একটা সময় ছিল, যখন ভূতের গল্প শোনার আগ্রহে মনটা আঁকুপাঁকু করত।

কাঠুরিয়া সদানন্দ মিশ্র।
সাঙ্গু নদীর পাড়ে পাহাড়ের কোল ঘেষে একটুকরো জমি। তাতে ছনের একচালা কুঁড়েঘর।

গ্রামটি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নাম কাঞ্চনপুর। গ্রামের ছোট্ট কাঁচা রাস্তাটি এঁকেবেঁকে তিন গ্রামের মাঝ দিয়ে বড়লেখা-সিলেট মহাসড়কের সাথে মিলিত হয়েছে।

আসাদ ঘুমাচ্ছে।
গভীর ঘুম।

বড় রাস্তায় উঠেই মনে হয় নদীতে নামলাম। অনেক দুরে কিছু বাতি দেখা যায়। রাস্তা দেখা যায় জ্যোৎস্নার আলোয়। বেশ বড় একটা চাঁদ আকাশে।

সুখে-দুঃখে এইভাবেই সুন্দর একটা গ্রামে, নাসিমা, রহিমা, আর ফাতেমার জীবন কেটে যেতে লাগলো। সেই রকম কোন বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছাড়াই তারা তিনজন তাদের জীবনের দিনগুলো পার করে দিচ্ছিল।

ট্টমি নামের এক ব্যক্তি পদ্মা নদীর চরে বসত গড়েছে। উনার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রথা প্রচলিত আছে। উনি নাকি মানুষের রক্তপান করেন। উনার খাদ্য বলতে

মেজাজটাই গেল খারাপ হয়ে, বেশী মাতবারি করলে যা হয় আরকি, এমনিতে সাথে নাই ম্যাপ তার উপর আনিনি ক্যাম্পিং এর জিনিস-পত্র। খালি একটা হান্টিং নাইফ কাঁধে ছোট খাটো একটা ব্যাগ আর একটা রাইফেল শিকারের জন্য। শিকার তো করতেই পারলামনা উল্টো এক হরিণের পিছনে দৌড়ায়ে আমার দিন নষ্ট।

তখন দুপুরবেলা , " উরেন " স্টেশনে নেমে ভ্যান রিকশায় চেপে " ধানকুট্টি " গ্রামের রোশন পন্ডিতের নাম বলতেই বোঝা গেল , রোশন পন্ডিতকে এই অঞ্চলের সবাই চেনে ।

অন্ধকার রাত। ফতেয়াবাদ রেল ষ্টেশনের পাশের পুকুরের ঘাটে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। গল্পটা রুবেল বলা শুরু করে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই দিনগুলো ভালো যাচ্ছে না ফজুর। ভালো নাম আবুল ফজল। সবাই ফজু বলেই ডাকে। ধামালিয়া লঞ্চ ঘাটে কুলি মজুরের কাজ করে সে।

অনেক আগেই শুরু হয়েছিলো এই স্বপ্নের ব্যাপারটা।আজকাল প্রায়ই দেখছি। অসম্ভব যন্ত্রনা আর ভীতিকর। জানিনা কবে আর কিভাবে মুক্তি পাব এই

সন্ধার আগে পুকুর থেকে হাতমুখ ধুয়ে আসতে বাগানে দুটো নেংটা বাচ্চা চোখে পড়ল নববধু জোছনার।একটা বাচ্চা তার দিকে তাকিয়ে আছে আর অন্য

ঘরের ভেতরের গন্ধটা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে । জন্তুটা এগিয়ে এসে রাবেয়ার পা ধরলো তার পর মনে হলো রাবেয়ার পাদুটো মাটি থেকে একটু উঠে এসেছে । রাবেয়ার পায়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সোলায়মান সাহেব জ্ঞান হারালেন ।

এর পরের ঘটনাটা ঘটল ঠিক এক সপ্তাহ পর। পাঁচ দিনের অফিস-টুর থেকে ফিরে সবে ঘরে ঢুকতেই এলো ফোনটা, বলল কুণাল নামে কাউকে চিনি কি না? হ্যাঁ বলতেই, ওপার থেকে বলে উঠল কুণালের বাড়িতে একবার দেখা করতে। কারণ জানতে চাইলে বলল, কুণাল আজ তিন দিন থেকে মিসিং।