পিতা পুত্রের কথোপকথন।পিতা দেশের একজন সন্মানীত গুণী ব্যাক্তি আবিষ্কারক হেদায়েত উল্লাহ।পুত্রের বয়স সবে মাত্র বারো তের বছর।সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর ক্লাশ এইট এ পড়ুয়া ছাত্র।ছেলে টিভিতে নাসার পৃথিবী ও সৌর জগৎতের একটি প্রতিবেদন দেখে অবাক হন এ আবার কি!

সকাল ৮ টা । মেয়ের স্কুলব্যাগে টিফিন রেখে মেয়েকে কিছুদূর এগিয়ে দিল তাহমিদা নূর ওরফে ডা. তাহমিদা নূর যদিও সে আর ডাক্তারি করে না কয়েক বছর যাবৎ। পড়াশোনা করেছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজে, সেখানে সে বেশ ভাল ছাত্রী ছিল।

ডাকাতদল মাঝরাতে আমার বাসায় এসে দরজা ভেঙ্গে ফেলে নিঃশব্দে ; কিন্তু আমি টের পেয়ে যাই ; সে রাতে ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা। বাতাসে মনে হচ্ছিল লক্ষ লক্ষ শীতল ছুরি ভেসে বেড়াচ্ছিল। তাই এই ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে আমার পক্ষে ; লেপের গরম ছেড়ে- ডাকাতগুলো কে শায়েস্তা করার কোনো ইচ্ছাই ছিলনা।

'সংসার সুখী হয় রমণীর গুনে' বাক্যটা যেন কোথাও নির্ভুল নয়।তাঁরই একটি চিত্র ধরা পড়ল রাজোর ঘরে।রাজো একটি প্রায় ৩০ বছরের রমণী।স্বামী অকর্মণ্য দ্বিতীয় বিয়ে করে।রাজো হল প্রথম স্ত্রী।

আজ রবিবার, তাই দিবার অফিস যাওয়ার তাড়া নেই। সাত সকালে বিছানা ছাড়তে হবেনা, শাওয়ারের ঠান্ডা জলের নীচে দাঁড়াতে হবেনা, মজাই মজা।শীত গ্রীষ্ম বলে কোন কথা নেই, ঠান্ডা জলে স্নান করতে দিবা ভয় পায়,

সন্ধ্যে ৭টা, সাউথ সিটি তে আসতে আসতে ভিড় বাড়ছে। সালমা বার বার ঘড়ি দেখছে, তনিমা আস্বস্ত করল, “আরে চাপ নিচ্ছিস কেন? আসবে যখন বলেছে ঠিকই আসবে! চল আমরা ভিতরে যায়”। কে.এফ.সি থেকে দু-প্লেট চিকেন নিয়ে একটা টেবিলে দুই বন্ধুতে গল্প করতে লাগল। এর আগেও দুই বন্ধুতে এসেছে কিন্তু আজ সালমার কিছু ভাল লাগছে না।

তখনো ফজরের আযান পড়েনি। ফুরফুরে বাতাসে রিক্সা চালিয়ে বাসায় ফিরছিল মকবুল। সারা দেহে ক্লান্তির ছাপ। তবে মুখে ‘ও সখিনা ’ টাইপের কোন গান গুনগুন করে গাইছে। হঠাৎ একটা কান্নার শব্দ শুনে এদিক ওদিক তাকালো সে। জায়গাটা একটু অন্ধকার। এখানের সোডিয়াম বাতিটা কোন কারণে নষ্ট হয়ে আছে। একটি শিশুর কান্না।

দেইখা লাভ কি ? বাড়ির থেইকাই কাটা ব্যাগ নিয়া আসছেন। এই ধান্দা অনেকেই করে। চোরের দেশ। ভাড়া দেন, নাইলে নামায়ে দিমু।
- আমি এমন কিছু করি নাই মামা। আপনে একটু দেখেন না মামা, চোর বাসেই থাকতে পারে।

ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক আমি। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাকে যেতে হয়। খবর ও ছবি সংগ্রহ করি। কখনো কখনো বিভিন্ন মিডিয়ার ফরমায়েসি কাজ; কখনো নিজের তাগিদে শখের বসে খবর ও ছবি সংগ্রহ করে বিভিন্ন মিডিয়ার কাছে বিকিকিনি করি।

পূর্ণিমার ভালো লাগছে না, ভয় ভয় তো লাগছেই, সাথে কেমন যেন অসহায় অসহায় লাগছে। তার নিজের ছেলের উপর অনেক রাগও লাগছে। পূর্ণিমা বাসী তরকারী আর গরম ভাত নিয়ে তার স্বামীকে নাস্তা খাওয়াতে গেলো।

বিবেকের ভেদেই পার্থক্য তৈরি হয় মানুষে মানুষে। যেই বিবেক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর প্রতিপত্তির আশায় নিজেকে জলাঞ্জলি দিয়ে স্রোতে গা ভাসায় সেই বিবেক কে ধিক্কার। বিনয়, অমায়িকতা, সততা আর শর্তহীন পরোপকার হোক আদর্শ।

আমি আজ আমার জীবনের একটি ভালোবাসার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বেশ অনেকদিন আগের কথা তবুও আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে ভাল লাগছে না।
তাহলে এবার শুরু করি...

আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম, হ্যাঁ আছি মোটামুটি।
- মোটামুটি কেন? তোমার তো বেশ ভালো থাকার কথা।
- ভালো থাকার কথা কেন?
- নতুন প্রেম করছো।
- কে বলল তোমাকে?

স্বামী ও সন্তানহীনা এক রমণী অপি । রাস্তার পাশে কুঁড়েঘরে তার বসবাস । ঘরের সামনে ছোট্ট একটি ভাঙা চালায় তার রান্নার ব্যবস্থা । শীতের সময় অপির ভাঙা ঘরে হু হু করে বাতাস ঢুকে আর বর্ষার সময় ঘরে পানির অভাব হয় না । খাবার সময় কেউ রাস্তা অতিক্রম করলে জিজ্ঞাসা করতে হয় না, কি তরকারি?

এত শীতেও মেয়েটা একটা নতুন সোয়েটার কেনেনি। তার স্বামী বেল্লাল বলেছে যে, কেরালা থেকে তাকে ভালো সোয়েটার এনে দিবে। বেল্লালের কেরালায় যাওয়া দু’মাস হয়ে গেল। ওখানে আর বেশিদিন নাকি থাকবে না- ক’দিন আগে ফোনে বলেছে।