১.
এ ভোরে সুর্য নেই কোনো
তাহলে আমার কথা শোনো
আমি বাঁচি কার তাতে ব্যথা?
আমরা পোড়াই শালীনতা।
২.
ভিখারির হাত থেকে কড়ি
চলে যায় কোটালের হাতে,
শালীনতা থাকে স্মৃতি জুড়ে
গোলাপের চোখ খোলে রাতে।
৩.
আয় দেখি, খোল তোর ঝাঁপি
ওখানেই রাখি জিভ ঠোঁট
আত্মরতির ভয়ে কাঁপি,
মৃত্যুর মুখে বাঁধি জোট।
৪.
যুবতীর ভরাট রজনী
স্তন কিম্বা যোনি হয় যদি --
অশালীন তোমার তৃষ্ণায়,
ধুয়ে যাক পাপবিদ্ধ নদী।
৫.
এভাবেই বেঁচে আছে যারা
যুদ্ধের হীন পরাভবে।
তাদের রিক্ত প্রাণধারা
মৃত্যুকে স্বাগত জানাবে।
৬.
আলোহীন তারা খসা রাতে
বিনয়ের ক্ষীণ প্রতিঘাতে
তোমাকে ভিজিয়ে দেবে জল,
তথাগত এই সম্বল।
৭.
হৃদয়ের জলছবি থেকে
বিমুক্ত করে দিয়ো ব্যথা।
নদীটি ঈশানকোণে বেঁকে
আমাকে শোনাবে শোকগাথা।
৮.
লোকজন শোকগাথা ভুলে
আপ্লুত কলপ দেবে চুলে।
তারপরও বাকি যদি থাকে,
মিশে যাবে কই-এর ঝাঁকে।