নেতানো, জীর্ণ আর পেচানো শাড়ির আড়ালে,
তলপেটের চর্বি মেপে নিয়েছে চোখ I
যে চোখ দিয়ে নূর দেখার কথা ছিলো !
যে চোখ দিয়ে অশ্রু পড়ার কথা ছিলো !
সেই চোখে রক্তের স্বাদ, শরীর ছোয়ার নিষ্পলক দৃষ্টি !
সদ্যোজাত কোলে হাত বাড়িয়ে দিলো, মুখে পারলোনা কিছু বলতে I
হয়তো চাওয়ার অভ্যাস তখনও রপ্ত হয়নি I
ফিরিয়ে দিয়েছিলাম সেদিন, যেমন ফিরিয়ে দিই রোজ I
এক আনার ও মূল্য আছে ভাই ! অর্থ কি আর গাছে ফলে?
হ্যাঁ, যৌনতা গাছে ফলে বৈকি !
আবার পঁচে মাটিতে পরে গড়াগড়িও খায় I
বেশ কিছুকাল পর,
বেস্যাচারের অপরাধে নির্বাসিত মেয়ে,
শহরের এক কোনে একচিলতে ঘরে, মাঝ রাতে ফেরে I
মুখভরা নিকোটিন, গায়ে উগ্র পারফিউম I
ঔরসজাত সন্তান, মায়ের কোলে মাথা,
পারফিউম আর নিকোটিনের গন্ধের মাঝেও পোড়া বারুদের গন্ধ I
টালির ফাঁক দিয়ে আকাশের জোত্স্না...তখন,
শিশুমনে সালফারের যোগান দেয়,
ঝলসানো চাঁদ, রুটি অথবা মন...সব যেনো তেতো II
কিছু অশ্লীলতা যেগুলো আমাদের দৃষ্টির আড়ালেই থেকে যায়, যেগুলো একান্তই মস্তিস্কপ্রসূত নির্বাক চলচ্চিত্র, অহরহ প্রশ্রয় দি I যেগুলোকে আমরা থামিয়ে দিতে পারতাম আমাদের ছোট্ট পরিসরে, এক বৃহৎ সৃজনশীল সামাজিক প্রেক্ষাপট লাভের আশায়, ভুলেযাই রিপুর খেলায় অথবা সামাজিক অভ্যাসে I পরিণতি ভঙ্গুর আর ভুলুন্ঠিত সমাজ I আশাকরি এই কবিতা আমাদের দায়বদ্ধতাকে উৎজীবিত করবে II