অদূরে অদৃশ্য ভ্যালেন্টাইন

ভ্যালেন্টাইন (ফেব্রুয়ারী ২০১৯)

Md.Ashaduzzaman Chowdhury
  • ৫৬
আমাদের দেশে ভালোবাসা ভয় পায়,
অল্প কিছুর সহমর্মিতায় ভয় পায় মন,
লুকিয়ে ভয়কে জয়ের চেষ্টা হয়,
অথচ বৃথা হয় চেষ্টার জয়।

আমাদের দেশে মন বলে কিছু নেই,
নষ্ট সমাজের একের পর এক নির্মম আঘাতেই,
অতীত থেকে জন্ম হওয়া এই আঘাত-
দূরে থেকে কষ্টকে হাস্যবরণ করে
মহান হওয়া মনকে শূন্যে দিয়ে,
দূরে থেকে কষ্টকে মেনে নিয়ে?

আমাদের দেশে টাকা যখন কথা কয়,
মানুষ তখন অমানুষ হয়,
অমানুষ সহাস্যে ভোগ করে আরাম
নিষ্পাপ আত্মার ঘুম করে হারাম।
ভালোবাসা কি অমানুষের টাকার কাগজ সমেত ?
সেটা ইচ্ছে হলেই চাইবে ? ইচ্ছে হলেই ঢালবে?


দূরে থেকে তারপরও সুখ আসে,
প্রাণ বলে একটা কথা তো আছে!
সময় বলেও তো একটা কথা আছে!
একদিন ঠিকি সমীকরণ আসবে,
মিলবে তখন,
তখন মিলবে সমীকরণের উভপাশ।


আমাদের দেশে স্বপ্ন দেখতে ভয় হয়
নতুন কিছুর জন্য বাধ্য হয়ে যায় মিথ্যার
সুউজ্জ্বল ধ্বনি,কত সহজেই, কত সহাস্যেই।


সত্যকে সাজিয়ে, বিচিত্র মিথ্যার আশ্রয়ে,
মানুষ কেন এতো নির্বুদ্ধিতা করে?
মানুষ কি সত্যিই ভালো কিছু করতে পারে ?
ভ্যালেন্টাইন এ ভালোবাসা, চোখে শুধুই ভাসে,
শহরের পিচ ঢালা রাস্তার ফুটপাতের ধারে
লাল কৃষ্ণচূড়া, ভালোবাসার নির্বাক মমতা দেয়
শহর ভর্তি লোকের মাঝে,স্থায়ী স্বল্প সময়ের মাঝেও।



মানুষ নিশ্চুপ থেকে, কষ্ট পেতে ভালবাসে
এটা নিজের প্রতি এক প্রকার সম্মান,
এই সম্মান টুকু যদি নিজেকে স্পর্শ দিত !!!!
তাহলে ভ্যালেন্টাইনে আজ পবিত্র আত্মায় মানুষ হিসেবে,
বাস্তবের সুখে সত্য স্পর্শ করতে পারতো!

এই ভ্যালেন্টাইন এর আগে ও পরে ও ,
আমাদের দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় সাহিত্যের জন্ম ও মৃত্যু হয়,
আমাদের দেশে সাহিত্য এতোই সস্তা রে ভাই --
প্রতিটি বাড়ীর সবাই সাহিত্যিক,
বাকী সব শুধুই পাঠক,
শুধুই পাঠিকা ।

ভালোবাসা সত্যিই কি একক কিছু চায়?
আমাদের দেশে কান্না করলে,সবাই হাসে
অতীতের দোষ টেনে চুপ করিয়ে দিয়ে।
আমাদের দেশে সবাই নির্দোষ, শুধু নিজে নিজে ছাড়া
আমদের দেশ এই নির্দোষীদের রাজ্যশালা
হুম, তাই তো নেই আমাদের পাঠশালা ।
ভালোবাসার পরাধীনতায় আজ
দুটো শরীরের স্পর্শ হলেও,
তেজ হীন, শক্তিহীন-
নিসঙ্গ মলিনতায় হাহাকার করা কেন ??
ভালোবাসা আজ কোথায়?
কোথায় ?
আজ,
আছে সব কিছুতে কল্পনার বাস্তবতা,
নিজ পরিবার ও দেশে মুর্খও রাজা
আমাদের দেশে মুর্খের জয় যাত্রা।
ভালোবাসায় ভালোবাসার মুর্খতায়!

আমাদের দেশে আর কি কি?
কী কী? হয় হয়? না না হয় ?
আমদের দেশে- দেশের মাঝে দেশ,
আবার দেশ, এই দেশেই- তৈরি হয় দ্বেষ
তাই তো ভয়,
তরূণ বুকে স্বপ্নের দৃশ্যমান কঠিন আঘাত,
বাস্তব চোখে সময় অসময়ে সয় ,
আমাদের দেশ তাই,
সময় অসময়ে, রাত্রিতে দিন আনে ,
আমদের দেশ রাত্রিতে------------


ভালোবাসা ভয় আনে,কাথার তলে চোখের লবনাক্ত সাগরে।

তরূণীর ভালোবাসা চারদেয়ালের মাঝেই রয়,
প্রতিদিন অসহ্য নির্মমতায়,হঠাৎ হঠাৎই
ভালোবাসায় সুপ্ত রজনীতে একাই আঘাত হানে,
একাই ভোগ করে,
অথচ আধারে ও নীরব রয় আঘাত এর চিহ্ন।
প্রতিদিন,
সকাল হলেই আবারো শিরায় শিরায় মিথ্যে জাগে,
সুর্য কাঁদে,মিথ্যেরা হাসে,নতুন উপবাসে


