মায়ের ইচ্ছা ছিল আমি যেন অনেক বড় হই। বড় বলতে আমার অনেক সুনাম হবে। দেশ জোড়া খ্যাতি হবে। খ্যাতিমানের মা হবার বাসনাটাও তার মনে ছিল প্রবল। এর একটা কারণও আছে। আমার মা বেশ

একটু পর ই মা কাজ থেকে ফিরবে ।সেই আশায় কুড়ে ঘরটার দরজায় দাঁড়িয়েছিল সুমন । বারবার এদিক ওদিক তাকাতে থাকে সে ।ইশ !কখন যে মা ফিরবে ?খিদায় কিছুটা রাগও চড়ে যায় সুমনের ।

আসরের ওয়াক্ত প্রায় শেষ ।আকাশের নীল আভা করুণ রূপ ধরেছে । একটুক্ষনের মধ্যে হয়তো মাগরিবের আজান শুরু হয়ে যাবে । দূর দূর থেকে গোলাগোলির শব্দ আসছে ।

একদিন আমি ও চলে যাবো দূরে,
ভরা ঘর শূন্য করে-

আমি আমার মায়ের পাশে বসে আছি। আমার মা, আমার একমাত্র আশ্রয়। আমার সব কিছুই আমার মাকে ঘিরে। আমার চাওয়া পাওয়া, সবই উনার কাছে। উনার পাশে বসে খুব কম সময়ই কাটিয়েছি।

এটা একেবারেই নিজের গল্প। তখন আমার বয়স হবে বছর তিনেক। ঘটনাক্রমে হাঠাৎ করেই আম্মার চাকরি হয়ে গেল। ট্রেনিঙের জন্য তাকে ঢাকা থাকতে হবে মাস ছয়েক। আমার ছোট একটা ভাইও আছে।

“ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু” রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত এই গানের লাইনে ক্লান্তির কাছে আত্মসমর্পণের সুর সহজেই অনুমেয়। কিন্তু কিছু কিছু পথ চলা কখনও ক্লান্তির কাছে হার মানেনা। আমি এক মায়ের কথা

আমি আসাদ, বয়স ১৯। এইচ, এস, সি পরীক্ষা সবে মাত্র শেষ করলাম। একটু আহ্লাদী টাইপের ছেলে আমি। অন্য ১০জন ছেলের মত আমি নই, জীবনকে ভাল মত বুঝতে শিখিনী তখনও।

গ্রামের নির্মল পরিবেশ, মায়ের স্নেহ আর পিতার ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়েছেন জহির ভাই। আমাদের পাড়ার একটি মেসে উঠেছিলেন ছয় মাস হল। উনার সাথে আমার সম্পর্কটা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে ক্রমাগত।

অঙ্কিতার জীবনের একেকটি অংশ কেটেছে একেক স্থানে । তার জন্ম হয়েছিল রাজশাহীতে ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ সালে। বাবা ওয়াজউদ্দিন করিমের সরকারী চাকরীর জন্য জন্মের মাত্র তিন মাস পরেই তাকে চলে যেতে হলো পাবনায়।