বন্ধু
৪ জন
জীবনের নিয়মে শৈশব থেকে বেড়ে উঠে প্রকৃতির ডানপিটে বাধভাঙ্গা সাহস কৈশোর।কৈশোর হলো মনের আয়নায় চোখে দেখে নিজেকে আবিষ্কারের নাম।হাসতে হাসতে আম-বাগানের আম চুরি করে দলবেঁধে ছুটে পালানোর ছবি কৈশোর।
মাতৃত্বের সাধ পূর্ণ হয় সৃষ্টির পিয়াসে সে তো পিতৃত্বের ঔরসে।বাবা হলো সারাদিন ব্যস্ত প্রহরের পরে বাসায় ফিরে সন্তানকে কোলে টেনে নেয়ার নাম।বাবা হলো- মাতৃত্বের অসাড়ে আবশ্যক ছুটে চলা এক অদম্য স্মারকের অনুভূতি।
স্বাধীনতা যেমন হিমুর রয়ে থাকা রাত জেগে ঘুম ভেঙে দেখা-খোলা দরোজা থেকে আসা সুরজ সকাল। দুপুরের ক্লান্ত সরোবরে আলসে স্থির অপেক্ষার নাম স্বাধীনতা।স্বাধীনতা মানে মুচকি হাসির প্রাণের প্রবনতা।স্বাধীনতার ছন্দে বিবাদ বাধা নেই।
রঞ্জনের চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট নিশুতি। লোকে বলে অনেক সময় সমবয়সি বিয়ে করলে নাকি বোঝা-পড়াটা ভালো হয়। কিন্তু তাদের দু’জনের মাঝে বোঝা-পড়ার কমতি নেই বললেই চলে। খুব সুন্দর শ্রদ্ধাবোধ একে অপরের প্রতি। এটা সম্ভব হয় যখন সত্যিই মনের অনুভূতি-প্রবন ভালোবাসা কাজ করে। সম্মান করাটাও এখান থেকেই আসে।
ঘুমন্ত মনের কপাটে কড়া-নাড়া বিশ্রুত ভোর-কিছু আবেগের মলাটে রোদসী রেখে যায়।মন ঘুমিয়ে রয়, চোখ জেগে থাকে নির্জলা।
মাঝারি গড়নের নুয়াফা চলে দুলে দুলে, যেন মঙ্গল গ্রহে হাঁটছে। ইনফর্মেশন এন্ড কমিউনিকেশন সায়েন্স নিয়ে স্নাতক পড়ছে ইস্ট ওয়েস্ট এ। খুব কৌতূহলী স্বভাবের দেখলেই বুঝা যায়। প্রচণ্ড আমুদে আর অনেক মেধাবী। তবে ভেতরে যে একটা চাপা দুঃখ আছে কাউকেই বুঝতে দেয় না।
একদিন একটা সকাল ছিনতাই হয়েছিলো। আমি কিছু বলিনি। আশ্বিনের বাড়াবাড়িতে কিছুই বলা হয়নি। সেদিন আকাশের আকাশচুম্বী দাপাদাপির কোনো সীমা-পরিসীমা ছিলো না। বাতাসও নেংটি খুলে ইঁদুর দৌড়তে লাগলো । চেনা পথঘাট গুলো সব অচেনা হলো।
‘চয়নকে পাওয়া যাচ্ছে না, কেউ কি জানো কোথায় গেল ছেলেটা?’ মিলনার প্রশ্নে সকলেই হতবাক। ‘এই তো কালই ও তোমাদের বাড়িতে কত
একদিন তবু ঠিকই শিশির-ভোরে জেগে উঠি।নগ্ন পায়ে মেখে নেই বাংলাদেশের মাটি।সব ভুলে গহন মুগ্ধতায় ঘর বাঁধে সবুজ টিয়া।ভাঙ্গা-গড়ার ঘ্রাণ বুকে নিয়ে পালকে ঘসে ঠোঁট।
রক্ষণশীলতা নাকি নগরমুখী প্রবণতার জন্য এ অঞ্চলে বরাবরই ঐতিহ্যবাহী উৎসবের আমেজ কম। প্রাক-বিদ্যুতায়নের যুগে যা-ও জারী-সারি-পালা গানের কদর একটু ছিল, এখন তা-ও নেই। কদাচিৎ রথ-মেলা, ঘোড়দৌড়, নৌকা বাইচের কথা শোনা গেলেও নবান্ন নামের উৎসবের সাথে অধিকাংশ লোকের পরিচয় কেবল বইয়ের পাতায়ই।
এ বুকের বাম ? ডান ?নাকি মাঝখানটায় ?অথবা সারাশরীর ...কে জানে— এক্ষুণি স্বপ্ন দেখবার কেন এতো হুড়োহুড়ি ?
হালকা পাতলা লোমশ গজাঁনো মুখ নিগূঢ় ভাঁজে মোহনার ভরাট প্লাবন লজ্জাকাতর চুপ । শরীরী কাব্যের উৎসাহ বাড়ে গোপনে গোপনে কে দেখে, কে দেখেনায়, যাপিত স্বপনে
দিগন্ত সীমারেখা বাতাসের গতিপথ ধরে,কৈশোরের আলো-ছায়া ঝলমল ঝলমল করে।পিছু পিছু মান্ধাতা কূটনীতি কুঠারের ঘায়ে,মিছেমিছি তরপায় চোট দেয় খুনরাঙা পায়ে।