ঝাঝালো রোদ আর ধুলো মাখা বাতাসে পুড়ছে গায়ের ছাল,
এরি মাঝে বসে পড়ছে কোরআন, দুম্বার এক রাখাল।

বললাম আমি তার মতো করে, নাম কি তোমার ভাই?
সুলতান আমি দুম্বা চড়ায় বসতী দুরের গায়।

আমার পা দুটি আবার পূর্বের ন্যায়
নিঃস্ব কোকিলের কুহু কুহু হৃদয়গ্রাহী
ডাকে সক্রিয় হয়ে ওঠে
অনাবৃত মাথার ঝাকড়া কেঁশ ঢেকে গেছে
কুয়াশার বিন্দু বিন্দু স্বচ্চ শিশির ফোটা।

ক্ষুধার দাবানলে পুড়েছে পেট, পেটের সংসার
পুড়েছে স্বর্গের পথ বৈষম্য বারুদে,
কর্তারা বসে আছে আগেভাগে অভূত স্বর্গের দুয়ারে
করুনার পিচ্ছিল পথে পিচলে পড়ে অনাহারি,

নীহারিকা শুনছো,
আমি!আমি বলছি,
যে তোমাকে পাওয়ার জন্য
এখনো সেই চেনা পথে
পাগলের বেশে অপেক্ষায় আছে।

আমিও চাইলে তোর নামে উরস করে শিরনি দিতে পারি,
লাল সালু বিছিয়ে মাজার গড়তে পারি।
দমে দমে হবে শুধু তোর নামের জিকির।
কিন্তু আমি শিরক করিনা।
তুই ছাড়া কারো নাম দিলে আনি না।

জানা রাস্তা অজানা শহর
মধ্য দুপুর রাত্রি দ্বিপ্রহর
চেনা মানুষের অচেনা গন্ধ
তৃপ্ত শরীর তবু হৃদয় বন্ধ
এসি চলছে ঘুরছে না গাড়ীর চাকা
তুমি কেন হলে এত অচেনা ঢাকা।।

ঘুমোতে যাবার আগে প্রতি রাতে মা কেমন
বেঁধে রাখতেন স্বপ্নের পুঁটুলি, অতিযতনে আঁচলের খুঁটে !
আঁজলা ভরা ভোরের আলোতে কেঁচে নিয়ে
পুরতেন তাতে নীলাভ আকাশের অসীমতা।

মানুষের একান্ত নিজের জন্য সময়ের বড়ো
অভাব পড়েছে আজকাল!
নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম পরিবার-
যেন আমাদের অনন্ত কাজের শেষ নেই,
মৃত্যুরই আগ পর্যন্ত অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য।

ছাতের কোণায় এখন
বহু অধ্যবসায়ে গড়া ঝুলের বাসর,
নিরেট ভাগ্যের দামে কর্তৃত্বের কেনা
দামী দামী প্রশ্নগুলোর জবাব দিয়ে যায়।

শত যান্ত্রিকতার এই বদ্ধ নগরীতে
এক চিলতে হাসি;
রাস্তার ওই পথ শিশুদের
কেইবা ভালোবাসি?