এই পথ একটু আগেও অচেনা ছিল।
তুমি বলেছিলে যেদিন আমি এই পথ চিনব,
তোমার নীল শাঁড়িটি আবার পরবে
নতুন করে সাজবে আমার জন্য।

একদিন ইচ্ছে করেই ভুলে যাবো তোমার বিষন্নতায় আঙুল ডোবাতে।
আর কত কষ্ট শুষবে এই মন?
এ দেহ আর কতো অবহেলা গিলে খাবে?
আর কত রাত চোখ স্বার্থহীন হয়ে কাঁদবে?

কাব্যের সমাহারে ভুলেছি গদ্যকথা।

বেজে উঠা সাইরেনে ঘুম ভাঙে না।

পরশ পাথর ছুঁয়ে, ইচ্ছে করে বদলে ফেলি

কান্নার শব্দমাখা ধোয়াশার দিনগুলি।

দুঃখ ভরা জীবন মাঝে
বুকে অতই জল,
প্রেমের ডোরে ব্যাথার কান্না
স্রোতের বালু চর।

কর্ম যা করে যাচ্ছো তারুণ্যে, জমা রাখছো কিন্তু ভবিষ্যত ব্যাংকে,
যত শক্তি, যত দম্ভ একদিন ফুরিয়ে যাবে,
শক্তি সামর্থ্যের র‍্যাংকিয়ে এক, একদিন পরিণত হবে শূন্য র‍্যাংকে,
একদিন সব হারিয়ে তোমার মন বদলাবে!
থাকবে না সময় সেদিন!

নদীর ইচ্ছে ভীষণ মেঘের সাথে মিতালীর,
বলেছিলাম যে দিন জোড়া শালিক দেখব-
মিলিয়ে দেবো তোদের।
ময়ূরের ইচ্ছে ভীষণ বর্ষণে পেখম তুলে নাচবে,
বলেছিলাম যেদিন জোড়া শালিক দেখব-

অতীত গুলো হারিয়ে গেলো
রেখে গেলে স্মৃতি।
স্মৃতি গুলো মনে করে
কাঁদি সারা রাত্রি।

তুষার বৈঠা দিয়ে ফেরাইও মোরে পানে
সকল প্রেম দিয়ে বক্ষে নেব টেনে ;
আমি কষ্টের পিতা-মাতা
হিয়াতে লালন করি যত ব্যথা ।