সুলক্ষ্মীর আমন্ত্রণ পাওয়া মানেই নতুন কিছুর সাথে পরিচয় হওয়া এবং অদ্ভ’ত রোমাঞ্চকর ঘটনার জন্ম দেওয়া। এবার আমন্ত্রণ, ভ্যালেন্টাইন দিবসের। শুভ ভাববার চেষ্টা করছে, কি হতে পারে এবার...? না, ভাবনার ভ’বনে গহীনে ডুব দিয়েও কোনো কিছুর আঁচ করতে পারছে না সে। অথচ অবাক কান্ড- শুভ সম্পর্কে অনেক কিছুর ভাবনা কিংবা ধারণার অগ্রীম তথ্য দিতে পারে সুলক্ষ্মী! এছাড়া পারিপার্শিক বিষয়েও সে ধ্যানমগ্ন হয়ে যা বলে, তা’ই হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবে বললেও ফলে। অথবা খুব কাছাকাছি অবস্থানে মিলে যায় তার কথা। মেয়েটি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নিয়ে জন্মেছে হয়তো!
একবার শ্রাবনের এক মধ্য দুপুর। ইলশেগুড়ি বৃষ্টিতে ব্রমপুত্র নদীর তীরে ওরা বসে নতুন পানির শ্রোত উপভোগ করছে। যদিও পানি ছিলো বেশ ঘোলাটে, তবে শ্রোত ছিলো। ছিলো- নদীর ওপারে সবুজ পাট গাছের বিশাল সমারোহ। মেঘলা আকাশে বৃষ্টিতে ভিজে একদল শালিকের ¯স্নান করার আনন্দ। হঠাৎ সুলক্ষ্মীর চোখ পড়লো, পাশ দিয়ে একটি ছোট্র জলাশয় অতিক্রম করার ছলাৎ ছলাৎ জল ভাłঙ্গার শব্দের দিকে। এক কিশোরী মহা আনন্দে জলে শব্দ করে পাড় হচ্ছে। আর এক বৃদ্ধা হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে এগুচ্ছে। ও শুভকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো, এখানে একটা সেতু হচ্ছে না কেন ? উত্তরে শুভ বললো, তোর কি মাথা নষ্ট ? তিন চারটি বাড়ির জন্য এখানে সরকার ব্রিজ বানাবে! সুলক্ষ্মী দৃঢ়চিত্তে বললো, কেন এরা কি মানুষ না ? একটা বাড়ি থাকলেও এখানে সেতু নির্মাণ করা দরকার। শুভ রসিকতার সুরে বললো, আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, এখানে সেতু করার জন্য তোকে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। চল উঠি। বৃষ্টি বাড়ছে। ওরা চলে আসে ওখান থেকে।
বেশ কিছুদিনপর শুভ ঐ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলো। ও অবাক এবং বিস্মিত- সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে একটি ছোট সেতু !!
সেই সাথে জন্ম হলো একটি কবিতার- ‘সুলক্ষ্মী সেতু’। কবি, শুভ।
বিষয়টি ফোনে সুলক্ষ্মীকে জানানোর পর, সে তো আনন্দে আত্বহারা !! কিন্তু, আজো সে সতেুটি দেখতে আসেনি। তারপর এ কথার বিস্ময়তার রেশ ধরে ও ফিরে গেলো অতীতে। হাফপ্যান্ট পরা অবস্থায় গৃহ পালিত সখের এক গরু নিয়ে কথা উঠে। হঠাৎ সে তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো, গরুটি বেশিদিন বাঁচবে না। সুস্থ সবল প্রিয় গরুটি পরদিন’ই মারা যায়।
