ক্র্যা-এ-এ-এ-এ-চ্‌!
গাড়িটা থামতে থামতে পূর্ণ বেগে প্রাণপনে আবার ছুটতে শুরু করে। ইশরাত বাস থেকে নেমে প্রচন্ড বাতাস

কলেজ এ যাচ্চিলাম সেদিন । হঠাৎ করে প্রচণ্ড বৃষ্টি নামল । তাড়াতাড়ি পাশের চায়ের দোকানটাতে ঢুকে পড়লাম । ওরনা দিয়ে মাথা টা মুছলাম । বৃষ্টি আমি খুব ভয় পাই । বৃষ্টির পানি মাথায় পরলেই জ্বর

এতকাল পর! তবুও তো জেগে আছি নাগরিক বর্ষায়। শৈশবের-কৈশোরের আগাপাশতলা বর্ষা-বৃষ্টি-বন্যার স্বাদ দেয়ার ক্ষমতা এই রাজধানীর বর্ষার নেই। তবুও এই নগরবর্ষার ছাঁট স্মৃতিমেদুর তো অন্তত:

হঠাৎ ঝুপঝুপ বৃষ্টিতে কারওয়ান বজার মোড়ে দাড়িয় আমার প্রায় কাকঁেভজা অবস্থা! আমার নিলিপ্ত অপেক্ষা আর বৃষ্টির তুতুল ঝাঁপটা উপেক্ষা করে বাসগুলো সাঁই সাঁই করে দৃষ্টির সীমা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে।

বৃষ্টির মধ্যে গ্রামে আসে শান্তরা। সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি। উঠোনে কাদা পানি।শান্ত চলে যেতে চেয়েছিল তার বাবার সাথে। কিন্তু বাবা বললেন,এখনতো সবখানেই বৃষ্টি হচ্ছে। স্কুলে যেতে পারবে না।

চৈত্রসংক্রান্তির পর হতে আজ প্রায় পনের দিন । কোন বৃষ্টি নেই। বাইরে কাঠফাটা রোদ । মাঠঘাট ফেটে চৌচির । উপর আকাশে মাঝেমধ্যে দুএকটি সাদা মেঘের টুকরো দক্ষিন থেকে উত্তর দিকে ভেসে যাচ্ছে

-তোমারে আগে দেখছি বলে তো মনে হয়না বাপু। ডিজাইনটা কেমন নতুন ঠেকছে।
-জ্বী, একটু আগে শো-কেইস থেকে এলাম। ঐযে বেসিনের পাশে কাপগুলা, তারা আমার টিসেট-পরিবার।

আজ বাইরে সারাদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি পরছে। যেন এ বৃষ্টি ফুরাবার নয়, বাইরে ঝড় উঠেছে কিন্তু মাধবীর অন্তরেও আজ দারুণ ঝড় বইছে শুধু পার্থক্যটা এই, বাইরের ঝড় সবাই দেখছে; কিন্তু মাধবীর

শেষরাত থেকেই মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। যাকে বলে ভাসিয়ে দেওয়া জলধারা। সবকিছুকে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় সহজাতে। রাতমিলা স্বপ্ন দেখছিল। স্বপ্নে তারা কোন একটা সুন্দর জায়গায়

আজ যেন আকাশটা ভেঙে পড়েছে –
মুহুর্মূহ মেঘের গর্জন, তীব্র বেগে ছুটে আসা বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আমাকে বারবার বিচলিত করে তুলছে। খুব