রাতের নীল খাম পুরে
এক বক সাদা জোসনা রেখে দিয়েছি
তোমার জন্যে,
অবগুন্ঠন ফেলে আসতে পারো তুমি
অনিবার্য সফল সংগ্রামে।
রাতের নীল খাম পুরে
এক বক সাদা জোসনা রেখে দিয়েছি
তোমার জন্যে,
অবগুন্ঠন ফেলে আসতে পারো তুমি
অনিবার্য সফল সংগ্রামে।
বাবা আমার ভীষণ ভয় করছে।
-না রে মা ভয়ের কিছু নেই।
-বাবা আমি বাঁচবো তো?
-কী যে বলিস মা। এই করোনা ভাইরাস আমার মাকে কিছুই করতে পারবে না।
-বাবা কত মানুষ মারা যাচ্ছে।
কষ্ট নামক মাটি দিয়ে
সৃষ্টি আমার দেহ
অভাব নামক গন্ধে আমার
পাশে নাইতো কেহ।
কষ্টরা যেন কুহক; অদৃশ্য মায়াজালে
আচ্ছন্ন করে রাখে বিসৃত বোধের অলি গলি;
মুক্তির পথ পায়না বিদগ্ধ মন, ছিঁড়তে পারেনা
তার কুহক জাল।
একে তো মিকচার মেশিনের ঘর ঘর ঝর ঝর শব্দ তাতে আবার ধিরিং ধিরিং বক্সের তাল যেন কান পাতা যায় না । ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বক্সের তালে তালে নাচছে ।রশিদের মায়ের মুখে চোখে সেকি হাসির ঝলকানি ।সাতটি ছেলের বৌ লাল লাল শাড়ি পরে উঠানে তার ঘোরা ফেরা করছে ।সবাই নানা কাজে ব্যাস্ত । গ্রামের দু চার জন মান্যগন্য ব্যক্তিকেও দাওয়াত করেছে।
দুঃখে মোদের জীবন গড়া কষ্টে মোরা চলি
সুখের লাগিয়া মোরা, সুখীদের কথা বলি।
মনের মধ্যেই সুখ আছে বুঝতে যারা পারে
তারাই প্রকৃত সুখী, কষ্ট তাদের নাইরে।
আরাফ প্রকৃতি খুব পছন্দ করে। প্রকৃতির কাছে গেলেই ওর ইচ্ছে করে যেন একেবারেই মিশে যায়। সাথে থাকা দামী হুয়াওয়ে মোবাইলটার সাথে দিনের বেশীরভাগ সময়ের সখ্যতা ওর।
যখন বাবা বৃষ্টির মত অঝর ধারায় কেঁদে বসলেন! বাবার এই কান্না ভরা মুখখানা দেখে আমি আর বসে থাকতে পারিনি। বাবার বুকটা জড়িয়ে কাদতে লাগলাম!
অতিরিক্ত ভালোবাসা বিষ হয়ে যায়,
মাঝে মাঝে চাহিদাগুলো নিরুপায়;
যখন কষ্ট আসে, একা আসে না,
সাথে নিয়ে আসে অতীত স্মৃতি
কেউ কেউ বলে, "এরকম সবার সাথেই হয়,"
সত্যি, এটাই বুঝি নিয়তি!
সৌমিনী ঘুরে এসেই ভাত চাইতে লাগলো। মা পাতিল থেকে দুমুঠো ভাত প্লেটে দিতেই রেগেমেগে সৌমিনী বলতে লাগলো তরকারি কই। হুদা ভাত আমি খামু না। প্রত্তিবার খালি হুদা ভাত আর ভাত।
লতা কোন কথা না বলে চৌকাঠে বসে দরজার সাথে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কোন কথা বলছে না। চিন্তায় চিন্তায় শুকিয়ে যাচ্ছে সে।
মা! ও মা! তরকারি দিয়া যাও। হুদা ভাত ক্যামনে খামু?