স্বাধীনতা তুমি অনাবিল শান্তির বিমূর্ত অনুভব .
তুমি খোলা আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলা ;
স্বাধীনতা তুমি মুক্তি বাড়াও হৃদয়ের বৈভব ,
তুমি নির্ভয়ে অধিকার আদায়ের কথা বলা ।

মুক্তিযোদ্ধা কত শুদ্ধ,
নবজন্মায় কয়।
স্বাধীন দেশে বাস করি!
আমরা স্বাধীন নয়।

তোরা বলিস, তোরা নাকি সবাই স্বাধীন,
বলতো আমার স্বাধীনতা কোথায়?
দিবসে-রাত্রিতে, নীরবে-নিভৃতে
আমি রোজ মরি বোবা ব্যাথায়।

এই কি সেই স্বাধীনতা ?

যার জন্য 1947 সালে দেশ ভাগ হয় ।

এই কি সেই স্বাধীনতা ?

যার জন্য ভাষা শহীদের প্রাণ দিতে হয় !

স্বাধীনতা তুমি প্রথম সন্তান ধুসর বর্ণের মায়ের।
স্বাধীনতা তুমি প্রথম খরচ বাবার প্রথম আয়ের।
স্বাধীনতা তুমি প্রথম প্রহর পুত্রের প্রথম চাহনি।
স্বাধীনতা তুমি প্রথম ডাকে কেড়ে নেওয়া আত্মজীবনী।

স্বাধীনতা তুমি
শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
স্বাধীনতা তুমি
উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।

হে হিতৌষী তরুণ-তরুণী,
আসিয়াছ তোমরা রাঙ্গাইতে ধরনী।
হাকিতে ভবিষ্যত হইয়াছ বলীয়ান,
হে তরুন-তরুণী রাখিয়াছ সম্মান।

তেরশত রক্তের নদীর বিনিময়ে
কিনেছি একটি শব্দ- স্বাধীনতা।
লক্ষ শহীদের পুন্য দানে
লভেছি একটি শব্দ - স্বাধীনতা।

আমরা যুদ্ধশিশু কেউ বা বলে ভিন্ন সুরে যুদ্ধের ফুল

যে নামেই ডাকুকনা কেন জীবন যুদ্ধে বুঝে গেছি-

জন্মের দায় কেউ নিবেনা, মোদের পৃথিবীতে আসাই ভুল।