সবচে অপার্থিব বিষয়াবলীই কিন্তু তীব্র পার্থিবতায় উজ্জ্বল
সৃজিয়াছেন তোমায় যিনি , করবে অস্বীকার ? দুঃসাহসী বটে!
তবে করো অস্বীকার তীব্র ঝাঁঝালো ম্যাগনেটিক ফিল্ড
ম্যানটেল কোরের তীব্র আকর্ষণ আর আকাশগঙ্গার নিশিদিন খেলা

"ইহলোকে বাস করি। ” এ ভ্রম যৰে কাটিল
সময় যে পার হয়ে দ্রুত পায়ে হাঁটিল
মনে মনে বলি, “আহা কত কষ্ট হেখায়”
স্রষ্টা তব হাসে, বলে, "যাবিটা কোথা?”

তু‌মি তো বেঁ‌ধে‌ছো দু-পাঁচ জ‌নের ঘর
অামার তো সে বিরাট বড় বিশ্ব সংসার
জল ফে‌লে‌ছো নি‌জের সু‌খে হারা‌নোর খুব ভয়,
অামার অা‌ছে জ‌লের সাগর কে‌া‌টি কো‌টি জনতায়।

তুমি তো আমার বাগানের নীল আকাশ,
তুমি যে আমার চিরকুটে লেখা কাব্য,
লাজুকলতা কাব্য।
কিভাবে তোমায় রাখবো; বল,
কোন শব্দে রাখবো?

মন্দিরে খুঁজি, মসজিদে খুঁজি, গির্জা গুরুদ্বারে
সৃষ্টির কারণ খুঁজি, দৃষ্টি থামে দিগন্ত নীলিমায়
আলোর গতিতে মন ছোটে গ্রহান্তরে, মহাবিশ্বে
সুদূর নিহারিকায়, সৃষ্টির আধার আছে কি সেথায়?

দূর আকাশ, দূরের পথে তারার তিমিরে,
হাজারো নক্ষত্রের নির্ঝর নিবিড়ে,
যেখানে মেঘের পালকিতে চড়ে, বাতাসের হিল্লোলে,
সুভাষিত বাতায়নে স্বপ্নের রঙ ছড়াই।

ছাতের কোণায় এখন
বহু অধ্যবসায়ে গড়া ঝুলের বাসর,
নিরেট ভাগ্যের দামে কর্তৃত্বের কেনা
দামী দামী প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে যায়।

এখনো বৃষ্টির দিনে আমি
কাজে চলে যাই,
জানালার দাঁড়িয়ে আমি সংসারী মানুষ
বৃষ্টিকে অনাহূত ভাবি।

নিঃসীম শূন্যতা, অসীম আকাশ আর অবারিত
খোলা মাঠ, আমার চেতনায় হঠাৎ তরঙ্গ দোলা!
তরুণের চির বাঁধ ভাঙ্গা তারুণ্যের উচ্ছ্বাস স্বপ্ন দেখায়
প্রতিদিনের কাঙ্খিত সকল না পাওয়ার বেদনা ভুলতে।

কল্পনা করো-
একটি গ্রাম। যেটা এক্কেবারে গ্রাম।
তার কোন এক বাগানে বইসা আছো।
সময় তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে।
সামনে বিস্তর ফসলের মাঠ, পাশে খাল।