...বুদ্ধু কোথাকার। যদি পারতাম তোমার শৈশবে গিয়ে পাঠ্য তালিকায় বিজ্ঞান ঢুকাতাম। কৃত্রিম রাগে গজগজ করছে শ্যানন।–বস্তু আর শক্তির পার্থক্যই বোঝো না, আবার ‘টাইম ডিলিশন’ বুঝতে চাও!
শ্যাননের ঘাড়ের উপর দাঁড়িয়ে খ্যাক খ্যাক করে হাসছে মুর্তজা। কাজের ফাঁকে খুনসুটি দু’জনের। ‘টাইম ইনডিফরেন্ট ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’ এ একসাথে কাজ করে ওরা। শ্যানন ভিশন অর্গানাইজার, এক কথায় পরিচালকও বলা যায়। বিংশ শতাব্দীর অডিও ভিজুয়াল ধ্যান-ধারণা এখনও ছাড়তে পারেনি, সেই মুর্তজা এখানে ভিউ সিনক্রোনাইজার হিসেবে আছে।
বিভিন্ন সময়ের নানা চিত্র গেথে ওরা চলচ্চিত্র বানায়, ডকুমেন্টারি তৈরি করে। এমনকি কয়েক শতাব্দীর গায়ককে এক মঞ্চে এনে কনসার্টও করে। বিষয়টা এমন নয় যে, পাত্র-পাত্রীরা সশরীরে হাজির হয়। ওরা মূলতঃ পছন্দের শিল্পীর সময়ে গিয়ে তার চিত্র ধারন করে নিয়ে আসে। সময় পরিভ্রমন তো এখন পূরনো বিষয়। এটা এখন অনেকটা সাফারি ভ্রমনের মত। সবকিছু তার নিজের মত চলছে- ভ্রমনকারী কোন কিছু না ধরে, না ছুঁয়ে শুধু দেখে আসবে। বেশকিছু দুর্ঘটনার পর সময় পরিভ্রমনে এখন এসব কড়াকড়ি করা হয়েছে।
একটা বিশেষ ধরণের সময়-নিরপেক্ষ ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় শ্যানন। মুর্তজার কাজ মূলতঃ স্টুডিওতে। তার কাজটাই আসল। অনেকটা কোরিওগ্রাফারের মত। ভিন্ন সময়ের ভিন্ন রুচিবোধ, শিল্পকে একসূত্রে গাঁথা। একাজে সে একজন বিরল বিশেষজ্ঞ। প্রায় সময়ই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ওর কাজ দেখে শ্যানন। আর ভাবে…একটা লোক, তার নিজের কাজটা ছাড়া বাকী সব কাজে শিশুর মত সরল, অজ্ঞ। জীবন, পারিপর্শ্বিকতা থেকে দূরে থাকা আর অপার নিস্পৃহতাই মনে হয় তার একাগ্রতার মূল শক্তি।
বিকেলে বিচে দেখা হবে, বলে চলে যায় শ্যানন।
হাতের কাজ সেরে একটু আগেই উঠে পড়ে মূর্তজা। বেড়িয়ে পড়ে। সাগরবেলায় প্রচুর ভীড়। একটু নির্জনতা খোঁজে সে। নারিকেল বীথির একটা জায়গা দেখে ছায়ায় বসে পড়ে। বেশকিছু ভাবনা জমেছে। নিরিবিলি বসে সুরাহা করা দরকার। হালকা রোদে চিকচিক সাগরের ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে পাড়ে। এদিকটায় সাগরপাড়ে কেউ নেই। নাহ্ একদম খালিও না। ছোট্ট একটা মেয়ে বালি নিয়ে খেলছে। অবাক লাগছে, তার আশে-পাশে বড় কেউ নেই। কী জানি, হয়তো আছে, তার চোখে পড়ে নি। নরম হাওয়ায় চোখ মুদে আসে তার।
ধরমর করে উঠে ঘড়ি দেখে। চারটে বাজে। চনমনে ক্ষুধা। কিন্ত হোটেলে ফিরে গিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে না। তারচেয়ে বরং শ্যাননের ওখানেই যাওয়া যাক। কাপড় ঝেড়ে রওনা দিতে যাবে, তখনি শ্যাননকে দেখে। হাত নাড়ছে ওর দিকে।
- লাঞ্চ করেছ?