এরপর আমন্ত্রণ আসে- হাওড় দর্শন, হাসি-আনন্দ, এমন কি কাঁদবার আমন্ত্রণ। সব কিছুতেই ঘটে যায় ভিন্নরকম আনপ্যারালাল ঘটনা। ও কাঁদলে যেনো বুকের পাঁজর মড় মড় কওে উঠে, হাসলে জোছনার আলো ছড়ায়। শুভ’র ভেতরে শব্দ হতো কাঁচ ভাঙ্গার। এখন হয় বৃষ্টি পড়ার রিমঝিম প্রশান্তির শব্দ। সুলক্ষ্মীর চুলে আবিস্কৃত হয় পাগল করা মিষ্টি এক সুভাস। আর সবচেয়ে বড় আবিস্কার হয়, তার ‘পা’ এ। পায়ে নূপুর পড়ে না সুলক্ষ্মী, তবুও হাঁটলে রিনিঝিনি শব্দ বাজে। তার ‘পা’ দুটি অদ্ভূত ঘটনার চিহ্ন বহন করছে। মানুষের মস্তিস্কের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ হলো ‘পা’। মানুষ মসজিদ মন্দির ও গীর্জায় কপাল ছোঁয়ানোর পূর্বে ঐ স্থানে প্রথম স্পর্শ করে ‘পা’। এসব আবিস্কারের সহযোগিতার পেছনে যার উল্ল্যেযোগ্য ভ’মিকা তিনি হলেন, একজন প্রবাসী সাইকোলজিষ্ট ডক্টর মোশাররফ হোসেন।
শহর থেকে দুরে উপশহর। এক ছিমছাম গোছানো আবাসিক হোটেলে ভ্যালেনটাইন দিবসে শুভকে আমন্ত্রণ জানায় সুলক্ষ্মী। হোটেলবয় এসি চালু করে সুগন্ধী স্প্রে দিতে গেলে শুভ বারণ করলো। ওর চুলের গন্ধ নেওয়ার জন্যে’ই বারণ করা। বিষয়টি বুঝতে পেরে সুলক্ষ্মী মৃদু হাসছে। তার চুলের গন্ধ হাসির জোছনার আলো আর পায়ে নূপুরহীন নূপুরের ঝংকারে ঘরটি এক মায়াময় পরিবেশের আবহ তৈরি করলো।
শুভ প্যান্টের পকেট থেকে বের করে লাল গোলাপের পাঁপড়ি সুলক্ষ্মীর উপর ছড়িয়ে দিলো। বকের পালকের মতো ধবধবে সাদা বিছানার চাদরে নীল শাড়ি পড়ে বসা ও। গোলাপের লাল পাঁপড়িগুলো সাদা চাদর ও নীল শাড়ির উপর যেনো মাতাল উল্লাসে মেতে উঠেছে। সিলিং ফ্যানের হাওয়ায় সুলক্ষ্মীর চুল এবং পাঁপড়িগুলো উড়ার উম্মাদনায় একাকার। শুভ অবুঝ শিশুর মতো অপলক চেয়ে আছে তার দিকে।
সুলক্ষ্মী কাঁপা কন্ঠে বললো, কি দেখছিস ? শুভ নিরুত্তর। ও আবার বললো, কিরে শয়তান কি দেখছিস বোকার মতো ভ্যাবলা চোখে ?
শুভ একটা দীর্ঘ নিঃস্বাস ছেড়ে বললো, শয়তানীকে দেখছি। তুইতো দেখছি পরীর চেয়েও সুন্দর !!
ঃ তাই নাকি ?
ঃ হুমম।
ঃ কই আগেতো কখনো বলিসনি ..
ঃ আগে বলেনি, আজ বললাম।
ঃ ওকে ধন্যবাদ। যা টেবিল থেকে আমার ব্যাগটি নিয়ে আয়।
ঃ কি আছে ব্যাগে ?
ঃ সাপ, কালনাগীনি।
ঃ ফাজলামো করবি না। কি আছে তাতে সত্যি করে বল...।
ঃ বললামনা কালনাগীনি.. যা শয়তান, আমি’ই আনছি। বলে সুলক্ষ্মী ব্যাগটি নিয়ে এলো।
শুভ তাকিয়ে আছে বাল্বের দিকে। একটি রঙ্গীন প্রজাপতি আলোর দিকে মনের আনন্দে উড়ছে।
সুলক্ষ্মী বললো, পেছনে তাকা। শুভ ঘার ঘুরাতেই দেখে সাপ হাতে ও। চমকে উঠে সে!
ঃ ওরে বাবা, এতো দেখছি সত্যি’ই সাপ! একি কান্ড ...? তোর কাছে সাপ কেন ?
ঃ তোর উপহার। এটা এক বেদেনীর কাছ থেকে ক্রয় করেছি। দাম তিন’শ টাকা। নে ধর ..
ঃ বলিস কি ! আর কোনো উপহার খোঁজে পেলি না ? সাপ আমি ভীষণ ভয় পাই। এমন দিনে কাউকে সাপ প্রেজেন্ট করতে আমার বাপ জীবনেও শুনিনি। শয়তান কোথাকার।
ঃ হাতি ঘোড়া কুকুর পাখি যদি প্রেজেন্ট করা যায়, সাপ নয় কেন ? ধর বলছি ...
