এখনো কি তুমি হাসো, এখনো কি কিছুটা প্রেম আমার জন্য আঁকো;
দ্যাখো নিবিড় নক্ষত্রের সাথে চলে আমার দ্রোহের কবিতা
মাঝরাতে আমার সাথে ছলনা দেখায় পূর্ণিমা;
নীলিমারা কত রঙে সাজে, অদ্ভুত রকমে খেলে
আমিও লুকিয়ে লুকিয়ে হাসি, প্রেম কলসির গান মুখে তুলি!

নীরবতা যেভাবে শব্দকে ভেঙে দেয়,
কাগজে আটকে রাখে
শতাব্দীর বর্ষীয়সী ধ্বনি,
পাহাড়ের বুনো ঝর্ণাকে তুলে ধরে
বইয়ের প্রচ্ছদে

অন্ধকার বুক চিরে-
কালোরাত্রি আসে;
মানুষের আর্তনাদ
শুধু বুঝি ভাসে!

এখনো কি সেই পথ দিয়ে হাঁটো,
যে পথে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম।
এখনো কি কথার তালে নিজেকে রাখো,
যে কথায় আমি মাতিয়েছিলাম।

দুরন্ত মেঘ উড়েছে,পিছনে অমিত পাহাড়,
বসন্তদূত দাড়িম শাখে,মৃগ পেয়েছে কাঁচা বাদাড়।
বাদল গড়েছে রেণু,ঠুসি খুলেছে ধেনু।
পথ চলেছে মাঠের শেষে,মাঠ চলেছে বধূর দেশে।
প্রেম তল্লাশে প্রণয় ডুবেছে জলে,

সব জানে সন্ত ভ্যালেন্তিন – তির ভোঁতা, ভাঙ্গা ধনু
ঠুনকো লীলাখেলা – হাটের হাঁড়িতে বিকোয় প্রেমরস
হৃদয়ের ফাটল গলে ভালবাসা চম্পট দেয় চকিতে।

আমি বিস্মৃত তোমার মোহে,
তোমার অনিমেষ চাহনির চোখে;
হাজার স্বপ্নেরা যেথা ভিড় করে অহর্নিশ।
তোমার ছুটে চলা অনন্ত পথ,
আর আমার উবে যাবয়া ছন্দের নালিশ।

চিঠির শুরুটা ঠিক এই ভাবে
প্রিয় তুমি ।।
জীবনের অনেকটা পথ আমরা
এক সাথে পার করেছি
কেটেছে অনেক সময়ে, একত্রে
তুমি ছিলে অন্য জগতে আর আমি
আমার কথা,নাই বা বললাম ।

অপেক্ষার কালো মেঘে ঢেকেছে
শুভ্রতার সবকটা আকাশ ।
ভালবাসার রংধনুতে কেটে গেছে
সাত রঙা সাতটি বছর।