বন্ধু
১৬৩ জন
গ্রিলের ফোকর গলে এসে পড়েছে কিছু আধো- চাঁদের আলো।কসমিক শূন্যতার সিঁড়ী বেয়ে ঢলে পড়া মায়োপিয়া,তবু আটকাতে পারেনা এ’দুচোখ।
দেখি ট্রেইন লাইন ধরে ভেসে যাওয়া সেই রক্তাক্ত ধূলি রেলব্রিজ থেকে লাফ দেয়, বাঁক খেতে থাকা অজস্র স্রোতে।তাকে জীবন্ত ভেবে, ডুব দেয় মুক্তডানার এক কিশোর- আর ভেসে উঠেনি...
ইট-রঙ খসে পড়া এই বাসস্থানে আমার একমাত্র সঙ্গি,বহুদিন সযত্নে আগলে রাখা মৃত ভালোবাসার এক কফিন।পুরাতন পলেস্তর ওঠা কাঠের উপর জমে আছে ইঞ্ছিখানেক ধূলির স্তুপ,প্রতিটি কোণায়-কোণায় ঠুকে দেয়া হয়েছে অন্তত হাজারখানিক পেরেক।অব্যবহার্য পঁচা বাক্সটার দুর্গন্ধে ঘুণপোকারাও বেশ বিরক্ত- বিতৃষ্ণায়ধারেকাছেও আনা-গোনা নেই দু’একটার।
তামাদী স্মৃতির ইতিহাস ক্রমাগত ঘাঁটলে হয়তদ্যাখা মিলবে এক ছিন্ন হওয়া গভীর হলুদে দলিল।
মুক্তডানার বিষাদিনী, শুনেছি প্রতিটি রঙের নিজস্ব এক অনুভূতি আছে,যেমন প্রতিটি নৈঃশব্দ্যের থাকে একেকটি গল্প। সমুদ্র তীরে কুড়িয়ে পাওয়া স্বচ্ছ-অরুণোপল অশ্রু পড়ে জেনেছি,
এক ছায়াপথ বিস্তৃত নক্ষত্র বাগান ছিল এই হৃদয় প্রাচীরে। রূপকথার সোনালিপ্রজাপতিগুলো ডানামেলে উড়ে বেড়াত সেই নক্ষত্র মেলায়, গাইত সান্ধ্য প্রেমসংগীত।
নাগরিক পথের নিয়ন আলোয়একা দাঁড়িয়ে থাকাকৃষ্ণচূড়া বৃক্ষটির সাথে
কয়েকটা মুনিয়া পাখির একটা আয়না ছিলো ভালোবাসার কবিতা লেখার বায়না, বলতে আমারএকবিন্দুও দ্বিধা নেই, যদিও তোমার অন্তরমহল অবিশ্বাসের ছাঁচে গড়া, তবুও বলি না বলা কথা;
পাখির ঠোঁটেও শিষ লেগে থাকেসমুদ্রে বাজে গানঝাউয়ের বাগান পিছু ফেলে এসেপ্রণিপাতে সারি স্নান
দীপ্তিময় হলুদে ছাওয়া হিজল গাছটার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মতি। গাছটার যেনো প্রাণ আছে, ফুলের সোন্দর্য দিয়ে নিজের অস্তিত্ব জানিয়ে দিচ্ছে। মতি চায়ের কাপে ছোট ছোট চুমুক দিয়ে গাছটার দিকেই তাকিয়ে থাকে। তার কোনো তাড়া নেই, অঢেল সময় নিয়ে চা খেতে পারে।
আমি অর্ধেক স্বপ্ন, অর্ধেক বাস্তবতা.. অর্ধেক কোলাহল, অর্ধেক নীরবতা! আমি অর্ধেক প্রকৃতি, অর্ধেক রূপকথা..অর্ধেক মানবী, অর্ধেক কবিতা...!
তখন আমার কতইবা বয়স, বড় জোর বার কিবা তের। সবেমাত্র ষষ্ঠশ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে সহপাঠি যাদের পেলাম তাদের মধ্যে আমার মামার শালক ‘শান্ত’ অন্যতম। আমি মাহারা। আমার জন্মের পর মা যখন পরলোক চলে গেলেন তখন থেকে আমি মামার বাড়িতেই মানুষ।
মন্তব্য করুন