এমন বৃষ্টিতে জহিরুদ্দিন আনমনে বড় মেয়েটার বিয়ের কথা ভাবছে, ভাবছে নতুন একটা বড় নৌকা কিনবে । ইঞ্জিন লাগাবে । সেই নৌকা নিয়ে গঞ্জে গঞ্জে মালসামান নিবে । তার আয় বাড়বে। মেয়ে দুটি বড় হচ্ছে ।
এমন বৃষ্টিতে জহিরুদ্দিন আনমনে বড় মেয়েটার বিয়ের কথা ভাবছে, ভাবছে নতুন একটা বড় নৌকা কিনবে । ইঞ্জিন লাগাবে । সেই নৌকা নিয়ে গঞ্জে গঞ্জে মালসামান নিবে । তার আয় বাড়বে। মেয়ে দুটি বড় হচ্ছে ।
ডাক্তার বলল, ‘নো মোর টেনশন।’
‘কোথায় তুমি দেখলে টেনশন আর হাবিজাবি…?’ মহসিন তালুকদার খেপে যান ডাক্তারের উপর; ডাক্তার জাফর, ছেলে তানভীরের বন্ধু, হাতযশ আছে হৃদরোগ চিকিৎসায়।
জন্মের পরে দাদা -দাদীর
হয়নি দেখা মুখ
তাই তো আমার হৃদয় মাঝে
জমা শত দুখ।
বুঝল না—
মনের দরদ কেউই বুঝল না
এ সংসারে কেউ কারে বুঝে না,
বুঝতে চায় না
বাবা আমার ভীষণ ভয় করছে।
-না রে মা ভয়ের কিছু নেই।
-বাবা আমি বাঁচবো তো?
-কী যে বলিস মা। এই করোনা ভাইরাস আমার মাকে কিছুই করতে পারবে না।
-বাবা কত মানুষ মারা যাচ্ছে।
কষ্ট নামক মাটি দিয়ে
সৃষ্টি আমার দেহ
অভাব নামক গন্ধে আমার
পাশে নাইতো কেহ।
পোশাক কারখানার শ্রমিক
পকেটে থাকেনা বিশ টাকার অধিক,
বায়না ধরেছে অবুঝ শিশু শান্তা
পহেলা বৈশাখে চাই ইলিশ আর পান্তা,
কষ্ট তুমি কি অতল সায়র?
যে সায়রে ডুবে জলে পেট পূরলেও
তরী খুঁজে না পাওয়ার আকুলতা।
নাকি মেঘের আড়ালে ঢেকে থাকা চাঁদ?
যে চাঁদের আলো থাকা স্বত্ত্বেও
পৃথিবীকে আলোকিত করতে না পারার ব্যার্থতা।
কষ্টরা যেন কুহক; অদৃশ্য মায়াজালে
আচ্ছন্ন করে রাখে বিসৃত বোধের অলি গলি;
মুক্তির পথ পায়না বিদগ্ধ মন, ছিঁড়তে পারেনা
তার কুহক জাল।
মেঘের কোন কষ্ট নেই
সে বৃষ্টি হতে জানে
আকাশের গায়ে রঙধনু
হয়ে রঙ ছাড়াতে জানে।