ক্ষণজন্মা নামে সম্বোধন করলাম।সে চলে গেছে ফ্যাকাসে দেহকাঠামো অবশিষ্ঠ রেখে।সেদিনও নানান মুখে একটি কথায় শুনতে পেলাম।
-আহা,কি সুন্দর ছিল মেয়েটা!

এক শুদ্র কিছু কিছু লিখতে শিখেছিলো। অবিরাম লিখেই যেতো সে। তবে জাতে সব থেকে নিচু হওয়াতে উঁচুতলার মানুষেরা তার লিখা পড়ত ও না, কোথাও ছাপতোও না।

একদিন চলার পথে এক ব্রাহ্মণ লেখককে ভুলবশত ছুঁয়ে দেয় শুদ্র। তাকে চিনতে পেরে ছিটকে সরে যায় ব্রাহ্মণ!
' একি ঘোর অনাচার, ওহে পাপিষ্ঠা দুরাচার! ছুঁয়ে দিলি আমায়, নির্বোধ কোথাকার?'

সে তো আমাকে অনেক ভালবাসে, তাকে যতো'ই অবহেলা করি সে আমাকে ছেড়ে যাবে না!
এ ভাবে আপনি যেনে না যেনে অবহেলা করতে থাকলেন আর ভাববেন আমি যাই করি সে আমাকে ছেড়ে যাবে না..../

শেষ বিকেলের সূর্য অস্ত গেছে সে অনেকক্ষণ হলো...পশ্চিম আকাশের বুকে এখনো লালচে আভায় রক্তসন্ধ্যা...দূরে কোথাও বউ কথা কও পাখি ডাকছে!সন্ধ্যা তারাটা বড় নিঃসঙ্গ ভাবে আকাশের বুকে জ্বলজ্বল করছে!

মা’র সাথে ভিক্ষা করতে করতে পথ চলা ছয় বছরের শিশু হোসেনের । আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, নিউ মার্কেট এক বছর যাবত ঘোরাফিরা করতে করতে সব হোসেন’র কাছে পানির মত হয়ে গেছে। কোন্ রাস্তা দিয়ে ঢুকে কোন রাস্তা দিয়ে বেরুতে হবে সেটা তার নখদর্পনে।

সবে মাত্র আমি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গ্রামের দেখাদেখি আর মা বাবার এক ছেলে নষ্ট হয়ে গেলে কেমন হবে এ বিবেচনা করে আমার অজান্তে বাবা আমার জন্য মেয়ে দেখতে লাগলো। আমার এখনও বিয়ে সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা হয়নি। মা রাজি ছিল না।

সকাল থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে শখানেক বার মোবাইলে চোখ বুলানো হয়ে গেছে রাফিনের। আসেনি সেই প্রতিক্ষিত ফোনটি । এমনকি কোন এসএমএস ও না। অবশ্য অস্থ‌িরতা বা ধৈর্য্যর অভাব রাফিনের স্বভাবের সাথে একদমই যায় না। অন্তত সে‌ নি‌জে তাই মনে করে।

কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের ‘সেইফ হোম’ থেকে অনন্ত আজ ছাড়া পেয়েছে। সাত বছর পর আজ তার মুক্তি মিলল। বহু প্রতিক্ষীত মুক্তি। যে-বয়সটা তার বয়সী ছেলেরা মিষ্টি-মধুর দুষ্টুমি আর নিয়ম ভাঙ্গার আনন্দে কাটায়, সে-বয়সটা অনন্ত পার করেছে সেইফ হোমের চার দেওয়ালের মধ্যে।

আমি আর আগের মতো অবাক হই না।অবাক হতে পারি না।হয়তো অবাক হওয়ার ক্ষমতা টা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।মানুষ কারনে অকারনে অবাক হয়।মানুষ হওয়ার সুবাধে আমার অবাক হওয়ার প্রয়োজন ছিলো।

দরজা খুলে অনেকটা ভুত দেখার মত চমকে গেলেও নিজেকে সামলে নিল মায়া। কতো বছর পরে দেখা হল অরিত্র’র সাথে। এখনও আগের মতই আছে। চমকে দেবার অভ্যাসটা পাল্টাতে পারেনি মনে হয়। নিজের মলিন বেশভূষার কারণে নিজেকে দীনহীন মনে করেনি কিন্তু এতদিন পরে দেখা হবে অরিত্র’র সাথে সেই মনোভাব লুকানোর কোন ব্যর্থ চেষ্টা মায়া করেনি।

সাব-ইন্সপেক্টর মবিন আহমেদ খুব শক্ত নার্ভের মানুষ । সহজে ঘাবড়ে যাওয়া তার স্বভাব বিরুদ্ধ । জীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় এই পেশায় কাটিয়ে দিলেন ,খুন-খারাবি থেকে শুরু করে কতো যে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী তিনি তার হিসাব নেই ।

সাইকেলের বেল বাঁজছে।কয়েকটা হাঁস ডাঁকতে ডাঁকতে পানির দিকে ধেয়ে যাচ্ছে।পাশের বাড়ির রহিমার মা ভাত রান্না করছে তার
রান্না করার পাতিলের আওয়াজ স্পট আসছে।আর রহিমা সে হাঁসগুলোকে বাড়ির দিকে আনার জন্য ডাকছে,
আয়, আয়, চৌ চৌ।

মাঠের পুর্ব কোণে একটা আম গাছের গুড়ির ওপর বসে আছে নোমান। দুপুরের ভাত ঘুমের সময় এটা। তবে পাড়ার সব ছেলেপুলেরা এই সময়টাতে এখানে খেলতে আসে। নোমান ও আসে।

শেষ বিকেলের সূর্য অস্ত গেছে সে অনেকক্ষণ হলো...পশ্চিম আকাশের বুকে এখনো লালচে আভায় রক্তসন্ধ্যা...দূরে কোথাও বউ কথা কও পাখি ডাকছে!সন্ধ্যা তারাটা বড় নিঃসঙ্গ ভাবে আকাশের বুকে জ্বলজ্বল করছে!

লোহার গেটের কাছে দাঁড়াতেই ভেতর থেকে ভেসে এলো এক বয়ষ্ক মানুষের ভৎর্সনা। কি যেন বলে ধমকালেন! শিকগুলোর ফাকা দিয়ে যতটুকু চোখ গেলো, বিস্তর ফাকা মাঠ। শেষ প্রান্তে একটি দ্বিতল ভবন। এল প্যাটানের.......