জরাজীর্ণ হয়ে গুটিয়ে নেই মনের ভুলকে,
বোঝাতে চাই যেটা ভুলের পরিসীমায় আবদ্ধ,
সেটাকে ক্ষেত্রফলের অস্তিত্বে-
ধারণ করাটা কষ্ট ছাড়া কিছু নয়,
জরাজীর্ণ হয়ে গুটিয়ে নেই মনের ভুলকে,
বোঝাতে চাই যেটা ভুলের পরিসীমায় আবদ্ধ,
সেটাকে ক্ষেত্রফলের অস্তিত্বে-
ধারণ করাটা কষ্ট ছাড়া কিছু নয়,
কষ্ট নামক মাটি দিয়ে
সৃষ্টি আমার দেহ
অভাব নামক গন্ধে আমার
পাশে নাইতো কেহ।
যে আঙুলগুলো অবিন্যস্তভাবে খেলা করত
আমার চুলের ভিতরে
সেগুলো এখন মোবাইলের টাচ স্ক্রিনে
আমার ফেসবুক খুঁজে ফেরে,
শেষবিকেলের আলো একটু একটু করে মুছে যাচ্ছে। কত সহজেই না দিন চলে যায়! ভাবতে অবাক লাগে রাকিবের। এইতো সেদিন সে ঢাকা এলো স্বপ্ন পূরণের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে এখন কর্পোরেট অফিসে চাকরি করে।
পোশাক কারখানার শ্রমিক
পকেটে থাকেনা বিশ টাকার অধিক,
বায়না ধরেছে অবুঝ শিশু শান্তা
পহেলা বৈশাখে চাই ইলিশ আর পান্তা,
কষ্টের কারাগারে সাজা পেয়েছি,
বহু শতাব্দী আগে ।
অবহেলা করে ঠেলে দিলে দূরে ,
বিরহের ব্যাথা ধীরে ধীরে জ্বলে ।
সুখ পাখিটি চলে গেছে বহু দূরে ,
বাবা আমার ভীষণ ভয় করছে।
-না রে মা ভয়ের কিছু নেই।
-বাবা আমি বাঁচবো তো?
-কী যে বলিস মা। এই করোনা ভাইরাস আমার মাকে কিছুই করতে পারবে না।
-বাবা কত মানুষ মারা যাচ্ছে।
উপত্যকার অজ্ঞাত অর্কিড-মালঞ্চ থেকে
দুঃখ গুলো নেমেএল জঙ্গলে জঙ্গলে দৃশ্য আর অদৃশ্যের
মাঝামাঝি গিরিপথ ধরে -
কাল কাল পিপীলিকার অদম্য মিছিল।
হায়, কেমন বেমক্কা বিভীষিকা!
গঙ্গা ফড়িঙের ডানায় আর্দ্র নিশ্বাস ফেলে
বিষন্ন বিস্তৃত শুয়ে থাকে যাতনার নীল।
একে তো মিকচার মেশিনের ঘর ঘর ঝর ঝর শব্দ তাতে আবার ধিরিং ধিরিং বক্সের তাল যেন কান পাতা যায় না । ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বক্সের তালে তালে নাচছে ।রশিদের মায়ের মুখে চোখে সেকি হাসির ঝলকানি ।সাতটি ছেলের বৌ লাল লাল শাড়ি পরে উঠানে তার ঘোরা ফেরা করছে ।সবাই নানা কাজে ব্যাস্ত । গ্রামের দু চার জন মান্যগন্য ব্যক্তিকেও দাওয়াত করেছে।
“নাহ। যাব না। যাব কী করে? আম্মু বকবে।” তুতুন খাতার পাতা ছিড়ে কথাগুলো লিখে ঘুড়ির সুতোয় বেঁধে দিল।