যে ভালোবাসায় ঠকে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছে,
কাঁদো কাঁদো চোখে ঘুমিয়ে পড়ে প্রতিরাতে,
চুপসে বিবর্ণমুখী হয় প্রতিক্ষণে,
আমার এমনই নিষ্প্রাণ আত্মার দরকার।
কবিতা
যে ভালোবাসায় ঠকে কেঁদে বালিশ ভিজিয়েছে,
কাঁদো কাঁদো চোখে ঘুমিয়ে পড়ে প্রতিরাতে,
চুপসে বিবর্ণমুখী হয় প্রতিক্ষণে,
আমার এমনই নিষ্প্রাণ আত্মার দরকার।
কবিতা
উপত্যকার অজ্ঞাত অর্কিড-মালঞ্চ থেকে
দুঃখ গুলো নেমেএল জঙ্গলে জঙ্গলে দৃশ্য আর অদৃশ্যের
মাঝামাঝি গিরিপথ ধরে -
কাল কাল পিপীলিকার অদম্য মিছিল।
হায়, কেমন বেমক্কা বিভীষিকা!
গঙ্গা ফড়িঙের ডানায় আর্দ্র নিশ্বাস ফেলে
বিষন্ন বিস্তৃত শুয়ে থাকে যাতনার নীল।
কবিতা
বক্ষ তাহার ছিলো তোমার,
সে শ্রেষ্ঠ বিছানা।
মা'র বুক সবচে আপন,
এই কথাটি মিছানা।
গল্প
মেয়েটির আসল নাম সৌর কখনো জানতে পারবে, এরূপ আসা সে ছেড়েই দিয়েছিলো। অথচ এই মেয়েটির সাথে সে টিকিট বাড়ির এক ঘরে শুধু ঐ এক রাত না, মাঝে মাঝেই থাকতো। তার মাঝে মাঝে মনে হয়, সে কোনো নরকে নয়; এক স্বর্গে বসে কোনো স্বর্গের পরীকে দেখছে। মেয়েটিকে দেখে সে করুনা অনুভব করল। মনে মনে সে তাকে একটা নামও দিল। মেঘা।
কবিতা
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত
শত শত ঢেউয়ের বিপরীতে লড়াই করে টিকে থাকা,
আর ক্ষয়ে যাওয়া পাথরের জন্য আর্তনাদ করার দিনগুলোর মাঝে
সোনালী সূর্যালোকের চুম্বনগুলো সুখস্মৃতি বটে।
তবে,
তা বাস্তবতা নয়।
কবিতা
চকিতে বিদ্যুৎ চমকায়
ঘনায় আধাঁর রাত্রি ,
ঘোর দূর্যোগে চলছে পথে
নিরুদ্দেশের যাত্রী ।
ছাড়ি প্রিয়জন , বিলাস- ব্যাসন
প্রিয়ার বাহুডোর
গল্প
এমন বৃষ্টিতে জহিরুদ্দিন আনমনে বড় মেয়েটার বিয়ের কথা ভাবছে, ভাবছে নতুন একটা বড় নৌকা কিনবে । ইঞ্জিন লাগাবে । সেই নৌকা নিয়ে গঞ্জে গঞ্জে মালসামান নিবে । তার আয় বাড়বে। মেয়ে দুটি বড় হচ্ছে ।
কবিতা
রাতের নীল খাম পুরে
এক বক সাদা জোসনা রেখে দিয়েছি
তোমার জন্যে,
অবগুন্ঠন ফেলে আসতে পারো তুমি
অনিবার্য সফল সংগ্রামে।
গল্প
শেষবিকেলের আলো একটু একটু করে মুছে যাচ্ছে। কত সহজেই না দিন চলে যায়! ভাবতে অবাক লাগে রাকিবের। এইতো সেদিন সে ঢাকা এলো স্বপ্ন পূরণের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে এখন কর্পোরেট অফিসে চাকরি করে।
কবিতা
পাতিহাস থেকে রাজহাস,
সবার ডানায় পচন ধরেছে।
প্রেম আজ কলেরায় মৃত।
ভ্যালেন্টাইনের লাল গোলাপ