- নাহ্…ইচ্ছে করছে না।
আমার কেবিনে চল….মূর্তজাকে টেনে নিয়ে চলে শ্যানন।
গাছপালার আড়ালে অদ্ভূত সুন্দর একটা রিসোর্ট। শুধু সাগরের দিকটা খোলা। সাজানো গুছানো ঘর। এর মাঝে মেয়েলি স্পর্শে বাড়ি বাড়ি একটা ভাব।
শ্যানন বোধহয় কিচেনের দিকে গেছে। এটা সেটা নাড়ছে মূর্তজা। দেয়ালে একটা মিষ্টি মেয়ের ছবি। সাগর পাড়ে খেলছে। ভাল করে লক্ষ্য করে সে, আরে এই ছবিটা তো ও জীবন্ত দেখেছে! আজ দুপুরেই।
শ্যানন বোধহয় ক্যাপচার করেছে...ঐ সময়েই। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ছবি তুলে এনলার্জ করে ফ্রেমবন্দি করল কীভাবে? ভাবতে ভাবতে শ্যাননের ডাক শোনে-
- খাবার টেবিলে এসো।
খেতে খেতে দুপুরের সাগরবেলার দৃশ্য এবং শ্যাননের বাসার ছবি নিয়ে কথা হয়।
হাসতে হাসতে শ্যানন বলে- তুমি আমার তৈরি টাইম প্যাসেজে ঢুকে পড়েছিলে। ছোট্ট একটা ফুটেজ, আমার কেবিন বরাবর বিচে সেট করেছিলাম।
- আমি ঢুকলাম কীভাবে, মুর্তজার প্রশ্ন।
- আমার এক্সেসিবিলিটি অপসনে তুমি ওপেন ছিলে। আমাদের সব কাজেই তাই থাকে। এটা আমার পারসোনাল এরিয়া…ভুলে গেছিলাম তোমাকে ডিজেবল করতে।
বুদ্ধুটা আর প্রশ্ন করবে না, জানে শ্যানন। আগ বাড়িয়ে বলে, ওটা আমার মেয়ে।
- বল কী, তোমার আবার মেয়ে এলো কোত্থেকে? উত্তর জানার চেয়ে যেন পি-নাট পাইয়ের দিকেই মূর্তজার মনযোগ বেশী।
- রামবুদ্ধু! এখন নেই। ভবিষ্যতে হবে না?
হায় রে নারী! আর কী কী দেখে এসেছ? আরও ফুটেজ এনেছ? মুর্তজা বলে।
- নাহ্ মেয়ে ছাড়া আর কিছু দেখিনি…দেখার দরকারও ছিল না। আর, কিছু ভবিষ্যত ‘রহস্য’ থাকাই ভাল্।
ছবির সামনে দাঁড়ায় মূর্তজা। - একদম তোমার মত হয়েছে, শ্যানন।
- কচু, বুদ্ধু কোথাকার। হয়েছে কোথায়? বল, হবে। আর তুমি কবে চেহারা বিশেষজ্ঞ হলে! নিজেকে কখনও দেখেছ আয়নায়?
মনে মনে ভাবে শ্যানন, নাকটা আর চোখ দুটো একদম বুদ্ধুটার মত। কি জানি ভুল্ও হতে পারে! মস্তিষ্কে রোপিত চিপে নাড়া পড়ে….মা ভারিয়া’র সাথেও যেন একটু মেলে! চোখে জল আসে, মাকে দেখতে যাওয়া হয়নি অনেকদিন। প্যাথলজিক্যাল নমুনা নয়, ন্যাচারাল ইভলুশন লড়াইয়ে কালবিজয়ী যোদ্ধা হিসেবে তার স্মৃতি রক্ষা করা হচ্ছে এখন, ইউনিভার্সাল মিউজিয়ামে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
প্রচন্ড বৃষ্টি। বালিতে চাকা দেবে যেতে পারে। গাড়িটা পাকা রাস্তায় নিয়ে আসে শ্যানন। অনেকটা দূরে যাবে আজ। ছুটির দিনটা কাটিয়ে আসবে কোথাও। কিন্তু বৃষ্টির যা নমুনা….কোথাও নেমে বেড়ানোর জো কই? একটা বর্ষার গান ছাড়বে, সে উপায়ও নেই। গাড়িতে উঠে বুদ্ধুটা এডিটিং করছে। তাই বাধা দেয় নি। কাজের সময়টাতে ওকে শিশুর মত লাগে।
অনেক ইচ্ছেই থাকে মানুয়ের, না যায় প্রকাশ করা, না য়ায় করা নিভৃতে পূরণ। যেমন শ্যাননের ইচ্ছে করছে কিছুক্ষণ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে বুদ্ধুটার দিকে। কানে বাজবে হারানো দিনের বর্ষার গান! গাড়ির কন্ট্রোল হাতে, উপায় কী?
