যাবে?
কাশফুল দেখাব।
কয়েকটি ঘুড়ি কিনে দেব।
তুমি উড়াবে।
আর আমি! ও মুখপানে চেয়ে থাকবো।
যাবে?
কাশফুল দেখাব।
কয়েকটি ঘুড়ি কিনে দেব।
তুমি উড়াবে।
আর আমি! ও মুখপানে চেয়ে থাকবো।
যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এ যে শেষ সীমারেখা
এরপর যাওয়া নেই, এর থেকে ফেরা নেই
এখানে দাঁড়িয়ে থাকা, এখানেই গড়িয়ে পড়া
এখানেই অব্যর্থ লয় - বেওয়ারিশ।
দু’টি চোখের পাপড়ি ভিজে গেছে আমি নিস্পলক তোমার অবনত মুখের দিকে চেয়ে।
অবাক হয়েছি সব শুনে এতোদিন পর নগরীর নিথর বুকে আজ তোমার সাথে দেখা।
সময়ের উত্তরঙ্গ তপ্ততা ছুঁয়ে নীরব বিদগ্ধ বাঁকে মৌন পুড়ে হৃদয় ডানা।
তোমার জন্যি আমি ঘর ছাড়ছিলাম। তোমার সাথে করি যাব বহুদুর, তোমারে কবুল কইয়া দিছিলাম অন্তর। ঠিক যতখানি আকড়াইয়া ধরছিলা তুমি আমার শরীরডারে তারচাইতেও অনেক বেশী অনুভব করছিলাম তোমারে, আমার কলিজার ভিতর।
ভালো লাগে না কোন কিছু তার
ভালো লাগার কী আছে?
পুরো পৃথিবী স্বার্থপর যেন
অসহায়ের কাছে।
দিনরাত কাজের মেলায় নাই অবসর,
বেতন ভাতা ক্যারিয়ার এই শুধু দোসর।
বিশ্ব চলে সুইচ টিপে বড় এক চমক,
প্রাচীন যত রোগ খায় ডাক্তারের ধমক।
ধীমান দূরদর্শী মানব সৃষ্টির
শ্রেষ্ঠত্বের বড়ই অহংকার,
ইহকাল পরকাল ব্যাপিয়া
এ মনুষের বোধের বিস্তার।
দুই দুইটা সরকারী হাসপাতালে গিয়েও কোন লাভ হলো না। এত করে রতনের বাবা বোঝাতে চাইলো যে এটা তার ছেলের পুরনো রোগ। করোনার উপসর্গ হলেও করোনা না। কষ্ট হলেও রতন নিজে কথা বলে বোঝাতে চেয়েছে তার এটা অন্য রোগ। এমনকি পূর্বের চিকিৎসার কাগজ পত্র দেখানোর চেষ্টা করেছে।
প্রাচীনকালে এক যোগী ছিলেন । তিনি এক গভীর বনে আশ্রম বানিয়ে ঈশ্বরের আরাধনা করতেন। সেই যোগী যখন ভগবানের মহিমা কীর্তন করতেন সে সময় একটি ইঁদুর চুপটি করে বসে অত্যন্ত ভক্তিসহকারে সেই কথা শুনত। সেই যোগী ইঁদুরটির উপর অত্যন্ত প্রসন্ন ছিলেন ও নিজের আনা ফলমূল, ছোলা ইত্যাদি ইঁদুরটিকে দিতেন।
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি আজ কারো পিতা ,
যার কাঁধে ঝুলিয়ে রাখে হাজারে ও দায়িত্ব ।
যে কিনা দাপিয়ে বেড়াত দিগ -দিগন্তে ,
যার নামে নালিশের কমতি নেই ,
আজ সেই অন্যকে শাসন করতেছে ,
সেই দিনের ছোট্ট শিশুটি কারো পিতা ।