সন্ধ্যা প্রায় নেমেই গেছে। স্টেশনের বেঞ্চির তলে। রেললাইনের স্লিপারের নিচে। বস্তির ঝুপড়ি ঘরগুলোতে। ঠিকরে ঠিকরে অন্ধকার ঢুকছে। হনহন করে, ভনভন করে। একটু পর আবার হুইসেল বেজে উঠল।

'আমি' মানে একটি মেয়ে, যার বয়স একুশ বছর। যার নাম, ধরা যাক --- মেঘবালিকা? আমার বন্ধুরা অবশ্য আমায় 'ডিপ্রেশন' বলে ডাকে। 'বন্ধু' শব্দটা লিখতে গিয়ে বাড়তি ক'সেকেন্ড সময় নিলাম কি?

উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার একটি কর্মজীবী হোস্টেলে অবস্থান করছেন সফিক আহমেদ।

মিডিয়া ও প্রেসওয়ালাদের আনাগোনা এতটাই বেড়ে গেছে যে জালালের পরিবার হাঁপিয়ে উঠেছে। খাড়া বড়ি থোড় আর থোড় বড়ি খাড়া-ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সকলের একই প্রশ্ন।

আজ এসেছেন পুলিশের এক বড়কর্তা। জালালের ঘটনায় পুলিশকে জড়িয়ে মিডিয়াতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বড়কর্তা এসেছেন ঘটনার সাথে পুলিশ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখতে।

অ্যাপ্রোন পরা একজন আমাদেরকে ইশারা করে ঘরে ঢুকতে বললো। রুনু আমার চেয়ে অনেক শক্ত। রুনু আগে আগে চলল, আমি পেছন পেছন। দরজার কাছে এসে আমার পা ভারী হয়ে এলো। বললাম,
‘রুনু আমি পারব না, তুই দ্যাখ্‌’।

আজ শাপলার বিয়ে, শাপলা অনেক সুন্দর করে সেজেছে, ফাহিম চিঠিতে যা যা বলেছে, ঠিক  তার কথামত সেজেছে, পায়ে আলতা দিছে, চোখে কাজল দিছে, আজকাল মেয়েরা চোখে কাজল দেয়না, কাজলের পরিবর্তে মাশকারা দেয়, কাজলের সাথে মশকরা করতে গিয়ে মনে হয় মাশকারার আবিষ্কার।

মাঝরাতে খসখস শব্দে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। শীতের রাত। ভয়ানক নিস্তব্ধতা। ঠাণ্ডা যাতে না আসে সেজন্য দরজা-জানালা আগেই বন্ধ করা ছিল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। ভুল শুনেছি বোধ হয়। চোখ বুজে ঘুমনোর চেষ্টা করলাম। আবার খসখস শব্দ পরিস্কার শুনতে পেলাম। ভয়ানক আতঙ্ক এসে গ্রাস করল আমাকে।

কারেন্টটার এই এখনই যাওয়ার ছিল? ঘন্টায় ঘন্টায় যেরকম কারেন্ট যায়, তাতে কারেন্ট নেওয়ার প্রয়োজনটাই ছিল না। বরং আমার প্রদীপটাই ভাল।'
'যা বলেছো দিদি, প্রদীপ ব্যবহারের কত সুবিধা.....'

শীবু:- এটা কিন্তু ঠিক না?
রুমা ম্যাডাম :- কেনো কি হয়েছে!
শীবু:- ম্যাডাম, আপনি বার বার কেনো, ওকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখাচ্ছিলেন?
রুমা ম্যাডাম :- তোমার কাজ তুমি করো!!

ছারাবিবি দেশলাই খুজে পাচ্ছেন না । মাগরিবের আজান হয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষন আগে। দোতলা বাড়ীর চারিদিকে বেশ কয়েকটা নারিকেলের গাছ। নারিকেল পাতার প্রান্তে সূর্যাস্তের শেষ আলো লেগে আছে সামান্য।

মানুষ তুমি অসহায় কত?
মানুষের কাছে!
মানুষ তোমার মৃত্যু হয়েছে
মানুষের হাতে!

ভূতপ্রেত বা অশরীরীর কিছু তে বিশ্বাস করি না কিন্তু প্রকৃতিকে করি। প্রকৃতি নিজেই এতটা অলৌকিক যে তার কাছে সমস্ত ম্যাজিক খুব সাধারণ মনে হয়। আজ এই জীবনের শেষ প্রান্তে দাড়িয়ে এই বিশ্বাস আরও জোরালো হচ্ছে।

প্রতি রাতের মত মানিক আজও রাহিমাকে ঘরে তালাবদ্ধ করে দিয়ে এল। কিছুটা দূরে সামনের ঘরে বসে রাহিমার চিৎকারের শব্দ শোনা যাচ্ছে।সে ক্রমাগত কেঁদে যাচ্ছে আর চিৎকার করছে “ ‘আল্লাগো’, ‘আল্লাগো’ ”।

সেই গলাকাটা জঙ্গলের কাছাকাছি গিয়ে আমি ওর বই আমার স্কুল ব্যাগে ভরে নিতাম। পালা করে একদিন ও ব্যাগ নিত একদিন আমি। ঐ রাস্তাটা পার হওয়ার সময় ও শক্ত করে আমার জামা খামচে ধরত। আমার যে কি ভালো লাগত তা বলে বোঝানো মুসকিল।

অনেকদিন ধরে শরীরটা বেশি ভালো নয়, বাড়ির চৌকাট ছাড়া আর কোথাও যাওয়া হয় না। এক রাতে ঘুমানোর সময় মা’কে বলি,