লুবনা রোজ দিনের মত আজকেও ব্রেকটাইমে টি-রুমের নির্দিষ্ট সীটটিতে বসে সবেমাত্র লাঞ্চ বক্স খুলেছে, মুখোমুখি দরজায় চোখ পড়তেই উলটো

টেলিফোনের শব্দে হুড়মুড় করে উঠে বসল মিলি। অবেলায় ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। বাম পাশের দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকালো ঝাপসা চোখে। সাতটা

বাড়ী থেকে ক্রমাগত ফোন আসছে। ধীরে ধীরে আমন্ত্রিতরা বাড়ীতে আসতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে আসল লোকেরই পাত্তা নেই। একটা জরুরী

একসময় সব কিছু ছিল রহিমা জান বিবির। হাঁস-মুরগী, গরু-গোয়াল, চাষবাসে ভরা ছিল তার সংসার। সর্বনাশা পদ্মা নদী টাই সব শেষ করে দিল।

“ছাতায় বিষ্টি দরে না, আব্বা”
“হ্যালো, কোথায় তুমি?”

ফাহাদ জানালার ধারে চেয়ারে বসে আছে সেই সকাল থেকে । এখন মধ্যদুপুর । আকাশ মেঘলা । সকাল থেকে মেঘ করে আছে । প্রতিমূহুর্তে মনে

ছোট্টবেলায় শোনা একটা গানের কলি এমন "যারে যা চিঠি লিখে দিলাম সোনা বন্ধুর নামে" বেশ ভালো লাগতো। মর্মার্থ বুঝতাম না তবে এটুকু বুঝতাম

এলোমেলো চারিদিক হলদে অন্ধকার একটু ঠাণ্ডা বাতাস বইছে । ঠিক এই সময় তমাল তার ঘরে ফিরছিলো , “ তমাল ” ১৭-১৮ বৎসরের একটা যুবক ,

বারান্দার দিকের জানালায় চার-পাঁচটা ছেলের মুখ এক হয়ে একটু পরপরই ফিসফিস করছে । আমি সামনের ঘরে ডানদিকে কাত হয়ে শুয়ে আছি ।

কাঠ-ফাঁটা রোদের তীব্রতা নিয়ে পুরো দিনটা কাটে ফাহিমের। দহন যন্ত্রণা কেবল প্রকৃতির মাঝে নয় তার মনেও রয়েছে ভীষণ তৃষ্ণা। দিনভর

দোয়াত কালির দামি কলমটা আমাকে দিয়ে আনুর মা দাদী বলেছিলেন এই নে তোর জন্য এনেছি, সাগরকে দেখাসনা, আমার ছেলে এনেছে দুবাই থেকে

হাসপাতালের বারান্দায় অসহায়ের মত পায়চারি করছে রায়হান। তার পাশে তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করছে চন্দ্রমল্লিকা। কেউ কোন কথা বলছে না। কি

যতই বেলা গড়িয়ে আসছে ছাফিনের মানসিক যন্ত্রণা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই হৃৎপিন্ডটা কেঁপে উঠতেছে। সূর্য পশ্চিম দিকে পৌঁছেছে ।

২১৭১ সালের ১৫ই জুলাই। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে আপিল চলছে। আসামির কাঠগড়ায় যাকে দেখা যাচ্ছে সে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে

মানুষের জীবনটা অদ্ভুত।অদ্ভুত কর্মকাণ্ডে ইচ্ছের বাড়াবাড়ি।কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব নেই ভবিষ্যৎ তে পরিণতির ভয়।সব কিছু উপেক্ষা করে প্রমান করতে চায় সে