আমি তখন ক্লাশ সেভেন এ পড়ি। তখন ছিল বর্ষাকাল। আমাদের গ্রামের পাশেই ছিল হাই স্কুল। সেই স্কুলে এক সাথে লেখাপড়া করতাম আমি ও শিহাব।

বৃষ্টির দিনে যদি কোন কাজ না থাকে তাহলে আমাদের মেসের প্রায় প্রতিটি সদস্য খোশগল্পে মেতে ওঠেন। রাজীব ভাইয়া আমাদের মধ্যে সবার বড়।

বাড়িটা যেন রূপকথার বই থেকে উঠে আসা কোনো দত্যিপুরি। এইরকম জায়গাতে এমন একটা বাড়ি দেখে যথেষ্ট বিস্ময় ফুটে উঠলো তন্ময়ের চোখে মুখে। আচমকা একটা সম্ভাবনা মাথায় আসতেই গাড়িটাকে সেখানে রেখেই সামনে এগিয়ে গেল তন্ময়।

আমাদের গ্রামের বাড়িতে একজন মাস্টার মশাই পড়াতে আসতেন, উনার নাম কান্তীপ্রসাদ শীল। উনার পড়া একদিন ও শিখতাম না বলে, প্রতিদিন কান ধরে উঠবস করতে হতো। প্রতিনিয়ত এই কান ধরা আর ভালো লাগেনা।

‘কাকু, আজ আমাকে তুমি পূজোর বিষয় নিয়ে একটা গল্প বলবে?’ আমি অনুরোধ করলুম।

কল্পনিক ভৌতিক গল্প। অরিন রা„তে রাস্তাদিয়ে আসতে গাড়ি নষ্ট হয়। হঠাৎএকটা ট্রাক আসতে ট্রাকের ড্রইভারের কাছে সাহায্য চেয়ে গাড়িতে উঠলে দেখতে পায় নানা ভয়ংকর ঘটনা।

একটা বদ্ধ ঘর। দেয়ালগুলো নোংরা। আবছা আলোতে ঘরটাকে কেমন যেন ভৌতিক লাগছে। কিছুই চোখে পড়ছে না। এই পর্যন্তই। চোখ মেলে তাকায় শাহেদ।

শরতের স্নিগ্ধ সকাল। সামাদ সাহেব গরম এক কাপ চা নিয়ে ব্যালকুনীতে বসে আছেন নিত্যদিনের অভ্যেসমত। আরাম কেদারায় গা এলিয়ে আলস্যভরা দেহ-মন চাঙ্গা করার একমাত্র ঔষধ হচ্ছে এক মগ কড়া গরম চা। পঞ্চাশোর্ধ বয়সে আজো চলছে তার এই অভ্যেস।

‘ওরে বাবা, আর একঘন্টার মধ্যে চলে যাব।’
‘একঘন্টা! বল কী! সে তো অনেকক্ষণ। আমি অতক্ষণ একা থাকব?’
কোনও কোনওদিন শৈলেন ও অফিস থেকে ফিরতে দেরি করে। আমি অস্থির হয়ে পড়ি।

স্কুল জীবনে থাকাকালীন অবস্থায় দেখতাম ছাত্রদের মাঝে অন্যতম আলোচিত বিষয় আমাদের স্কুলের ছাত্রাবাস।যদিও নামে ছাত্রাবাস,কিন্তু প্রকৃতপক্ষে

হঠাৎ জোড়ে একটা চিৎকার শুনলাম আর মুহুর্তেই দেখলাম ইরানী আপু গাছের একদম ওপরে ওই কাটাওয়ালা গাছটাকে এলোমেলো ভাবে কামড়াচ্ছে,

আমি রীতিমতো কাঁপা হাতে টেলিফোনে নাম্বার ডায়াল করলাম। ওপ্রান্ত থেকে কেউ রিসিভারটা তুলতেই আমি নিজের পরিচয় জানালাম।

থানা থেকে যিনি টেলিফোনটি রিসিভ করলেন উনি বললেন-জ্বী, বলুন কী জানতে চান।
-আন্ধারমানিকের খুনের ব্যাপার জানতে চাইছিলাম।

একটা সময় ছিল, যখন ভূতের গল্প শোনার আগ্রহে মনটা আঁকুপাঁকু করত।

ফারিয়া নিখোঁজ হবার পর প্রতিদিন কিছুনা কিছু ঘটনা ঘটছে তাতে ফারিয়ার প্রতি তার মোহ বেড়েই চলেছে।ফারিয়াকে দেখেও দেখতে পায়না,ছুতে পেয়েও ছিতে পায়না।তার সারাক্ষন মনে হয় এই ফারিয়া এল বুঝি।

গত কয়দিন ধরে অঝর ধারায় বৃষ্টি ঝরঝে একটানা, খামবার কথা নাই। কল কল করে পানি নামছে হালতা বিলের মোহনায়। বিপদ সীমার উপরে ফুলে ফেপে উঠেছে পদ্মা নদির বুক। দুই কুল ছাপিয়ে বানের পানি ঢুকে পড়বে যে কোন সময়। তবুও আশাহত হয়না রজব আলি মুন্সি।