চোখ বন্ধ করে সাপটি হাতে নিলো সে। সুলক্ষ্মী এই সময় শুভ’র বুকে মাথা রাখলো। শুভ সাপটি হাতে নিয়েই বুঝতে পারলো, এটি প্লাষ্টিকের। ও আরো বুঝতে পারলো, তার বুকে নীল পরী। ওর চুলের গন্ধে দিশেহারা হয়ে পরছে শুভ। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সুলক্ষ্মী হাত ছাড়িয়ে নেয়। মৃদু সুরে বললো, লক্ষ্মী ছেলের মতো বিছানায় গিয়ে বস। শুভ তাই করলো।
সুলক্ষ্মী তার ব্যাগ থেকে টিফিন ক্যারিয়ার বক্স বের করলো। তা দেখে শুভ বললো, এবার কি দেখাবি- নিশ্চয়’ই ব্যাঙের ফ্রাই... যা দিয়ে হবে এখন ডিনার। ও কোনো জবাব দিলো না। ঠোঁটে আলতো হাসি নিয়ে আয়োজন শুরু করলো।
খাবারের আইটেম দেখে শুভ অবাক হয়ে যায়। তার সবচেয়ে প্রিয় খাবারের মধ্যে একটি পদ জোগাড় করে এনেছে সে। আতপ চালের ভাত আম দুধ আর দেশী শবরী কলা।
সুলক্ষ্মী বললো, যা লক্ষ্মী ছেলের মতো বিছানায় গিয়ে বোস।
ঃ না, আমি আজ লক্ষ্মী হবো না। অলক্ষ্মী হবো। বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো অলক্ষ্মী...
ঃ মিষ্টার খড়ম আলী, খড়মের পিটুনি খাবি।
ঃ খড়ম বিলুপ্ত হয়ে গেছে, তা পারবি না মিস ঝাঁটা বেগম। হা হা হা ... (ফেলে আসা জীবনের একটি ঘটনাপ্রবাহে ওরা একে অপরকে এমনি’ই হাস্যকর নাম ধরে ডাকে।)
ঃ ওকে, তাই যদি হয়- তো আমি বিদায় নিলাম।
শুভ শক্ত করে ওর হাতটি ধরলো। শুভ’র অভিজ্ঞতা আছে, ও যা বলবে- তা’ই করে বসবে। রাত যে এখন গভীর, তা কোনো বিষয় না তার কাছে। শুভ লক্ষ্মী ছেলের মত’ই বিছানায় গিয়ে বসলো।
সুলক্ষ্মী বেশ যত্ন সহকারে আম দুধ ও কলা আতপ চালের ভাত মাখালো। পরে পরম মমতায় নিজের হাতে শুভকে খাওয়াতে লাগলো। নরম সুরে বললো, তোর এই খাবারটি আমার আজকের উপহার। কেমন লাগছে কিছু বলছিস না যে ..
শুভ কোনো উত্তর দিলো না। ও তন্ময় হয়ে ভাবছে, কি মায়াবতী মেয়ে সে! রূপের চেয়ে ভেতরের রূপ দুর্লভ অসাধারণ সুন্দর !!
ঃ এখনোতো কিছু বললি না, খাবারটা কেমন হলো।
ঃ সত্যি করে বলি ?
ঃ হ্যাঁ, অবশ্যই সত্যিটা বল।
ঃ একটু লবনের ঘাটতি আছে। তবে অবারঅল তুলনাহীন! শুভ এবার সুলক্ষ্মীর কোলে মাথা রাখলো।
ঃ একি করলি ? আসলে লবন আনতে মনে ছিলো নারে...
ঃ বুঝতে পেরেছি। আর তোর কোলে মাথা রাখা যায়, তাই রাখলাম। আচ্ছা, আজীবন এভাবে তোর কোলে মাথাটা যদি রাখতে পারতামরে লক্ষ্মী...
এ কথায় সুলক্ষ্মী কেঁপে উঠে। কোনো উত্তর দিতে পারেনি সে। মানুষের পক্ষে সব উত্তর দেওয়াটাও অসম্ভব। হয়তো এই উত্তরও অসম্ভবের আওতাভুক্ত। সুলক্ষ্মী বললো. আমাদের সম্পর্কটা আসলে কি- তুই জানিস ?
