মেজপা’র সেই ফোনকলটা নিয়ে বাসায় কী যে একটা ঝড় উঠেছিল ঐদিন! উফ!
সেদিন আমি একাই ছিলাম বাসায়। মেজপা প্রতিদিনের মতোই তার আড্ডাবাজ পার্টির সাথে কই যেন চলে গিয়েছিল। অন্যদিন একটু বেলা করে বেরোয়। সেদিন একেবারে ভোর হতে না হতেই হাওয়া!
-
গল্প
এক ঝোড়ো দিনের গল্পফাহমিদা বারী -
গল্প
ঝড় পরবর্তী ভাগফলপ্রজ্ঞা মৌসুমীএকান্ন, বাহান্ন, তেপান্ন... আহসানের চিরকুট পড়া গুনতে, গুনতে, গুনতে কেমন এক ঝিম আসে চোখে, যেমন ঝিম লাগে পাটিতে স্থবির শুয়ে কৃষ্ণপক্ষের নক্ষত্ৰ গুনার কালে। সেই যে তখন থেকে চিরকুট হাতে বসে আছে মানুষটা, ঝড়ে পড়া একটা ন্যাতানো গাছ যেন।
-
গল্প
ঝড় তর্পণJamal Uddin Ahmedউসকোখুসকো চুলে উদ্ভ্রান্ত বেশে বাহাদুর শাহ পার্কে বসে আছে নেসার । হাতে আধপোড়া সিগারেট। কখনও দম দিতে ভুলে যায়, কখনও গাঁজার কল্কে টানার মত জোরে টান দেয়। সকালে ফকিরাপুলের এক খাবার হোটেলে দুটো পরোটায় হালুয়া মেখে খেয়েছে। স্বাধীনতার পরপর প্রথম যখন ঢাকায় এসেছিল, তখন এটা তার প্রিয় নাশতা ছিল। এখন দুপুর। একটু একটু খিদে পাচ্ছে। পকেটে হাত দিয়ে দেখল এখনও বেশ কিছু কড়কড়ে নোট আছে। হয়ত বেশিদিন চলবে না। তবে আরও চার-পাঁচদিন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই চলে যাবে বলে মনে হয়।
-
গল্প
'ঝড়কে পেলেম সাথি'ARJUN SARMAভ্রূণের ভবিষ্যত ভ্রষ্টের ভাবনায় ব্যতিব্যস্ত ভামিনি । ভিতরে ভিতরে ভয়।বাইরের ব্যক্তিবিশেষেও বিষয়টা ব্যক্ত । বাড়ীর বড়ো বউ বিমলাও ভীষণ ভীত । বাতিকগ্রস্ত বিক্রমের ব্যবহারে ভামিনি বাক্যহারা, বজ্রাহত । বুকে ব্যথা বাজলেও বাইরে বলতে বাধা । বুকের বিপুল ব্যথা ভামিনিকে বাণবৎ বিদ্ধকরণে ব্রত । বুকে বর্ধমান বহ্নিসিখাসম বাতি । ভারাক্রান্ত ভামিনি ভারিবর্ষণের বলাহকসম বুক বয়ে বহমান । ভামিনি বিনিদ্র ।
-
গল্প
সত্য ঘটনা অবলম্বনেরিনিয়া সুলতানাআমরা যখন দাদু বাড়ি পৌছালাম তখন বিকাল ছুয়ে সন্ধ্যা। দাদিও তাই বাবাকে ফিরতে দিল না।কারণ আকাশে অনেক মেঘ ছিল।যেকোন সময় নাকি ঝড় হতে পারে।রাতে খাবার পরে মেজ চাচার ২ ছেলে আর আমি এক সাথে ঘুমাতে গেলাম।হঠাৎ বাইরে ঝড়ো হাওয়া শুরু হল।চাচাতো ভাই আমাকে বলল আমাদের বাগানের গাছে অনেক আম ধরেছে আম কুড়াতে যাব।
-
গল্প
রোদের ক্যানভাসে আঁকা ঝড়রঙ পেন্সিলগরমের দিন। আকাশ মেঘলা বলেই হয়তো বিকেলটা ভারী সুন্দর। ভেজা ভেজা নরম আলোতে মাখামাখি চারদিক। শেষ বিকেলের এই ঘোলাটে মেঘের ছায়া গায়ে মেখে লীনা, লীনার মা সুমনা আর বাবা জাভেদ হোসেন হাসিমুখে পাশাপাশি হাটছেন। লীনা আড়চোখে একবার মা'র দিকে তাকিয়ে দেখে। কি সুন্দর নিষ্পাপ হাসি!
-
গল্প
দৃষ্টিদানAzaha Sultanতখন আমার কতইবা বয়স, বড় জোর বার কিবা তের। সবেমাত্র ষষ্ঠশ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে সহপাঠি যাদের পেলাম তাদের মধ্যে আমার মামার শালক ‘শান্ত’ অন্যতম। আমি মা-হারা। আমার জন্ম হতেই মা যখন মারা গেলেন, তখন থেকেই আমি মামার বাড়িতেই মানুষ।
-
গল্প
একটি ঝড় ও কয়েকটি কবুতরসৌবর্ণ বাঁধন
বয়সের ভারে কিনা কে জানে! বউয়ের প্রতি ব্যবহারে পাটোয়ারীর দার্শনিক সুলভ নিস্পৃহতা চলে এসেছে। আগে যখন বয়স কম ছিল, তখন প্রায়ই বউয়ের প্রতি কথায় তুলকালাম পাকাতেন। কিন্তু এখন দীর্ঘ সংসার জীবনের অভিজ্ঞতায় বুঝে গেছেন, এসব করে লাভ নাই কোন! মেয়েদের কথার ঝড় একাই উঠবে আবার একাই কমবে! -
গল্প
নিবারণ মাঝিধুতরাফুল .নিবারণ মাঝি নৌকার গলুইয়ের শেষ মাথায় বসে আছে। সে তাকিয়ে আছে মাথাভাঙ্গা নদীর স্বচ্ছ জলে। সবুজ শ্যাওলার ভেতর ছোট ছোট মাছের খেলা চলছে । শরতের নীল আকাশের ছায়া পড়েছে মাথাভাঙ্গা নদীর জলে। শেষ বিকেলের কনে দেখা সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হচ্ছে নদীর দু পাশের কাশ বনে।
-
গল্প
অশনি মেঘবহতা নদীঘটনা বেশ জটিল দিকে মোড় নিয়েছে। জটিলতার এই গিঁটগুলো যতটা সম্ভব কড়াপাকের হওয়া চাই। একই সাথে জটমুক্তির ব্যাপারটাও যেন ঝর্ণা জলের গড়িয়ে পড়বার মত স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়। এসব প্যাচ খেলতে গিয়ে যুতসই শব্দ হাতড়াতে বেশ ধকল যায়। যতটা অনায়েস মনে হয়, সাহিত্যের ব্যাপারটা আসলে অতটা সহজ নয়।
এপ্রিল ২০১৯ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
