দীর্ঘ সাতচল্লিশ বছর পর আজও কেন জানি মনে হয়-
আতুর ঘরেই পড়ে আছি।
পরাধীনতার আশ্রয়ে, শোষকের অবাধ প্রশ্রয়ে,
আজও
সেই খলনায়কের হাসি শুনতে পাই।

স্বাধীনতা এসেছিল বাংলার আকাশে ভোরে উদীয়মান সূর্যের মত
মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলার জনগণ ছিনিয়ে নিয়েছে ,বাধা ছিল যত।
মোরা গর্ব করে বলি, স্বাধীন দেশে করছি বসবাস
দেশের বাস্তবতা দেখে অনেক সময় হই যে হতাস।

তোরা বলিস, তোরা নাকি সবাই স্বাধীন,
বলতো আমার স্বাধীনতা কোথায়?
দিবসে-রাত্রিতে, নীরবে-নিভৃতে
আমি রোজ মরি বোবা ব্যাথায়।

স্বাধীনতা তুমি
শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
স্বাধীনতা তুমি
উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।

স্বাধীনতা তুমি প্রথম সন্তান ধুসর বর্ণের মায়ের।
স্বাধীনতা তুমি প্রথম খরচ বাবার প্রথম আয়ের।
স্বাধীনতা তুমি প্রথম প্রহর পুত্রের প্রথম চাহনি।
স্বাধীনতা তুমি প্রথম ডাকে কেড়ে নেওয়া আত্মজীবনী।

এই কি সেই স্বাধীনতা ?

যার জন্য 1947 সালে দেশ ভাগ হয় ।

এই কি সেই স্বাধীনতা ?

যার জন্য ভাষা শহীদের প্রাণ দিতে হয় !

নদীর বুকে রবির নাচন
ঝিলমিলিয়ে ঢেউ,
ওপারেতে বাঁশির সুরে
পাগল বেনে বউ।

স্বাধীনতা মানে হলো
স্বাধীনভাবেই চলতে পারা
স্বাধীনতা মানে হলো
ইচ্ছে-স্বাধীন বুঝতে শিখা।

আমরা যুদ্ধশিশু কেউ বা বলে ভিন্ন সুরে যুদ্ধের ফুল

যে নামেই ডাকুকনা কেন জীবন যুদ্ধে বুঝে গেছি-

জন্মের দায় কেউ নিবেনা, মোদের পৃথিবীতে আসাই ভুল।

মুক্তিযোদ্ধা কত শুদ্ধ,
নবজন্মায় কয়।
স্বাধীন দেশে বাস করি!
আমরা স্বাধীন নয়।