গাড়ি থামাও, চল চা খাবো। মূর্তজার ডাকে চিন্তার সূর কাটে শ্যাননের। গাড়ি থামায়। দু’কাপ চায়ের অর্ডার দিতে যায় মূর্তজা।
পেপার পোর্টালটা খোলা রেখে গেছে বুদ্ধুটা। ভাঁজ খুলে দেখে, আরে..স্ক্রীনে কোন ভিডিও সফট একটিভ নেই। করছিল কী সে? মিনিমাইজড ওয়ার্ড ফাইলটা খোলে। পুরনো দিনের কবিতা। লিখছিল, না পড়ছিল- বোঝা গেল না।
….স্বপ্ন জাগানিয়া রাত্তিরে তুমি এলে…ঘুম ভাঙ্গানিয়া শ্রাবন মুর্ছনায়
ঘরের চালে নয়…টাপুর টুপুর শব্দ বাজে হৃদয় তন্ত্রীতে
ভিজছি আমি ছাদের নীচে, তুমি আছ পাশে, যেন শ্রাবন মেঘ আমায় ঘিরে
চিন্তার চারপাশে ধোয়াশা…আচ্ছন্ন আমার জীবন-ভাবনা…আচ্ছন্ন তুমি আমি...
……
মূর্তজা ফিরছে। সরে আসে শ্যানন। মুখে মুগ্ধতা ও বিস্ময়ের যুগপৎ আবেশ।
চা খেয়ে গাড়িটা আগে বাড়ায় শ্যানন। আবার বৃষ্টি নেমেছে অঝোরে। একটু থামা দরকার। আর চালানোর শক্তি নেই ওর। কী যেন একটা অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে।
গাড়ি থামাল শ্যানন। মূর্তজার জিজ্ঞাসু চাউনি দেখে বলল, মাথাটা একটু ধরেছে। ব্যস্ত হয়ো না। দশ মিনিট চোখ বুজে পড়ে থাকলেই চলবে।
সিটটা পিছনে নামিয়ে গা এলিয়ে দেয় শ্যানন। গাড়ির ছাদ, জানালার কাঁচে আছড়ে পড়ছে বৃষ্টির ছাট। ভেদ করে যেন ছুঁতে চাইছে বন্দি এক জুটিকে। একজন ব্যস্ত কাজে, একান্ত নজর মনিটরে। আরেকজন ঘুরছে ভাবনার আকাশে, বাস্তবতার ছুটিতে।
বাইরে উথাল পাথাল বাতাস। গাড়ির জানালা বন্ধ হলেও মনে হল যেন নারীটির চুলগুলো নড়ছে, বারবার মুখের উপর এসে পড়ছে বলে মনে হল ব্যস্ত পুরুষটির। আলতোভাবে মুখ থেকে চুলগুলো সরিয়ে মাথাটাকে সিটে ঠিকঠাক করে দিল। যত্নটুকু উপভোগ করল শ্যানন, আধোঘুমে।
ওরা কেউ কাউকে কিছু বলবে না। কট্টর পেশাদার মানুষ তারা। ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা ভাবার সময় কোথায় তাদের? প্রকৃতিই দায়িত্ব নিল তাদের ভবিষ্যত ঠিক করে দেয়ার। তাই হয়তো কিছুটা করে দিল দুষ্ট বাতাস। আরো দায়িত্ব নিল প্রলম্বিত বর্ষণ।
কাজ গুটিয়ে নরম হাতে শ্যাননকে আলগোছে পাশের সিটে এনে ড্রাইভিং সিটে বসল মূর্তজা্। ওর হাটুর উপর মাথা দিয়ে ঘুমন্ত শ্যানন। তিনরাত টানা কাজ করার ক্লান্তি- ভাবল সে।
বেখেয়ালী বুদ্ধু গাড়ি কেমন চালায়, জানে না শ্যানন। যেমনই হোক, আয়োজনটুকু নষ্ট করবে না সে। গুটিশুটি মেরে মূর্তজার শরীরের তাপে ভাগ বসাল।
অটো-পাইলট অন করার জন্য ইনটেলিজেন্স মোডে গেল মূর্তজা। কনসোলে ২০০ বর্গ কিলোমিটারের ত্রি-মাত্রিক ছবি ভেসে উঠলো।…..সাথে রেড এলার্ট! খোদা! জলোচ্ছাস আসছে! টানা টিপ টিপ বৃষ্টি থেকেই বোঝা উচিত ছিল, আবহাওয়ার মতিগতি ভাল না। শ্যাননও ফোরকাস্ট দেখেনি। বিদ্যূৎ চমকাচ্ছে খুব। এই এলাকায় বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার ফিল্টার ঠিক আছে কীনা কে জানে? কিছুদিন আগেই একটা সৌর ঝড় বয়ে গেছে এদিক দিয়ে। তাই বজ্রপাত বিপদজনক। গাড়ির এক্সটারনাল ইনসুলেশন ঠিক আছে কি না, চেক করতে না করতেই….সব বাতি নিভে গেল। বাজ পড়ে সম্ভবত ন্যাচারাল পাওয়ার সোর্স সার্কিট ব্রেক করেছে।
