আমি একজন মানুষ আমার কথা বলার জন্য মুখ আছে, আঁকড়ে ধরার জন্য হাত আছে, চলাফেরা করার জন্য পা আছে, উপলব্ধি করার জন্য মন আছে কিন্তু কেউ কি জানে আমার ভেতরে এক আমি আছে।

অনেকদিন পর তোমায় লিখতে বসলাম। বলতে পারো অনেক বছর পর। যদিও আমি জানিনা লেখাটা আদৌ শেষ করতে পারব কিনা! তবু লিখব, যতটুকু পারি ততটুকুই লিখব। শেষ করতেই হবে এমন নিশ্চই কথা

আমি এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবো। পড়ালেখার চাপ এসে ভর করেছে চব্বিশ ঘণ্টা। কিন্তু আমি কি সুস্থ মস্তিষ্ক নিয়ে পড়ালেখা করতে পারছি? পারছি না, নানা জায়গা থেকে আমার বিয়ের প্রস্তাব আসছে।

টপ…টপ…টপ…মৃত্তিকার গা ঘেঁষে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরেই যাচ্ছে। একটানা বৈচিত্র্যহীন শব্দ। মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে মৃত্তিকা বলতে চায়, “ভিন্ন পথে যাও।” পরে আবার চুপ থাকে। থাক, তার নিশ্চল জীবনে

বলা নেই কওয়া নেই হুট করে ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় মেয়েটি।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ে সোহান।কি করছে মেয়েটি আর মেয়েটিই বা কে?

সারারাত বৃষ্টি হয়েছে । যদিও ভোর তবু সূ্‌র্য উঠবে বলে মনে হচ্ছে না । অস্হির মেঘেরা এখনো চমকিত বিজলির আলোয় নদীর পাড়ের লাল কৃষ্ণচূঁড়ায় আগুন জ্বেলে যাচ্ছে । হোসেন আলী নৌকা নিয়ে ঘাটে

রাত তিনটা...
চারিদিকে নি:স্তব্ধ নিরবতা।

আজগর আলী শুয়ে রয়েছে। একটা ওভারব্রিজের উপর। তার পাশদিয়ে মানুষ আসছে যাচ্ছে। সে মাঝে মাঝে আড়চোখে দেখছে তার থালায় কয়টা পয়সা পড়লো। পয়সা কিছু বেশি জমে গেলেই সে সতর্ক দৃষ্টিতে

মেঘলা আকাশ। বিশাল আকাশটা জুড়ে আজ মেঘের ঘনঘটা। তিল পরিমান জায়গা খালি নেই, যেখানে নেই মেঘের একান্ত আনাগোনা। নীলের সাথে মেঘ মিশে একাকার। ঠিক তেমনই ধূসর নীল সাদাটে আকাশটির

হেনা ,এই হেনা!
কে ? কে ওখানে?

জীবনে বেচে থাকার তাগিদে আমরা কতকিছুই না করি। কত কষ্ট সহ্য করি। কষ্টগুলোকে অনেক সময় কষ্ট বলে মনে হয়না। কিন্তু যখন এই কষ্টগুলো আরো বেশী কষ্টকর হয়ে সামনে আসে তখন তো আর সহ্য করা

কই তুমি ?
-নিসার বিয়েতে,তোমার কলের রিং পড়ছে কিন্তু শুনতে পাই নি।

নিলয় ওর হাত ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। সেকেন্ডের কাঁটাটা ঘুরছে। কিছুক্ষণ পর এটা বারোর কাছে আসবে। তারপর বারো পার হয়ে আবার ঘুরবে।এভাবে আর কতবার ঘুরলে মিনিটের কাঁটাটাও বারোর

সূর্যের হাসি দেখার আগেই শহরের প্রায় এলাকায় শোনা যায় হৈ হুল্লা এবং দেখা যায় ছোট ছোট কুড়ের গুচ্ছ গুলো থেকে ধোয়া উড়ে যেতে তার কিছুক্ষণ পরই দেখা যায় হন-হন করে হাটার গতি বাড়িয়ে ছুটে

নিশুতি রাত। বৃষ্টিতে ভিজে ভেজা কাকের মত একাকী পথ চলছে অনন্যা। কাঁধে একটি ট্রাভেল ব্যাগ। হাজীগঞ্জের অদূরে বলাখাল রেল স্টেশনে নেমে স্টেশন মাস্টারের সাহায্য চেয়েছিলো সে।