আমরা যখন পেটটা ভরে
খাচ্ছি মুঠো ভাত
ঠিক তখনি হাজার শিশু
উপোস কাটায় রাত।
আমরা যখন পেটটা ভরে
খাচ্ছি মুঠো ভাত
ঠিক তখনি হাজার শিশু
উপোস কাটায় রাত।
দু’টি চোখের পাপড়ি ভিজে গেছে আমি নিস্পলক তোমার অবনত মুখের দিকে চেয়ে।
অবাক হয়েছি সব শুনে এতোদিন পর নগরীর নিথর বুকে আজ তোমার সাথে দেখা।
সময়ের উত্তরঙ্গ তপ্ততা ছুঁয়ে নীরব বিদগ্ধ বাঁকে মৌন পুড়ে হৃদয় ডানা।
দিনরাত কাজের মেলায় নাই অবসর,
বেতন ভাতা ক্যারিয়ার এই শুধু দোসর।
বিশ্ব চলে সুইচ টিপে বড় এক চমক,
প্রাচীন যত রোগ খায় ডাক্তারের ধমক।
সামনে উচু নিচু আর মধ্যবিত্ত-
নামের তিনটি শ্রেনি বিদ্যামান।
তাতে, উচু শ্রেনি নিশ্চিত নিরাপদে,
সব কিছু তাদের নাগালে।
দুই দুইটা সরকারী হাসপাতালে গিয়েও কোন লাভ হলো না। এত করে রতনের বাবা বোঝাতে চাইলো যে এটা তার ছেলের পুরনো রোগ। করোনার উপসর্গ হলেও করোনা না। কষ্ট হলেও রতন নিজে কথা বলে বোঝাতে চেয়েছে তার এটা অন্য রোগ। এমনকি পূর্বের চিকিৎসার কাগজ পত্র দেখানোর চেষ্টা করেছে।
একদিন স্কুল থেকে বাবার সাথে রিক্সায় আসার সময় বায়না ধরেছে বার্গার আর আইসক্রিম খাবে । রিক্সা থামিয়ে বাবা মেয়ের জন্য বার্গার নিয়ে আসলো । মেয়ের ঠাণ্ডা লাগবে ভেবে আইসক্রিম আনেনি । আলিয়া আইসক্রিম না পেয়ে রাগ করে বার্গার রাস্তায় ছুঁড়ে ফেললো । কোথা থেকে দুজন তার সমবয়সী বাচ্চা ছেলে এসে রাস্তায় ফেলা বার্গারটি কুঁড়িয়ে নিয়ে দুজনে ভাগ করে খেতে শুরু করল।
কলঙ্কিত কংঙ্গাল লাশের গন্ধ পৃথিবী ,
তার ভার বহন করতে অনিচ্ছা প্রকাশ,
সবাই বুজেনা , কেউ কেউ বুজে।
পৃথিবীর মানুষ গুলো আজ বড় অসহায় ।
আমাদের মাষ্টার মশাই নাম তার তাহের আলম
জাতি গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে হাতে তুলে নিল বই-খাতা-কলম
আজীবন সে শিক্ষার্থী শিক্ষাও দিতে চায় সবাইকে
বেছে নিলো মহৎ পেশা ছুটি দিলো আর সব চাকুরীকে
শিক্ষকতার চেয়ে মহৎ আর কিছু নেই এই দুনিয়াতে
পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় দাঁড়ানোর এক ব্যর্থ স্বপ্ন চোখে
রাতের পর রাত রক্তচক্ষু হয়ে পেরিয়ে যায়
তবুও মনের তৃষ্ণা বিশ্বে কোন জলেই মেটে না,
অহায়ত্ব গ্রাস করে গুটিয়ে ফেলে অন্তরকে