নিজ প্রণয় ভ্রান্তি মানুষ
ছুটছে অর্থ-বণিকের পাশে।
মানুষ মানুষকে নাহি চিনে
দৃষ্টি লাকানো ধনের অন্তরালে,
ধন যার ভুরি ভুরি সাধু সে।
নিজ প্রণয় ভ্রান্তি মানুষ
ছুটছে অর্থ-বণিকের পাশে।
মানুষ মানুষকে নাহি চিনে
দৃষ্টি লাকানো ধনের অন্তরালে,
ধন যার ভুরি ভুরি সাধু সে।
হাবাগোবা ধরণের বাবুলই বিদ্যে-বিচারে চারজনের শীর্ষে। শুধু তাই নয়, গোবেচারা হলেও সে কিন্তু সুদর্শন। ফকিরাপুলের ফালুমিয়ার মেস বাড়ির এক রুমের চার বাসিন্দা – বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বাবুল; দ্বিতীয় সারির দৈনিক পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর দুজন: বিল্লাল ও হাসমত; আদম ব্যবসায়ী অফিসের কেরানি মুহিব।
আমি কতবার বলেছি তুমি আমার গায়ে হাত দিয়ে কথা বলবেনা। কিন্তু সাজ্জাদ আমার কথা কিছুতেই শুনেনি। বরঞ্চ সে আমাকে বলেছে, টিনেজার বয়সের ছেলে মেয়েরা একটু এমনি হয়। বিপরীদ লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ থাকে। হয়তো তোমার সেটা এখনো হয়ে উঠেনি।
মা শুনলে রাগ করবে তো।
চোখ খুলতেই হয়তো দেখি
যা দেখতে'ই রুচিতে বাঁধে
রাস্তায় চলতে'ই যা ভেসে আসে কানে,
এমন'ই কিছু দৃশ্য-কিছু শব্দ
আমারা যারা সমাজে বসাবাস করি তারাই সামাজিক জীব। এখানে পশু-পক্ষীর কোন স্থান নেই, ভোলারও নেই। ভোলাকে কুকুর হিসেবে দেখি না, অথচ আমারা সমাজের কতটুকুই বা দায়িত্ব পালন করি, ও করে।
নেতানো, জীর্ণ আর পেচানো শাড়ির আড়ালে,
তলপেটের চর্বি মেপে নিয়েছে চোখ I
যে চোখ দিয়ে নূর দেখার কথা ছিলো !
যে চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ার কথা ছিলো !
এ ভোরে সুর্য নেই কোনো
তাহলে আমার কথা শোনো
আমি বাঁচি কার তাতে ব্যথা?
আমরা পোড়াই শালীনতা।
অশ্লীলতার ধারে কাছে যেও না
তোমরা কারো ক্ষতি করো না
কখনো ব্যভিচারী হইও না
কারো তরে আঘাত হেন না।
সভ্যতার অক্টোপাস-
দিগন্তজুড়ে সভ্যতার ব্যানের,
অশ্লীলতার মহাপ্রলয়।
মূর্খতার বসবাস-
শিক্ষিত মানুয়ের বিবেকে চলে,
ভালো মানুষির অভিনয়।
পড়ে কি মনে পাপড়ি গোনার দিন,
তোমার গোলাপ বন?
উতাল হাওয়া, পাতার শিহরণ?
একলা বেলার খরস্রোতা নদী –
চক্রাবর্তে তলিয়ে যাওয়া নাও?