ভালোবাসা ভয় পায়,
ভালোবাসা নিরলস বেঁচে থাকা প্রতিটি কোষের মাঝে
চুপ রাখে,যত্ন করে-
মরণ বা জীবন এর জমে থাকা প্রেম,আর্তনাদ আর বুক ভরা ভালোবাসা।
ভালোবাসা ক্ষণিকেই
অপেক্ষা করে অতীতের, অপেক্ষা করে- অতীত থেকে আসা জীবনের এই বর্তমান,
বর্তমান থেকে এই অবধারিত জীবনে, ক্লান্ত ভবিষ্যতের।


তাই ,
রাত হলেই ভালোবাসা গম্ভীর হয়ে যায়
সমস্ত রাতে একলা মনে ,
কখনো চেতনার গভীরে নিশ্চুপ থেকে
কখনো প্রকাশ্যে নয়নে, পবিত্র কোমল অশ্রুর নামায় ঝরণা।
এই অশ্রু অন্যের কাছে আনন্দের স্রোত দেয়,
যোনীর মুখে সাময়িক একাকী একত্রতায়।
অথচ কত গভীর কষ্ট প্রতি বিন্দু অশ্রুতে!!
তা যদি বুঝতো!!!!!!!

আমাদের দেশ এমনই,ভালোবাসা ভালোবাসার খোঁজে
হত্যা করে প্রতিদিন লক্ষ ভালোবাসাকে
মিথ্যারাই সত্য হয় তখন,
ভালোবাসা নিভে ,ভালোবাসা জ্বলে,
তবুও
গোপনে জীবন চলে সর্বক্ষণ।




আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রণতূর্য ২ ভালো লেগেছে। ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
নাজমুল হুসাইন ভালোবাসা নিভে ,ভালোবাসা জ্বলে, তবুও গোপনে জীবন চলে সর্বক্ষণ। ভালো লাগা রইলো।ভালো থাকুন নিরন্তর।আমার পাতায় আসবেন সময় পেলে।ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
মোঃ জামশেদুল আলম কবিতার ভাব ভালো লেগেছে। তার চেয়ে ভালো লেগেছে আপনার ব্যাখ্যাটি। ভালো থাকবেন। ভোট, ভালোবাসা, শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
বালোক মুসাফির শত লাইনের উপরে লম্বা দীর্ঘ একখান কবিতা। সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে কবিতাটি লিখার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
ধৈর্যকে সার্থক অবস্থায় পেলাম আপনার মন্তব্যে,অনেক অনেক ধন্যবাদ চক্ষুর ধৈর্য্যকে কবিতার প্রথম থেকে শেষ লাইন অবধি পৌছানো ও মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
রুহুল আমীন রাজু মুগ্ধ হলাম কবিতা টি পড়ে। কবিকে শুভেচ্ছা। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, কবিতাটি ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য। অবশ্যই আপনার পাতায় দু'হাতের আঙ্গুলের কৃত্রিম স্পর্শে গমন করব ও মন্তব্যে নিজেকে সপে দেব।
ভালো লাগেনি ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আমি এই কবিতার মাঝে আমাদের দেশের তরূণ তরূণীর প্রতিদিন এর জীবনে ঘটা মান অভিমানের গড়ে ওঠা পবিত্র মনের ভালোবাসার প্রতি পরিবারের প্রচণ্ড হেয়পনা, পবিবারের চাওয়া পাওয়ার কাছে নিজের ভালোবাসাকে ছেড়ে অন্যের সাথে ঘর বাঁধা, গ্রামের মেয়েদের মনে ভালোবাসা থাকলে ও তাতে পরিবার বাধা দেয়, শেষ করে দেয় স্বপ্নের পথ , জীবনের উপর এক প্রকার একাকী অবস্থা ইত্যাদি অনেক বিষয়কে সরাসরি প্রকাশ না করে সার্বিক ভাবে বিভিন্ন কথা যোগে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। রাত হলেই পুরুষের কামনা জন্মে,অথচ যে মেয়ের সাথে সে এমন কামনা অনুভব করে সে কী আসলেই তার যোগ্য ? মেয়েটির ভালোবাসার মানুষকে জোড় খাটিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে মেয়েকে অন্য পুরুষের কাছে তুলে দিয়েছে পরিবার, পরিবার এখানে শুধু শরীরকে অন্য পুরুষের কাছে দিয়েছে,ভালোবাসা দিতে পারে নি। এই যে এক প্রকার এই ধারা আমাদের সমাজে গ্রাম অঞ্চল থেকে সেই আদিকাল থেকে চলেই আসতেছে, বর্তমানে কমে যাচ্ছে ব্যাপারটা ,কিন্তু তারপরও। তাদের সেই অবস্থার জন্য গড়ে ওঠা নতুন পরিবার ও ভালোবাসার উপর তার পাওয়া শিক্ষার প্রভাব খাটায় , এভাবেই ভালোবাসা বঞ্চিত হচ্ছে। তরূণ তরুণীরা ভালোবাসায় যুক্ত হলেও তা ভেঙ্গে যায়,মিথ্যের কাছে। এই সব বিভিন্ন বিষয়কেই কবিতায় তুলে ধরতে চেয়েছি । ভূল বানান ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। অবশেষে বলি--ভালোবাসা দুটো আত্মার প্রাণ, এটা সৃষ্টি কর্তার সবচেয়ে সহজ সমীকরণ,কিন্তু আমরা মানুষ তাতে কত কি করে ফেলি।বেঁচে থাকুক সকল মানবীয় ভালোবাসা, প্রেম আর সত্য জীবন পথে এগিয়ে চলা ।

২৮ ডিসেম্বর - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী