যুগে যুগে অশ্লীলতা তোমাকে করিছে অপমান;
তবু মানুষেরা মুখে মুখে গাইছে অসভ্যের গান!
ক্রোধে ক্রোধে মার্জিত শব্দ ভুলে গেছে মানুষ;
অগ্নিশর্মা হয়ে খুয়েছো তোমরা আপনার হুশ!
যুগে যুগে অশ্লীলতা তোমাকে করিছে অপমান;
তবু মানুষেরা মুখে মুখে গাইছে অসভ্যের গান!
ক্রোধে ক্রোধে মার্জিত শব্দ ভুলে গেছে মানুষ;
অগ্নিশর্মা হয়ে খুয়েছো তোমরা আপনার হুশ!
সবাইকে আটকে রেখেছে যে গোপন যন্ত্রণার বাঁধন!
দেহতেই যেন মিশে আছে জীবনের অর্থ,
ভয় হয় ভাই, এই বুঝি হাজির হয় ধ্বংসের মূহুর্ত!
অশ্লীলতার ধারে কাছে যেও না
তোমরা কারো ক্ষতি করো না
কখনো ব্যভিচারী হইও না
কারো তরে আঘাত হেন না।
পড়ে কি মনে পাপড়ি গোনার দিন,
তোমার গোলাপ বন?
উতাল হাওয়া, পাতার শিহরণ?
একলা বেলার খরস্রোতা নদী –
চক্রাবর্তে তলিয়ে যাওয়া নাও?
নাতি বলে দাদা চলো বাজারেতে যাই।
দরকারি কিছু জিনিষ কিনে আনি ভাই।।
দাদা বলে নাতি তবে সাবধানী হও।
চোখের হেফাজত ছাড়া তুমি নিরাপদ নও।
হিম দৃষ্টিতে নাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া,
মরা শাখে ঝোলে বুড়ি চাঁদ।
বেনীগেথে বুনো চুলে,
হাত ছানি দিয়ে নেমে যায় শিশিরের জলে।
সভ্যতার অক্টোপাস-
দিগন্তজুড়ে সভ্যতার ব্যানের,
অশ্লীলতার মহাপ্রলয়।
মূর্খতার বসবাস-
শিক্ষিত মানুয়ের বিবেকে চলে,
ভালো মানুষির অভিনয়।
অন্নপুষ্ট সুঠাম শরীর অনেক দামী
রোদে পোড়ে যৌবন জানেনি কখনও,
খিদের বসনে ঢাকে কি শরমিন্দা- শহর।
গোলাপের মহীরুহ পুষ্প কলি ;
শত বিঙ্গের কল্লোল ।
গগনের সুধাকর সৃষ্টার দান ,
তাকে ছাড়া জগৎ জননী অকল্যাণ ।
সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড, মধ্যাহ্নের সূর্যটা ঠিক মাথার উপরে। লিলি বাস কাউন্টার খুঁজে নিয়ে বসে—কত বাস আসে চলে যায়। কত মানুষ আসে যায়। মানুষগুলোর চোখ যেন ওকে গিলে খাচ্ছে। দৃষ্টিতেও যেন অশ্লীলতা! বাসের ড্রাইভার হেল্পাররা ওর মাথা থেকে পা পর্যন্ত দৃষ্টি লেহন করে চলেছে। কখন যে এর অবসান ঘটবে?