প্রিয়তমা!
এখানে তোমার কি আছে?
ঘনবরফের স্মৃতি!
শীতের কুহেলীতে চাঁদরে জড়ানো ওম!
ঝড়েপরা হলুদপাতার উপড় একফোটা শিশির,

কষ্টের দোলাচালে শিহাব ক্রমশ: হারায়
দূর থেকে দূরে পরম শূন্যতায়
নীল বেদনারা যেথায় আরো নীল হয়
কষ্টের নীল কাব্য রচে চরম বিষন্নতায়।

পিদিম জ্বালিয়ে রেখেছি,
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর তোমায় দেখবো বলে।
পথের দিকে চেয়ে রই তোমার
অপেক্ষায়,

একমুঠো বৃষ্টি চাই
তোমার আর আমার
যে বৃষ্টিতে ভেসে যাবে চরাচর
ছোমেরে তুলেনেবে তোমার ওড়না
এলোমেলো চুলে তুমি দৌড়ে আসবে
রিক্সার হুড আর পলির ফাকে
বৃষ্টি তোমায় রিক্ত করবে।

একটি সুন্দর মুখ
যা দেখলেই মনে জাগে প্রেম।
প্রেম তুই কি করবি খেলা?
মনে কি দিবি ব্যাথা??

গভীর রাতে একাকী,
কথা হলো কোজাগরি পূর্ণিমার সাথে,
নিদ্রায় ক্লান্ত তোমার দু’চোখ

হারিয়ে যাবে বলে ছেলেটি
বাড়ি ফেরেনি;
বাড়ি ফেরেনি মেয়েটাও
হারানোর নেশায়।

অস্ত্র দিয়ে করতে পারো
দেশ, মহাদেশ বিশ্ব জয়,
লাঠির জোরে বিরাট হাতি
সে ও করে তোমার ভয়!

তুমি কি আর আসবেনা ফিরে?
স্মৃতি জড়ানো সেই নদির তিরে।
যে নদীতে ঢেউ তুলে নেয়ে উঠে বাড়ি ফিরতাম গোধুলি বেলায়।