চলে যাবো বলে তাওতো বারবার ফিরে আসি একটা দুর্লঙ্ঘ সিঁড়ির প্রথম ধাপে। একটা ক্ষমাহীন নিরুত্তাপ উৎসবের ভেতর। সিঁড়িটি আমাকে বেয়ে তরতর করে উঠে যাচ্ছে়। একটা সমুদ্র আমার ভেতরে ডুব দেবার পরে টের পাই— বহুকাল ধরে বিশাল এক আকাশ উড়ে বেড়াচ্ছে মাথায়।
একটা সুড়ঙ্গ, একটা ঘর— ঢুকে গেছে অন্দরে। পায়ের উপর দিয়ে হেঁটে গেছে অনেকগুলো দুর্মর পথ। চলে যাবো ভেবে তাওতো বারবার ফিরে আসি ঠিক শুরুর বাঁকটিতে। যেসব কথা ছড়িয়ে রেখেছি এখানে সেখানে, তারাই অবিকল আমাকে বলে যেতে থাকে। কবিতাগুলো নিখুঁত লিখে ফেলছে আমাকেই। লেখা ও কথার মধ্যে ঝুলে আছি উড়াল সেতুর মত হাইফেন হয়ে।
আকাশ থেকে ধার করি এক চামচ নীল, সমুদ্র থেকে একমুঠো নোনাজল। যে আগুন ক্রমাগত আমাকে ফু দিয়ে নেভাতে চাইছে— চেপে বসি তারই চঞ্চুতে।
কবে স্বপ্ন ছুড়ে চলে গেছো— এখনো ভেসে বেড়াচ্ছি তার অলিক ডানায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রনীল
কবিতাটি আগে পড়েছিলাম কিনা মনে নাই। যদি পড়েও থাকি ক্ষতি নেই, এমন কবিতা বারবার পড়া যায়। অনেকদিন পর এমন একটা কবিতা পড়লাম, যেটাতে অনেকক্ষণ বুদ হয়ে থাকা যাবে।
Jamal Uddin Ahmed
ভাই, গক'র আমি খুবই অনিয়মিত পরিব্রাজক। যতন ছাড়াই লিখে ফেলি হঠাৎ দু'কলম। গক আঙ্গিনায়, আমার বিবেচনায়, মানোত্তীর্ণ লিখিয়ে খুবই কম আছে। বিচারকদের ওপরও এখন বোধ হয় একটু আস্থা ফিরে এসেছে এই দেখে যে আপনার এই চমৎকার কবিতাকে তারা সত্যিকার মূল্যায়ন করেছে। অনেক অভিনন্দন।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এটা একটা অলিক প্রেমে ডুবে থাকা মানুষের বর্ণনা। পুরো লেখাটাই অবশ্য একটা আপাত অলিক আবহে আঁকা।
যেখানে সিঁড়ি নিজেই মানুষটাকে বেয়ে উঠে যায়। সমুদ্র তার ভেতরে ডুব দেয়। আকাশ উড়ে বেড়ায় তার মাথায়। ঘর, সুড়ঙ্গ উল্টো ভেতরে ঢোকে। পায়ের উপর দিয়ে পথ হেঁটে যায়। কথা মানুষটাকে বলে, কবিতা উল্টো তাকেই দেখে।
আবার একটু গভীরে ভাবলে এটাই তো সত্যি, আমার কথা, আমার লেখা তো আমাকেই নিখুঁত প্রকাশ করে। মানুষের ভেতর সমুদ্র, আকাশ সবই থাকে। মানুষকে ফেলে সিঁড়ি উঠে যায়, পথ হেঁটে যায়। ভেতরে ক্ষত তৈরি করে সুড়ঙ্গ। আবেগের আগুন তাকেই আরো নিভিয়ে দেয়।
পেছনে পড়ে থাকা মানুষটি কিছু অলিক স্বপ্ন আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে। আবেগের পিঠে চেপে থাকে প্রাণপন। তেমন একজন পরাজিত মানুষের কথা হলেও সফল মানুষেরাও কিন্তু এরকম অনেক ছোট ছোট অপ্রকাশ্য ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকে। যা তার দৃশ্যমান সফলতার আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। সব ধরনের সফলতাও তো আসলে আপেক্ষিক।
০৩ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৫৫ টি
সমন্বিত স্কোর
৬.৭
বিচারক স্কোরঃ ৪.২ / ৭.০পাঠক স্কোরঃ ২.৫ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।