দিনের সকল ক্লান্তি ভুলে
আমি একটু শান্তি খুঁজি –
অন্ধকারে ।
সকল ব্যথা মনের কালি
ঝরে পড়ে অশ্রু হয়ে ।

নির্ঘুম জেগে থাকা রাত্রিতে অথবা
আগুন লাগা সন্ধায় চুরি করে নেবো
ওই লাল টিপ পুরোটা।
এশিয়া থেকে নিকশিয়া সাজাবো
হেলেনের সুরে অনিন্দ্য স্পর্শে,
তোমার কল্পনায় আর তোমার অস্তিত্তে।

ইচ্ছে ছিল তোমাকে আকাশ দেবো জ্যোৎস্না রাতে নক্ষত্র সমেত
জেগে যাবে সারা শহর, লোক-লোকারন্যে হয়ে যাবে সমাবেশ।
গত বছরের জমানো সঞ্চয়ে কিনে দেবো বঙ্গোপসাগর
স্বপ্ন সাধে, সৃষ্টি সুখে সাজিয়ে তুলবো ভালোবাসার ঘর।

দিগন্ত থেকে দিগন্তে অবিনশ্বর,
সত্য প্রেম ধ্রুবশিখার,
এক টুকরো স্বপ্ন হাতে শহর থেকে শহর,
খুজে বেড়ানো অশেষ লাঞ্চনায়।

বসন্তের পুষ্পঘ্রাণে মৃদুমন্দ সমীরণে শিহরিত মন
চাঁদনী রাতের জাগরণে প্রণয় মুখর আলাপনে পুলকিত ক্ষণ
জাগরুক তারার পানে অপলক নেত্র গুণে অনিল উড়ায় কেশ
অপরূপ নিবিড়নে বিমুগ্ধ আহরণে চিত্ত হারায় বেশ।

আকাশ ফুঁড়ে নিত্য নামছে কর্কশ রোদ
কখনো-বা ক্লান্তিহীন স্বচ্ছ বৃষ্টি!
আমি উৎসুক হয়ে দেখি রেললাইনের পাশে সেই খুপরিটা,

আমরা যতই যতন করে,
বানায় প্রাসাদ বাড়ি।
বিলাষ বহুল জীবন গড়ি
চড়ি দামের গাড়ি।

আজও নীল শরীরে স্বপ্নরা খেলে বেড়ায়....
অবহেলার নষ্ট চাঁদ ঠিকরে পড়ে
দুঃসহ খালি থালার কিনারে।
শত বেদনার খেলাঘরে বাসনার
ফুটো ছাদে শ্রাবণের মেঘেরা
ডাক দিয়ে যায়....

বহুদিন ধরে বহুপথ চলে ক্লান্ত
দেহ, নিথর মাংসপেশি আজ শান্ত
কেহ, দেখিবার নাই যে অনন্ত
স্নেহ, মমতায় বাঁধা ছিলাম তাই জলন্ত
প্রদাহ, গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে।

কাছে থাকতে বুঝিনি আমি ভালোবাসা কারে কয়
দূরে চলে যাবার পরেই জেগেছে যত ভয়
আবুঝ যত মনের ভাষা আমাকে ব্যাথা দেয়
সে ছিলো ভালোবাসা, ছিলো না কোনো অভিনয়!

জয়না‌লের কিছু স্বপ্ন ছি‌লো,‌কিছু স্বপ্ন ছি‌লো
সব ই তার আজীবন সাদাকা‌লো ই র‌য়ে গে‌লো
‌সে তো আর কখ‌নো কখ‌নোই পূরণ না ই হ‌লো
সবকিছু তার অধরা,না পাওয়াই থে‌কে গে‌লো।

প্রিয় অধরা, নৈঃশব্দের বাক্যে পড়ে থাকা কিছু অঙ্কিত ছায়াচিত্রে কুঁড়িয়ে পাওয়া
অরুণোপলক অশ্রু থেকে জানতে পেরেছি;
কোনো এক বসন্তের দ্বিপ্রহরের কুয়াশা ত্যাগ করে আসার কথা ছিল তোমার
শত অভিমানকে ঝেড়ে ফেলে কথা ছিল একটি পড়ন্ত বিকেল উপহার দেওয়ার,

হে অপরাজিতা তরুণী,
কেনো পূর্বে আসনি?
আসলে হতনা এমন!
নষ্ট হতনা আমার জীবন।

আমি জানি, এত ভোরের কুয়াশা ঠেলে কেন তুমি ব্যস্ত শহরের রাস্তায় দাড়িয়ে থাক।
আমি জানি, তোমার শরীরের উষ্ণতা কেন চকলেটের মত জমা করে রাখ।
আমি জানি, কত স্বপ্নময় রাতে তোমার চোখের পাতা শান্ত হয় আমার আঙ্গুলের স্পর্শে।

গন্তব্য - নদীর মোহনা -
হাঁটছি জটাজুট বৃদ্ধের মতো,
চোখে আয়ুর কঙ্কাল খতিয়ান
কাঁধে নবরূপায়ণের বোঝা নিয়ে হেঁটে চলেছি -