে আছে অনেক সুখের অলিগলি। শুধু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কেবল তা জানলেই হবে। আর এই বিষয়ে অভিজ্ঞ কিছু সঙ্গীকে সাথে রাখতে হবে। লাইফ ইজ ফুরফুরা এন্ড ফুরফুরা!

অবশ্য জুয়েলের মেজাজ মাঝে মাঝে খারাপ হয়ে যায়। যখন ভাবে ঘরের মানুষ গুলো শুধু একটা গলিই ওকে চিনিয়েছে-'লেখাপড়া কর! জ্ঞ্যানের আলোয় আলোকিত হও।' পেটে ভাত নেই, শুধু জ্ঞান ঝাড়ো। আজকে মনে অন্যরকম একটা সুখ খেলে যাচ্ছে। আজ সে মন খারাপ করবে না। 'ইস এই বন্ধুদের সাথে যে কেন আরও আগে পরিচয় হল না!' জুয়েল গেইটের কাছে আসতেই জুলেখার কথা মনে পড়ে 'একটু আগেই বুবু বের হয়েছে! আশেপাশে নেই তো!' এদিক ওদিক তাকায়। 'নাহ বুবু বের হয়েছে দশ পণের মিনিট হয়েছে। এই অন্ধকার বৃষ্টির সন্ধ্যা বেলায় কেউ বাইরে নেই। বেশ ভালো হল। ওর বহুদিনের ইচ্ছেটা পূরণ করতে অনেক সহজ হবে।'


তিন
এদিকে জুলেখা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে হেঁটে যায়। বাতাসে ছাতা উড়ে যেতে চায়। যেমন করে ওর জীবনের সুখগুলো উড়ে গেছে। এই ঝিরঝির হাওয়া ওর বেশ ভালো লাগে। কড়া ভ্যাপসা গরমে একটুখানি বৈশাখী হাওয়া। যেন সব উত্তাপকে এক নিমেষে উড়িয়ে নিয়ে গেলো। এমন কোন হাওয়া কি ওর জন্য অপেক্ষা করছে? যে হাওয়া এসে ওকে একটু প্রশান্তি এনে দেবে! জীবনের খানিকটা স্বাদ ওর সব দুঃখ মুছে দেবে! আছে কি কেউ এমন হাওয়ার বেগে জীবনে আসবে? কথাটা ভেবে আনমনে হেসে দেয়। কল্পনার সুখ ওকে চিমটি কেটে জাগিয়ে দেয়। ও ফিরে আসে বাস্তবে। মনে মনে ভাবে-নাহ সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মা যে কেন বের হবার সময় নানা রকম প্রসঙ্গ তুলে সময় নষ্ট করলো? এখন যেভাবেই হোক একটা রিকসা পেলে হয়। আর একটু গেলেই রিকসা পাওয়া যাবে। এই গলির ঠিক মাথায় একটা নতুন বাড়ি হচ্ছে। মনে হচ্ছে বেশ টাকা আছে তাদের। অনেক বড় আধুনিক বাড়ি করছে। রাস্তায় ইট বালি রড সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে। পথচারীর যে এতে অসুবিধা হতে পারে? এটা যেন উনাদের মাথায়ই নেই। আর ইলেক্ট্রিসিটি? একটু মেঘ করলেই ধাম করে বিদ্যুৎ চলে যায়।

নাহঃ মায়ের সাথে অমন ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। বাসায় এসেই আগে মাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে সরি বলবে সে। ওর যে আজকাল কী হয়! মাঝে মাঝে কেন যেন জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে যায়। ছোট ছোট ব্যাপার গুলোও তখন ওর মনে কাঁটার মত বিঁধে! কত কষ্ট করছে জীবনটাকে কিছুটা ঠিক করতে। অথচ কোনভাবেই কিছু ঠিক করতে পারছে না। বারবার নিজেকে পরাজিতা দেখতে আর ভালো লাগছে না। কী পেলো সে এই কুড়ি বছরের জীবনে? রিফাত! সেও একদিন এক বছরের সম্পর্কের তারটা ছিঁড়ে দিয়ে চলে গেলো। অনলাইনে অন্য একটা ধনীর মেয়েকে পেয়েছে। তার সাথেই নেটে প্রেম করছে। আগে জুলেখাকে নেটে বসার জন্য কত আকুতি করত রিফাত। কিন্তু ও বসেনি। আসলে বাসায় তখন নেট বা মোবাইল কিছুই ছিল না। আর বাস্তবে তো প্রতিদিন দেখা হত কথা হত। তাহলে কেন আবার নেটে বসতে হবে? সময়টা বরং বাস্তবেই কাটাতে সে পছন্দ করত। যা ছিল রিফাতের অনেক অপছন্দ! শুনেছি সে এখন অনেক ভালো আছে! নেটে বসে এক সাথে তিন চারটা মেয়েকে যাচাই বাছাই করছে। যাক ও যদি ভালো থাকে তাহলেই আমি খুশি। বাবা সেও একদিন চলে গেলো।