বুদ্ধি হারাল না মূর্তজা। শ্যাননকে ওঠাল। অল্টারনেটিভ পাওয়ার সোর্স চালু করতে হবে। গাড়ির প্রসেসর চেক করতে হবে। কন্ট্রোল সিটে শ্যানন বসলো। গাড়ির ছোট্ট এটমিক ইনভার্টার চালু করল মূর্তজা। সব বাতি জ্বলল। কিন্তু বড় বিপদ ঘটে গেছে। ইনটেলিজেন্স ডিস্ক জ্বলে গেছে। স্টিয়ারিং অটোলক হয়ে গেছে। দ্রুতই সমাধান খুঁজতে হবে। বাইরের সহযোগিতা পেতে পেতে জলোচ্ছাস ধরে ফেলবে। সমাধান একটা আছে, কিন্তু পাওয়ার সোর্সটাই বিপদ।
শ্যাননের ছোট্ট মেয়েটার কথা মনে পড়ল তার। আনমনে লুকিং মিররে নিজের চেহারা দেখল সে। সূক্ষ্ম মিলটা খুঁজে পেল! আর বিপদের তোয়াক্কা করলো না। পাওয়ার সোর্সের কেবলটা নিজের ব্রেইন ইনলেটে লাগাল…এটমিক পাওয়ার তার ব্রেইনে….গাড়ির প্রসেসিং ইউনিটের সাথে আরেকটি কেবল দিয়ে নিজকে যুক্ত করল।
বিদ্যূৎ গতিতে কাজগুলো করে ফেলল মূর্তজা। বাধা দেয়ার বা প্রশ্ন করার সুযোগই পেল না শ্যানন। অবাক হয়ে মূর্তজার দক্ষ হাতের ক্ষিপ্রতা দেখল বসে বসে। এখন আর কিছূ করারও নেই। গাড়ি চলল…কন্ট্রোলে শ্যানন। যন্ত্রমানব হয়ে নিঃসাড় বসে আছে মূর্তজা। ওর হাতের ইশারায় মিউজিক প্লেয়ার ছাড়ল শ্যানন। বর্ষার গান বাজছে, রাগ পূরবী…অতুল বনে মাতাল মনে…কী সুখ বাজে গো…শ্রাবন ধারার শীতল জলে...কী মায়া টানে গো….!
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
তিন চারটে টেস্ট হয়ে গেল। মূর্তজার ব্রেইন ম্যাপিং নেয়া হল। রিপোর্ট সাথে সাথেই পাওয়া গেল। হাই রেডিয়েশনে ক্ষতিগ্রস্থ মস্তিষ্কের বেশ কিছূ অংশের পূনর্বাসন করতে হবে। লম্বা প্রক্রিয়া। পুরো সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেড়হাজার ভাগের একভাগ। এর মানে বেশকিছু সেল হয়তো আগের অবস্থায় ফিরবে না। পরিনতিটা জানে সে। আজ রাতেই এডমিশন নিতে হবে। হাতে সময় খুব কম।
সংক্ষেপে বিষয়টা বুঝাল শ্যাননকে। ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে ওরা দু’জন। শিশুটাকে নিয়েই ওদের সব ভাবনা। ওকে আসতে দিতে হবে। আইন ও সামাজিক রীতিনীতি পালনের সময় নেই। মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ, সর্বোপরি অপত্য ভাবনা দ্বিধায় ফেলল। মানুষ ভুল করলেও প্রকৃতি ভুল করে না।
ভালবাসা আচ্ছন্ন করল ওদের দু’জনকে। সাময়িক তাড়নায় করা যেই কাজটি গর্হিত, ভালবাসা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা অনেক সময়েই সেই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ক্রিয়াটিকেই মহান করে দেয়। তাই ঘটল ওদের ক্ষেত্রে।
পরম প্রশান্তিতে এক লম্বা যাত্রায় অপারেশন টেবিলে গা এলাল পুরুষটি। সময়ের দায়িত্ব পালনে আপাত সফল সে।
নারীটি দু’জনের অপেক্ষায়। একজন নিশ্চিত আসবে, সে জানে। আরেক জনের জন্য এক বুক আশা নিয়ে প্রতীক্ষা। আগের সেই পরিপূর্ণ মানুষটি ফিরে আসবে, যে দিয়ে গেছে এক অপরূপ জীবন পথের ইঙ্গিত! মৃদু স্বরে গুনগুন করে...
…………..বাদল ধারার ফোঁটায় ফোঁটায়…কী ছোঁয়া লাগে গো গা’য়।
অতুল বনে উতলা মনে….কাঁদে কে গোধূলি বেলায়…
প্রণয় বিধুরা সিমন্তিনী….কোন সে পানে ধায়….