তখন আমি ২য় শ্রেণিতে পড়ি। বাবার চাকুরির সুবাদে আমরা কোয়াটারে থাকি। নিচতলায় আঙ্কেলের ছোট বোন এসেছে বেড়াতে।

রাত খুব বেশি হয়নি তবুও রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা । বিরোধীদলের ডাকা একটানা অবরোধে রাতটা বয়সের তুলনায় একটু বেশিই বুড়িয়ে গেছে । রাতুল শাহবাগের আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছে রিক্সায় করে ,

পৃ‌থি‌বির সবচে বড় সমুদ্র সৈকত। গতকাল সারাটা দিন জার্নি করে সন্ধ্যায় এসে পৌঁছেছি এখানে। নতুন জায়গা হেতু ভাল ঘুম হয়নি রাতে। তবুও আলো আধারির এই মিশেল ভোরে বেরোতে হবে প্রভাত-সমুদ্র আর কাঙখিত সূর্যোদয়ের উদ্দেশ্যে।

আর দশটা পিতা-পুত্রের মত নয় তাদের সম্পর্ক। শীত কালের পুরোটা সন্ধ্যা তারা কাটিয়েছে ব্যাডমিন্টন খেলে। বছর প্রায় ঘুরে এল রবি চাকরিতে ঢুকেছে—এখনও জুতো বা সার্ট কিনতে একজন অন্যকে সঙ্গে করে বাজারে ছোটে।

--সকাল ৭টা বাজে। এলার্ম বাজতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। হাত মুখ ধোয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম,ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাতে লাগলাম ।নাস্তা বানাতে বানাতে প্রায় ৮ টা বেজে গেল।হালকা নাস্তা করে এককাপ কফি নিয়ে বারান্দায় আসলাম। এসে আমার প্রিয় দোলনি চেয়ারটার উপর আরাম করে বসলাম।

ক্ষুদ্র বালুকণা হতে মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সাকার একমাত্র সৃষ্টিকর্তা নিরাকার। তাই আমি স্রষ্টার কাছে মাথা নত করব কোন সৃষ্টির কাছে নয়। স্রষ্টা এক কিন্তু সমস্ত কিছু দুয়ের মধ্যস্থল থেকে সৃষ্টি তাই কামনা করি না, দুয়ের সংঘাতে ধ্বংস হোক কোন জিন্দেগি। আমি যতই বিজ্ঞান আর দর্শনশাস্ত্র ঘাঁটাঘাঁটি করি ততই পাকাপোক্ত আমার ঈমান এক ইলাহিতে বিশ্বাসি।

সে অনেক কাল আগের কথা । আমার তখন যুবক বয়স কাজ ক‌রি একটা সংবাদপ‌ত্রের অফি‌সে । কা‌জের খা‌তি‌রে ছুট‌তে হয় বাংলা‌দে‌শের প্রত্যন্ত অঞ্চ‌লের অজো পাড়া গাঁ ।তখনও বি‌য়ে থা ক‌রি নি , বাবা মা গত হ‌য়ে‌ছেন অনেক আগেই -নির্ঝঞ্ঝাট,বাঁধাহীন,বন্ধনহীন,‌পিছুটানহীন মুক্ত পুরুষ বলা চ‌লে

নিরব পরন্ত বিকেলে পার্কের
একটি নিরিবিলি জায়গায় বসে বই পড়ছে। হঠাৎ পেছন থেকে
আলতো করে একটি হাতের স্পর্শ ,নিরব পিছন ফিরে তাকাতেই ,
দেখতে পেলো একটি লাল গোলাপ হাতে রুপকথা
নিরবের সামনে দাড়িয়ে॥

পরমেশের মেজাজ মর্জি আজকাল ভাল যাচ্ছে না। মায়ার সাথে খিটিমিটি লেগেই আছে। কথায় বলে, অভাগা যেদিকে তাকায়, সাগর শুকিয়ে যায়। পরমেশের হয়েছে সেই অবস্থা। তার মত অভাগা এই পৃথিবীতে কজন আছে!

চারদিকে হৈ-হুলোড়, ছোট ছোট বাচ্চাদের আনন্দঘন চেঁচামেচি। বড়রাও ব্যস্ত নানা কাজে। বাড়ীর উঠোনে প্যান্ডেল সাজাতে ব্যস্ত ডেকোরেশনের কর্মীরা। তারা রাত-দিন কাজ করছে। ডেকোরেশনের এক কর্মী সাবরিনের আব্বাকে বলে, আঙ্কেল পিয়ারা গাছের বড় ঢালডা কাইটা ফেলতে হইব-নইলে প্যান্ডেলটা ডক হইব না।

সমিউল এখন পুরোদুস্তর একজন মুদি দোকানদার। পান, বিড়ি-সিগারেটসহ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী যেমন আলু পেয়াজ ইত্যাদি ছাড়াও দোকানের এককোন চুলা জ্বেলে বানানো হচ্ছে গরম গরম রং চা আদা লেবুর মিশ্রনে।

মহাবিশ্বের যিনি প্রতিপালক তিনি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। আমরা মুসলিম। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমাদের ধর্মমতে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের প্রতিপালককে এক এবং অদ্বিতীয় বলে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সব অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। আল্লাহ্ যেমনটি ইচ্ছা করেন তেমনটিই সৃষ্টি হয়ে যায়।

বুঝছস কিছু জীবনের??
কোনদিন একটু সিরিয়াস হইয়া ভাবছস জীবনটা কি ? কেন ? কেন এই ধরায়?
শুধু খরায় দাঁড়াইয়া কাটাইছি কখন বারান্দায় আইসা ভেজা এলো চুলে রেলিঙে শাড়ি নাড়ব । কোন মাইয়া কোনদিন কয়নাই ‘মফিজ , তোমারে ভালবাসি’।
দুইবার মাইর খাইছি হাতে হাতে চিঠি দেবার অপরাধে ।

দূরের নদীতে কিছু পাল তোলা নৌকা যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
তার পাশেই সুন্দর গ্রাম থানিয়া। যাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ঘন বন।
নদীর তীরের কাশফুলগুলো ঝরে যাচ্ছে সব। এখনো কিছু আছে অবশ্য। একটা, দুইটা, দশটা।
শক্ত মাটি।
ফসলহীন জমিতে দুর্ভিক্ষের হাহাকার।
সময়টা গ্রীষ্মকাল। খরা চলছে।

আলিয়া এখন আমাকে আর আগের মতো পছন্দ করেনা। আগে তার হ্রদয় টা ছিলো
শুধু আমার জন্যে।কোন কিছুই আমাকে ছাড়া করত না।এমন কি কিছু খেতে চাইলেও আমার
থেকে মতামত নিত। আর এখন আলিয়া কোথায় থাকে, কি করে সব আমার চিন্তাধারার