জুলেখা অন্ধকারের মাঝে হাবুডুবু খেতে খেতে হাঁপিয়ে উঠেছে। কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। টিউশনি করে কত আর করা যায়? মাঝে মাঝে মনে হয় জুয়েলের কথা শুনে বাবার রেখে যাওয়া শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে দেবে। সেই টাকায় জুয়েল কীসব যেন ব্যবসা করতে চায়! কিন্তু আশ্রয়টুকু হারানোর ভয়ে জুলেখা রাজি হয় না। জুয়েলকে নিয়েই যত স্বপ্ন সাঁজায় সে। একটা কোচিং সেন্টারে ওর চাকুরীর কথাও বলে রেখেছে। ওর পরীক্ষাটা শেষ হলেই ওখানে ছাত্র ছাত্রীদেরকে পড়াবে। এতে ওর লেখাপড়ারও কোন ক্ষতি হবে না। আর কিছু টাকাও আসবে! নাহ কোন আফসোস সে করবে না। ভাইবোনকে নিয়েই সে অপরাজিতা থাকবে। দায়িত্ব পালনে সে জয়ী হবেই! ভাই বোনকে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। তাকে যে বাবার ইচ্ছেটা পূরণ করতেই হবে।

পর মুহূর্তেই মনে পড়ে সে মাকে মিথ্যে বলছে! যা ঠিক নয়। মা জানে আমি লেখা পড়া করছি। কিন্তু আমি কলেজের বেতনের টাকা কোথা থেকে দেব? তবুও সময় পেলেই লেখাপড়া করছি। আশা করছি প্রাইভেটভাবে হলেও বিবিএটা শেষ করে একটা চাকুরী করব। ইদানীং সেই পড়াশুনাটাও করতে পারছি না। মাকে জানাবার সাহসও নেই আমার। সবার প্রতি দায়িত্ব পালনে আমি নিজের সবকিছু বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছি! মাকে আমি মিথ্যে বলছি কারণ সত্যটা শুনে যদি মায়ের কিছু হয়ে যায়! বুক চিরে সমুদ্রের জল বের হতে চায় চোখ বেয়ে! কষ্ট হয় মায়ের মুখোমুখি দাঁড়াতে! মা যখন ভাবে আমি কলেজে? আমি আসলে তখন একটা শপিং সেন্টারে সেলসগার্ল হিসাবে কাজ করি। একটা আপু ছুটিতে গেছে তার পরিবর্তে। সে এলেই আমি আবার ভেসে বেড়াবো কচুরি পানার মত। একটা কাজের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াবো এ দুয়ার থেকে ও দুয়ারে। হাঁটতে হাঁটতে নানা কথা ভাবে জুলেখা-'ওহঃ মা গো!' হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়। মনে হয় অন্ধকারে শক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা লেগেছে! না কি কেউ কিছু দিয়ে মাথায় বাড়ি মেরেছে? চারদিক অন্ধকার দিয়ে আসে।


শেষ

জুয়েল নির্ধারিত জায়গাটিতে এসে দেখে কেউ নেই। রিঙ্কুকে ফোন দেয়। জুয়েল ধরেই নেয় ওরা ওকে মিথ্যে বলেছে! ওর টাকা মেরে দিয়েছে। বেশ কয়েকবার সবাইকেই ফোন দেয়। কিন্তু কেউই ফোন ধরে না। এভাবে প্রায় ত্রিশ মিনিট চলে যায়। রাগে দুঃখে হিংস্র হয়ে উঠে সে। মনে মনে খিস্তি দেয় "আজ সব কয়টারে খুন করুম! আমার সাথে? এই জুয়েলের সাথে হাঙ্কিপাঙ্কি?" এমন সময় ফোন বেজে উঠে। ফোন ধরেই সমানে গালি দিতে থাকে-
-হালার পুতেরা আমার টাকা নিয়া হজম করবা ভাবছো? পুলিশরে সব কইয়া দিমু খারাও!
এই জুয়েলকে দেখলে কেউ চিনতে পারবে না। কেউ বুঝতে পারবে না একজন নিষ্ঠাবান বাবার ছেলে। যে তাঁর অবর্তমানে কি বিষাক্ত সাপ হয়ে উঠেছে! ওকে শান্ত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠে রিঙ্কু-
-আরে আগে থাইমা কথা হোন। খুব খারাপ খবর আছে।
এবার কিছুটা নরম হয় জুয়েল। বলে-
- মানে কি?
-এই মাল অনেক সেয়ানা। ঐ জায়গায় যাই নাই। মনে হয়ছে কেউ দেইখা ফেলাইছে আমগো।
-তোরা এখন কোথায় তাই ক!
-দবির বাসায়। ওর বাসায় কেউ নাই। আর এইটা একেবারে নিরিবিলি জায়গায়।
-বান্দির পোলা ঠিকানা এসএমএস কইরা দে
-মাম্মা মাল একখান যা পাইছি না মাম্মা? রাতভর মজা হি মজা!
-আইতাছি বিশ মিনিটের মধ্যে। তাঁর আগে কেউ ছুঁইবি না কইলাম।

