মানুষের একান্ত নিজের জন্য সময়ের বড়ো
অভাব পড়েছে আজকাল!
নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্ম পরিবার-
যেন আমাদের অনন্ত কাজের শেষ নেই,
মৃত্যুরই আগ পর্যন্ত অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য।

ক্ষুধার দাবানলে পুড়েছে পেট, পেটের সংসার
পুড়েছে স্বর্গের পথ বৈষম্য বারুদে,
কর্তারা বসে আছে আগেভাগে অভূত স্বর্গের দুয়ারে
করুনার পিচ্ছিল পথে পিচলে পড়ে অনাহারি,

ভোর হয়েছে অভিশপ্ত সূর্যোদয়ের আগে
অজানা আলোয় আলোকিত সামাজিক অন্ধকার;
সুবাসিত ফুল চাঁদের আলোয় মূর্ছা যায় প্রতিনিয়ত ৷

আমার পা দুটি আবার পূর্বের ন্যায়
নিঃস্ব কোকিলের কুহু কুহু হৃদয়গ্রাহী
ডাকে সক্রিয় হয়ে ওঠে
অনাবৃত মাথার ঝাকড়া কেঁশ ঢেকে গেছে
কুয়াশার বিন্দু বিন্দু স্বচ্চ শিশির ফোটা।

মন্দিরে খুঁজি, মসজিদে খুঁজি, গির্জা গুরুদ্বারে
সৃষ্টির কারণ খুঁজি, দৃষ্টি থামে দিগন্ত নীলিমায়
আলোর গতিতে মন ছোটে গ্রহান্তরে, মহাবিশ্বে
সুদূর নিহারিকায়, সৃষ্টির আধার আছে কি সেথায়?

এই তুমি কেমন আছো?
বলতে! আজো মনে লাগে ভয়।
দিনরাত আসে যাবে কতো,
নেই কোনো আর বাধাঁ পরাজয়।

দূর আকাশ, দূরের পথে তারার তিমিরে,
হাজারো নক্ষত্রের নির্ঝর নিবিড়ে,
যেখানে মেঘের পালকিতে চড়ে, বাতাসের হিল্লোলে,
সুভাষিত বাতায়নে স্বপ্নের রঙ ছড়াই।

পরিপার্শ্বিক দুঃখজলের স্পর্শ এড়াতে মনে জড়িয়েছি বর্ষাতি খোসা
চোখে রোদ-চশমা
তোমার রহস্যঘেরা কথা-কান্না এখন আর আমাকে অস্থির করে তুলে না।
অতন্দ্রিতা, ভালোবাসার সংজ্ঞার্থ আমার ঠিক জানা নেই
আর নরকপিণ্ডে তোমার সঙ্গও চাই না।

উড়ে যায় বিহঙ্গ ডানা তে ভর করে
পালিয়ে যায় সময় ধরা কে জীর্ণ করে।

আমি পরে থাকি পশ্চাতে পরাজয়ের টানে
কিছুতেই অগ্রগামী হতে পারি না সম্মুখ পানে।

"ইহলোকে বাস করি। ” এ ভ্রম যৰে কাটিল
সময় যে পার হয়ে দ্রুত পায়ে হাঁটিল
মনে মনে বলি, “আহা কত কষ্ট হেখায়”
স্রষ্টা তব হাসে, বলে, "যাবিটা কোথা?”