পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড়ানোর এক ব্যর্থ স্বপ্ন চোখে
রাতের পর রাত রক্তচক্ষু হয়ে পেরিয়ে যায়
তবুও মনের তৃষ্ণা বিশ্বে কোন জলেই মেটে না,
অহায়ত্ব গ্রাস করে গুটিয়ে ফেলে অন্তরকে
পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড়ানোর এক ব্যর্থ স্বপ্ন চোখে
রাতের পর রাত রক্তচক্ষু হয়ে পেরিয়ে যায়
তবুও মনের তৃষ্ণা বিশ্বে কোন জলেই মেটে না,
অহায়ত্ব গ্রাস করে গুটিয়ে ফেলে অন্তরকে
একটি পথশিশু
হয়তোবা আমি বুঝেছি অন্যভাবে
কতটা রাত কেটে যায় নির্ঘুম অনাহারে
কতটা সবুজ বিকেল বিলীন হয় কালো ধোঁয়ায়
কতটা আকুল আবেদন মনের গহীনে অসহায়ে বন্দী হয়ে রয় ।
কে বলে এই করোনার যুগে অকবি লেখালেখি ভুলে গেছে?
গতকাল পৃথিবীর পিঠে অজস্র ধারায় যে জল আকাশ থেকে
ঝরে ঝরে পড়েছে; শরীরে তার লুকিয়েছিল ভীষণ উত্তাপ
নিপুণ রাঁধুনীর রন্ধনকৌশলে মিশে থাকা সৃজনশীলতা যত
ধরুন আপনি আপৃন গতিতে রিক্সায় ছুটে চলেছেন
চারিদিকে এতোটুৃকে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চড়থাপ্পড় মেরে
আপনার সব কিছু কেড়ে নিলো
আপনি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন
আপনার এ অসহায়ত্ব কাকে বলবেন?
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ,
যার কাঁধে ঝুলিয়ে রাখে হাজারে ও দায়িত্ব ।
যে কিনা দাপিয়ে বেড়াত দিগ -দিগন্তে ,
যার নামে নালিশের কমতি নেই ,
আজ সেই অন্যকে শাসন করতেছে ,
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি কারো পিতা ।
হঠাৎ পৃথিবী ঘুমায়।
সুনসান নিরবতা রাজপথে।
নির্জন বসে কাঁদে,
রেস্তোরা আর কফি হাউসের কফির পেয়ালা।
যে জন ভবে অসহায় ভাবে -
ভয়ে ভয়ে চলে আজীবন,
সে জন তবে অভাগায় রবে-
কাপুরুষ চিত্তের আবরন।
অপূর্ব সৌন্দর্যে বেষ্টিত দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত একটি প্রাচীন গ্রাম । চারিদিকে সবুজ গাছের সমারহ আর বারোমাস গাছগুলিতে নানা ধরনের পাখিদের কলরব । একটু দূরে তাকালে চোখে পড়ে ঢেউ খেলানো উঁচুনিচু পাহাড়ের সারি ।
ছোট্ট করোনা ভাইরাস বিশ্বে দিল হানা,
অসহায়! কেউ ডাকে বাবা, কেউ ডাকে নানা!
পূর্ব- পশ্চিম সবখানে সমভাবে তার বিস্তার,
ধনী - গরিব, সাদা - কালো নেই কারও নিস্তার।
কারফিউ, হোম কোয়ারান্টাইন চলছে সমান তালে ,
'আব্বা!'
সুরুজ মাষ্টার পত্রিকার দিকে দৃষ্টিপাত রেখেই বললেন, 'বল।'
'ও আব্বা!'
'আমি শুনতাছি।'
'শুনলেই হইবো না, এদিক চাও।'