অন্য রকম আনন্দ খেলে যায় মনে। মন যেন নীল আকাশে রঙিন ঘুড়ি হয়ে উড়ছে! একটা সিএঞ্জি নিয়ে ছুটে যায়। জুয়েল-এর যেন তর সইছে না। 'ধ্যাৎ এইসব কাজে কি মানুষের এতো ধৈর্য থাকে? শালারা খুব খেলাইতেছে। আজকে কামটা সেরে সে এখন থেকে নিজেই এই কাজ করবে। মা বুবু ওদের অতিরিক্ত শাসন ওর ভালো লাগে না। ও ভাবছে এই বন্ধুদের সাথে সে কোন ব্যবসা করবে। এভাবে সে থাকতে পারবে না। বাড়ির দলিলটা একবার হাতে পেলে হয়। কারো সই টই লাগবে না। এমন খদ্দের ওর বন্ধুদের কাছে আছে। তারাই সব করবে।' দবিরের বাসায় পৌঁছাতে আধ ঘণ্টা সময় নষ্ট হল।

জুয়েল দবিরের বাসায় ঢুকেই দেখে ল্যাপটপে রঙিন ছবি চলছে। বেশ শিহরিত হয় সে। টেবিলে মুরগি ভাঁজি,আলু ভাঁজি,আর পিঁজা। বাংলা রামও আছে। সে নিজেই বোতল উপুড় করে খানিকটা গলায় ঢেলে নেয়। কেমন যেন উত্তেজনা অনুভব করে। কিন্তু সারা ঘরে রিঙ্কু,শিপন,দবি,মনা,ওরা কেউ নেই! পাশের রুমে আলো দেখা যাচ্ছে। ওখানে নেই তো ওরা! হেঁটে পাশের রুমে যেতে যেতে ভাবে 'ওরা কি এখানেও আমাকে ধোঁকা দিলো!' এমন সময় ফোনটা বেজে উঠে।
-হ্যালো!
ওপাশ থেকে ভেসে আসে রিঙ্কুর চিৎকার 'জুইল্লা হালা ঐ বাসা থাইকা বাইর হ...ঐ হালি অনেক সেয়ানা। আমাগো সবাইরে সে চিনে। ক্যামনে কি জানি না।' জুয়েল উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে 'মালটারে কী করছস?' কথা বলতে বলতে পাশের রুমের মেঝেতে দেখে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অর্ধ উলঙ্গ একটা ফর্সা মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। ফোনে কে কি বলছে ভুলে যায় জুয়েল। দেখে ছুরিটা ওরা মেয়েটার বুকের বাম পাশে ঠিক হৃদয় বরাবর মেরেছে! রিঙ্কু বলেছিল মেয়েটা নাকি পরীর মত সুন্দর। জুয়েল মুখটা দেখতে ঘাড় ঘুরিয়ে উকি দেয়। বরফের মত জমে যায় সারা শরীর! কিছু বলতে চাচ্ছে কিন্তু মুখ থেকে বের হচ্ছে না। চিৎকার দিতে চায়ছে কিন্তু কে যেন ওর গলা চেপে ধরেছে! বিস্ফারিত চোখ। কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে অস্ফুটে মুখ থেকে বের হয়ে আসে 'বু...বু...'।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আকরাম হোসাইন ভালো লেগেছে। দারুণ লিখেন
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া অনেকটা দম বন্ধ করে গল্পটা পড়লাম। আমি হয়তঃ শ্বাস নিতে পারলাম... বুবু হয়তঃ তাও পারেনি... ভালো লেগেছে.. ধন্যবাদ
কাজী জাহাঙ্গীর অনেক অনেক অভিনন্দন
ভালো লাগেনি ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।
ভালো লাগেনি ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আহা রুবন অনেক অভিন্দন। ভাল থাকবেন, ভাল লেখার প্রত্যশায় থাকব।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন...
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত অভিনন্দন ।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা নিরন্তর।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
জসিম উদ্দিন আহমেদ অভিনন্দন, আপা।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা নিরন্তর।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ফেরদৌস আলম অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য রইল শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা নিরন্তর।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ইমরানুল হক বেলাল অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে;
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভকামনা নিরন্তর।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

২৭ মে - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২০ টি

সমন্বিত স্কোর

৫.১২

বিচারক স্কোরঃ ৩.৩৮ / ৭.০ পাঠক স্কোরঃ ১.৭৪ / ৩.০

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