রাফিঃ আচ্ছা তুমি ভালোবাসো বলে আমার কাছে এসেছো। কিন্তু আনিকা আমার কাছে কেনো আসল? তাও এই রকম একটা পরিস্থিতি নিয়ে।
নীলাঃ আনিকারা ভালোমানুষের কাছে আসে। বিশ্বাসীদের কাছে আসে। আনিকারা মুক্তি পেতে আসে।
রাফিঃ হ্যা মুক্তি। আনিকা একটা চিরকুঠ লিখে গিয়েছিলো সেখানে লিখা ছিলো “““আনিকা ভালো নেই, আনিকা মুক্তি চায়””” ।

আশা করি ভালো আছিস, সুখে স্বাচ্ছন্দে আছিস। ভালো থাকারই কথা। যেখানে বৃদ্ধা মায়ের উৎপাত নেই। মায়ের সেবা করার জন্য সময় ব্যয় কতে হয় না। সেখানে তো অনেক ভালো ও সুখে থাকার কথা। আমার দাদুভাই ভালো আছে তো? ওকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।

তুমি হয়তো কোনদিন কল্পনাও করতে পারছো না পৃথিবীর কোন একপ্রান্তে কেউ একজন বেঁচে থাকছে আজন্ম তোমাকে ভালোবাসতে। তোমার হৃদয়ের স্থান চেয়ে তোমার অপেক্ষায় বসে আছে, যে তোমাকে পাগলের মত ভালোবাসতে বাসতে একমুহূর্তের জন্য ক্ষ্যান্ত হয়নি

গাছটির মগডালে বসলে ভারি মজা লাগে। দক্ষিণ দিকে তাকালে শহর-শহর পরিবেশ; আবার উত্তর জুড়ে চিরাচরিত চিরহরিৎ গ্রামবাংলার আবহ । আমার বিচরণ সবখানেই। তবে এখানে বেশি আসার কারণ আছে। শহরের শেষপ্রান্তের বাড়িটা যে আমারই, অর্থাৎ আমাদের।

ইচ্ছা করছে কষিয়ে দুইটা চড় দেই ওর গালে,হারাম জাদা ৫০টাকার ভাড়া চায় দুইশ টাকা।বাসে ওঠার চেষ্টা করতে করতে এতটাই ক্লান্ত হয়ে গেছি যে,ছেড়ে দিতে মন চাইল না।অগত্যা সিএনজিতে গিয়ে বসলাম।ড্রাইভার স্টার্ট দিতেই কেউ একজন দৌড়ে এলো গাড়ির কাছে।

না ভাবি আপনার কথা শুনে খুব ই কষ্ট পেলাম। নিলা বলে উঠল।
নিলার কথা শুনে বিব্রত হয়ে রিনা বলল,কেন ভাবি এত কষ্ট পেয়েছ কেন তুমি ?
এবার জবাবে নিলা বলল,কেন কষ্ট পাবনা তুমিই বল ভাবি, তুমি ছেলে মেয়ের চাহিদা মতো সবকিছু দিতে পার না এর চেয়ে দুখেঃর আর কি হতে পারে।

অমন করে ট্যারা চোখে আমাকে দেখোনা। এখন আমার গায়ে পুকুরের কাদা মাটি আর গোবর মিশিয়ে, তাদের এক রুমের ছোট্ট মাটির ঘর লেপন করছে।
তাই তো তুমি আমার সুন্দর শরীর টাহর করতে পারছোনা!
অথচ এই আমাকে দেখে কত যুবকের যে মাথা আউলা হয়েছে, তা কি তোমরা জানো? জানোনা!
কিভাবে জানবে , আমাকে তো আজকাল আমার রূপে দেখাই যায়না।

গোধূলির শেষ লগ্ন্ সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে কিছুক্ষণ আগে। থেমে গেছে তার সোনালি-লালচে আভার খেলা। দিগন্তজুড়ে শুধু একটি জ্বলজ্বলে তারা। তবুও সেই তারার ঝিলমিল আলো পুকুরের পরিস্কার পানিতে দেখা যাচ্ছে। দূরের ঘরে টিমটিমে সন্ধ্যাবাতি দেখা যাচ্ছে। আর আমি পুকুরের পানিতে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আনমনে ভাবছি। তবে কি ভাবছি তা বুঝতে পারছি না।

রাতটি ছিল অমাবস্যার রাত। চারিদিকে থমথমে স্তব্ধতা। এরকম রাতে নিকটবর্তী জঙ্গলে হঠাৎ করে শেয়াল ডেকে ওঠে, অথবা ঝিঝিপোকা ক্রমাগত ডেকে যায়।

ওকে আমি প্রথম যে‌দিন ঘ‌রে এনে‌ছিলাম তখন খুব কেঁ‌দে‌ছিলাম, কারন ওর মা‌ঝে আমি আমার পূর্ণতা খু‌জে‌ছিলাম। ওর নাম দি‌য়ে‌ছিলাম উমেদ । আমার স্বপ্নগু‌লো‌কে স‌ত্যি কর‌তে ওকে খুব প্র‌য়োজন ছি‌লো। তাই আমার শূণ্য ঘ‌রে উমেদ আমার বন্ধু হ‌য়ে এলো।।