একদিন বিলীন হয়ে যাবে এই ঢেউ পবনের সুর, বিলীন হয়ে যাবে এই হাতে হাত ধরে বহুদূর পথচলা
মুহূর্তে সমুদ্রের গর্জনে উত্তাল-পাতাল ঢেউ খেলবে আকাশে বাতাসে,
সেদিন কেটে যাবে সব অভিমান, কেটে যাবে মনের সব বিষণ্ণতা।

"ইহলোকে বাস করি। ” এ ভ্রম যৰে কাটিল
সময় যে পার হয়ে দ্রুত পায়ে হাঁটিল
মনে মনে বলি, “আহা কত কষ্ট হেখায়”
স্রষ্টা তব হাসে, বলে, "যাবিটা কোথা?”

আহত চোঁখের
নোনাজলে ভেঁজা গাল,
আর সারাদেহে ক্লান্তির ঢেউ।
চিৎকার করে সে জানান দিল পৃথিবীরে,
তবু উওর দিল না কেউ।

পার্থিব সুখের অন্বেষণে আমি
খুঁজেছি তাহারে নিস্তব্ধ দিবারাতি
আলো আঁধারের সহস্রবার পালাবদলে
পেয়েছি একটুকরো ভালোবাসার জ্যোতি

চলছে তোমার আমার নতুন সংসার.....।
ধরো, কোন এক বর্ষাদিনে ।
তোমার ওই প্রিয় রঙের শাড়িতে আমি,
মাথার খোঁপায় গুঁজেছি রজনীগন্ধা ।

আমি পারি
তোমাকে কেয়াবনে বসে
বাগান বিলাসের স্বপ্ন দেখাতে,

এখনও বকুল ফোটেনি,রসহীন হয়নি জীবননগর,
এখনও বৈশাখ আসেনি, ফোটেনি বকুল,টগর।
আজও বসা হয়নি শীতলপাটিতে ঘাম দরদর দুপুরে,
তালপাখার হাওয়ায় জুড়ানো হয়নি, যাওয়া হয়নি হৃদয়পুরে।

৩৩ লাইট কাভালরি ডিভিশনের হিংস্র স্মৃতিগুলো প্রতিরাতে
দুঃস্বপ্নে প্রকট হয়, শার্টের কলার ভিজে যায় ঘামে।
লোহমর্ষকতায় বন্দী হয়ে থাকি, সালমার চিৎকার ভেসে আসে।
বস্ত্রহীন যে নারী আমার পা'দুটো জড়িয়ে মৃত্যুভিক্ষা চেয়েছিল
ক্যাম্পের খেলাঘরে।

নশ্বর এই পৃথিবীতে
যাহা অবিনশ্বর - তাহার ব্যাপ্তি
অবিনশ্বর জগৎ অবধি
সোনার দিগন্তরেখা -
এপাড়-ওপাড় আলো করে,
সমপ্রজ্জলিত অবিনশ্বর জগতে;
পৃথিবী তো অবিনশ্বর
তাহার প্রাপ্তি লয়ে।

মানুষের একান্ত নিজের জন্য সময়ের বড়ো
অভাব পড়েছে আজকাল!
নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম পরিবার-
যেন আমাদের অনন্ত কাজের শেষ নেই,
মৃত্যুরই আগ পর্যন্ত অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য।