আমার বাড়ির পশ্চিমেতে, ছুটি আমি দেখা পেতে,
মেঘনা নদীর ধারা।
সেযে আমায় করল যাদু, দু’দিন গেলেই মনটা শুধু,
হয় যে বাড়িছাড়া।
চড়ে বসি রথের গাড়ি, ছুটতে থাকি তাড়াতাড়ি,
মেঘনা নদীর তীরে।
বন্ধু ক’জন সঙ্গে করি, সবাই হাতে হাতে ধরি,
চলি ঘুরে-ফিরে।
সকাল-বিকাল সারাবেলা, নদীর কূলে করি খেলা,
জুড়াই মন ও পরাণ।
মেতে উঠি কলরবে, একই সুরে বন্ধুসবে,
গেয়ে কী মধুর গান !
বর্ষা এলে যৌবনে তার, পাই খুঁজে কী রূপের আঁধার!
মাতাল হয় এ মন।
নাচে হিয়া বীচির তালে, লাফ মারি তাই নীরের কোলে,
মোর সেযে কী আপন !
সেথা একা স্রোতের সনে, বলি কথা উদাস মনে-
“কোন্ দুরে তুমি যাও?
এলাম আমি দেখতে তোমায়, রাখবো লিখে স্মৃতির পাতায়,
যদি একটু দাঁড়াও।”
বলে সে যে রুক্ষ স্বরে- “যদি পার রাখ ধরে,
ফেরার সময়তো নাই।
মানতে আমি নদীর বিধান, ধরতে হবে দুরের উজান,
সামনে ছুটি যে তাই।
কোথায় আমার শেষ ঠিকানা ? ছুটি শুধু, তা- জানি না,
দিবে নাকি বলে?”
“জানতে হবে তোমার কাছে, সেই ঠিকানা কোথা আছে,
যেথা হতে এলে।”
কয়না সে আর কোনো কথা, মনে আমার দিয়ে ব্যথা,
ছুটে ক্ষুরধারে।
চুপটি মেরে বন্ধু লয়ে, থাকি আমি উদাস হয়ে,
মেঘনা নদীর পাড়ে।
ইচ্ছে যাগে ধারার সনে, যেতে ছুটে আপন মনে,
দুরের ঐ ঠিকানায়।
সাগর-নদীর মিলনমেলা, যেখানেতে জমে খেলা,
ভেবে এ মন হারায়।
লিখি শেষে ডায়রী খুলে, বন্ধুসবের কথা ভুলে,
মেঘনাপ্রেমের ছন্দ।
বন্ধু বলে- “কিরে কবি, আর কতকাল হেথায় রইবি?
করনা এবার বন্ধ।
দৃষ্টিসীমার দ্যুলোক ঘুরে, কাঁদে অরুণ বিদায়সুরে,
লাল হয়ে যায় ডুবে।
আয়না সবাই চলি ফিরে, মোদের বাড়ি হোসেনপুরে,
মেঘনা নদীর পুবে।”
০৫ মার্চ - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১৬ টি
সমন্বিত স্কোর
৭.৬৯
বিচারক স্কোরঃ ৫.৪৫ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ২.২৪ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