ভ্রূণের ভবিষ্যত ভ্রষ্টের ভাবনায় ব্যতিব্যস্ত ভামিনি । ভিতরে ভিতরে ভয়।বাইরের ব্যক্তিবিশেষেও বিষয়টা ব্যক্ত । বাড়ীর বড়ো বউ বিমলাও ভীষণ ভীত । বাতিকগ্রস্ত বিক্রমের ব্যবহারে ভামিনি বাক্যহারা, বজ্রাহত । বুকে ব্যথা বাজলেও বাইরে বলতে বাধা । বুকের বিপুল ব্যথা ভামিনিকে বাণবৎ বিদ্ধকরণে ব্রত । বুকে বর্ধমান বহ্নিসিখাসম বাতি । ভারাক্রান্ত ভামিনি ভারিবর্ষণের বলাহকসম বুক বয়ে বহমান । ভামিনি বিনিদ্র ।
-
গল্প
'ঝড়কে পেলেম সাথি'ARJUN SARMA -
গল্প
নিবারণ মাঝিধুতরাফুল .নিবারণ মাঝি নৌকার গলুইয়ের শেষ মাথায় বসে আছে। সে তাকিয়ে আছে মাথাভাঙ্গা নদীর স্বচ্ছ জলে। সবুজ শ্যাওলার ভেতর ছোট ছোট মাছের খেলা চলছে । শরতের নীল আকাশের ছায়া পড়েছে মাথাভাঙ্গা নদীর জলে। শেষ বিকেলের কনে দেখা সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হচ্ছে নদীর দু পাশের কাশ বনে।
-
গল্প
ঝড় তর্পণJamal Uddin Ahmedউসকোখুসকো চুলে উদ্ভ্রান্ত বেশে বাহাদুর শাহ পার্কে বসে আছে নেসার । হাতে আধপোড়া সিগারেট। কখনও দম দিতে ভুলে যায়, কখনও গাঁজার কল্কে টানার মত জোরে টান দেয়। সকালে ফকিরাপুলের এক খাবার হোটেলে দুটো পরোটায় হালুয়া মেখে খেয়েছে। স্বাধীনতার পরপর প্রথম যখন ঢাকায় এসেছিল, তখন এটা তার প্রিয় নাশতা ছিল। এখন দুপুর। একটু একটু খিদে পাচ্ছে। পকেটে হাত দিয়ে দেখল এখনও বেশ কিছু কড়কড়ে নোট আছে। হয়ত বেশিদিন চলবে না। তবে আরও চার-পাঁচদিন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই চলে যাবে বলে মনে হয়।
-
গল্প
রোদের ক্যানভাসে আঁকা ঝড়রঙ পেন্সিলগরমের দিন। আকাশ মেঘলা বলেই হয়তো বিকেলটা ভারী সুন্দর। ভেজা ভেজা নরম আলোতে মাখামাখি চারদিক। শেষ বিকেলের এই ঘোলাটে মেঘের ছায়া গায়ে মেখে লীনা, লীনার মা সুমনা আর বাবা জাভেদ হোসেন হাসিমুখে পাশাপাশি হাটছেন। লীনা আড়চোখে একবার মা'র দিকে তাকিয়ে দেখে। কি সুন্দর নিষ্পাপ হাসি!
-
গল্প
একটি ঝড় ও কয়েকটি কবুতরসৌবর্ণ বাঁধন
বয়সের ভারে কিনা কে জানে! বউয়ের প্রতি ব্যবহারে পাটোয়ারীর দার্শনিক সুলভ নিস্পৃহতা চলে এসেছে। আগে যখন বয়স কম ছিল, তখন প্রায়ই বউয়ের প্রতি কথায় তুলকালাম পাকাতেন। কিন্তু এখন দীর্ঘ সংসার জীবনের অভিজ্ঞতায় বুঝে গেছেন, এসব করে লাভ নাই কোন! মেয়েদের কথার ঝড় একাই উঠবে আবার একাই কমবে! -
গল্প
আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়Ms Ahmadমা! যাকে আমি পছন্দ করতাম না? সে একদিন আমার সাথে দেখা করার জন্য বাগান বাড়ির পাশের রাস্তায় আসল। আমরা দু‘জনে অনেক আলাপ করলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম আকাশ উত্তর পশ্চিম দিকে আমাবস্যার ন্যায় অন্ধকার করে ফেলেছে। দেখতে দেখতে বাতাসও শুরু হয়ে গেল।
-
গল্প
অশনি মেঘবহতা নদীঘটনা বেশ জটিল দিকে মোড় নিয়েছে। জটিলতার এই গিঁটগুলো যতটা সম্ভব কড়াপাকের হওয়া চাই। একই সাথে জটমুক্তির ব্যাপারটাও যেন ঝর্ণা জলের গড়িয়ে পড়বার মত স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়। এসব প্যাচ খেলতে গিয়ে যুতসই শব্দ হাতড়াতে বেশ ধকল যায়। যতটা অনায়েস মনে হয়, সাহিত্যের ব্যাপারটা আসলে অতটা সহজ নয়।
-
গল্প
স্বপ্ন কেদারামাসুম বিল্লাহচোখ খুলল সহান। ভাঙ্গা জানালার ফাঁকা দিয়ে হেঁচে ছেচে পানি এসে পড়ছে আর চোখে। চোখের উপর পানি ঘেঁচে এসে পড়ায় তার ঘুম ভাঙ্গে গেছে। উঠতে গিয়ে প্রথমে উঠতে পারলো না। তার উপর আর ছোট দুই ভাই হাত পা উঠিয়ে ঘুমাচ্ছে। একজনের খাটে তিন জন ঘুমালে এভাবেই ঘুমাতে হয়।
-
গল্প
পান পাতার বাঁশিজাহাঙ্গীর মাসুদহায় হায় হায়! আমার একি হয়ে গেল? হায় ভগবান ! তুমি আমাকে এভাবে নিঃস্ব করে দিলে। আমার কপালে এই লিখে রেখেছিলে? আমার কি অপরাধ ছিলো? আমি কি দোষ করেছিলাম? এরকম শত কথা বলতে আর কাঁদতে কাঁদতে একজন মহিলাকে মাঠের দিকে যেতে দেখলাম। গলার আওয়াজটা পরিচিত বলে মনে হলো।
-
গল্প
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়সেলিনা ইসলাম N/Aবুবু বলেছে আমি তোমার পেটে থাকতেই আব্বা নাকি আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কারণ আমি তোমাকে মেরে ফেলতে ছিলাম! বড় বুবু বলেছে আমি মরে গেলেই ভালো হত! এইটুকু কথা বলতেই হাঁপিয়ে উঠেছে মেয়েটা! কথা বলতে বলতে বিনু ঠোঁট ফুলায়! ব্যস্ত হয়ে রিজিয়া বলে-
এপ্রিল ২০১৯ সংখ্যা
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৬” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৬ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলীএ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র। -
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