ঃ জানি না। তুই বল।
ঃ হয়তো ঐশ্বরিক।
ঃ সুন্দর বলেছিস- ঐশ্বরিক।
হঠাৎ শুভ লক্ষ্য করলো- লবনের যে ঘাটতি ছিলো. তা পূরন হয়ে গেছে। লবন রহস্যের বিষয়টি আবিস্কৃত হয়, ওর চোখের ক’ফোটা জল যখন তার গালে এসে পড়ে। সুলক্ষ্মী অঝরে কাঁদছে। সেই জল অধিকাংশ’ই গড়িয়ে পড়ে দুধ ভাতের প্লেটে। মানুষের চোখের জলে শুধু কষ্ট ব্যাথারাই থাকে না, উল্টোপিঠে সাগরের লবনাক্ততাও বিদ্যমান। যা কখনো কখনো কারো খাদ্য বা চিত্তের খোড়াক মেটায়।
শুভ গম্ভীর কন্ঠে বললো, জানিস- তোর চোখের জলে লবনের ঘাটতি পূরণ করলি খাবারে। এ এক আজব ঘটনার পাশাপাশি ইতিহাসও তৈরি হলো! আজ তোর চোখের জল খেলাম আমি!
এই ইতিহাসের কিছুদিনপর শুভ’র কলমে জন্ম নেয় একটি কবিতা-
‘পা’
পৃথিবীর কোনো নারীর পায়ে দুশ্যমান
প্রথম চুমু আঁকা মানুষটি সম্ভবত ’জন পপ পোল’।
‘মাদার তেরেসা’র পায়ে
এঁকে ছিলেন সেই চুমু।
আর দ্বিতীয় মানুষটি বোধহয় আমি,
এঁকে ছিলাম, সুলক্ষীর পায়ে।
কখনো চঞ্চল কখনো শান্ত
সে পা স্পর্শ করে মেঠোপথ
শিশির ভেজা কোমল ঘাস
কুয়াশায় একাকী লুকোচুরি খেলা
উদাস দুপুরে কাশবনে ছুটে চলা
নীল আকাশে লাল ঘুড়ি উড়ানো
চাঁদনী রাতের আলোকিত রুপোর মাটি
অসহায় নিরন্ন মানুষের আঙ্গিনা।
তার পা স্পর্শ করার স্বপ্নে বিভোর
আকাশ হিমালয় এমনকি শপ্তর্ষী পর্যন্ত
কথা ছিলো,
সেই পায়ের নুপূরের ঝংকার
শোনাবে একমাত্র আমাকে’ই।
যার পা - গহীন তথ্যের মানচিত্র।
জানি না, কোন ভুলে সেই পা আজ,
অদৃশ্য পথে যাত্রা করার মহড়া দিচ্ছে...
আমি সূর্য-সপ্তর্ষীকে স্বাক্ষী রেখে বলছি-
এই মহড়া একদিন ব্যর্থ হবে। হবে’ই।
কেন না, সেই চুমুটা ছিলো- ‘অঞ্জলি’
যা সুলক্ষ্মীর পা’ই
এই অধিকার অর্জন করেছিলো।
হতে পারি আমি অভিযুক্ত অভিশপ্ত ঘৃণীত
আচ্ছা, ভুলতো মানুষ’ই করে,
শয়তান কখনো ভুল করে না।
আজ আবারো প্রমাণ হলো-
আমি মানুষ।
মানুষের কাছে’ই তো ছুটে আসে মানুষ,
ভুল থেকে’ই যে হয় নির্ভুল
ভুল থেকে’ই যে ফুটে ফুল।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
ভালোবাসা সে এক পৃথিবী সৃষ্টি থেকে অদ্যবধি মানুষের কাছে চিরন্তন অনুভ’তির অধ্যায়। ভালোবাসা মানুষকে যেমন স্বর্গীয় অমীয়ধারায় নিয়ে যায় ; তেমনি আবার নরকের যন্ত্রণার চেয়েও আরো ভয়ংকর ধারার তৈরি করে। ‘ভ্যালেন্টাইন’ দিবস সংখ্যায় আমার লেখা গল্প ‘চোখের জলভোজ’ স্বর্গ নরক হাসি আনন্দ বেদনার উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি বাস্তব ও উপমার আলোকে। আমার বিশ্বাস, গল্পটি এবারের বিষয়বস্তর সাথে সামঞ্জস্যতা বিদ্যমান রয়েছে।
০৬ এপ্রিল - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৩৭ টি
সমন্বিত স্কোর
৬.৪৮
বিচারক স্কোরঃ ৩.৭৩ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ২.৭৫ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