বন্দুকের নলায় গাঁথা চকচকে বেয়োনেট যেন।
একটা বিষাক্ত স্মৃতি তখন হানা দেয় অন্তরের ক্যানভাসে,
নীল-বেগুনী মঞ্জরী উঠা কচুরীপানার উর্বর ভুমিকে
হামাগুড়ি দিয়ে তছনছ করে, কর্দমাক্ত করে ক্লেদাক্ত শরীর

শূন্য এক ঘরের মাঝে দুইটি ঝান্সা চোখ
তাকিয়ে আছে , খুঁজছে ফিরে করুন মৃত্যুলোক।
ধুকছে শুধু রুকছে যে সে ধরার বিষাদ ছায়া
ভ্রান্তি গুলো দিয়েছে ধুলো ভুলিয়ে দিয়েছে মায়া!

অজানায় পাড়ি দেয়
হাজারো ব্যথাতুর স্বপ্নেরা ।
রঙিন আশা বুকে,
বাঁচার নেশায় ছুটে চলে
ধ্রুব তারার পিছে।

ঘুমিয়ে নয় জেগে থেকে
স্বপ্ন দেখি রোজ,
আমায় তুমি রাখবে মনে
হয়তো নিবে খোঁজ।

তোমার কৃপায় যদি খুলে যায়,
আমার হৃদয়ের রুদ্রদোয়ার।
যদি আমার স্বপ্ন গুলি সাদা মেঘের মতো ভেসে যায় দূর আকাশে।
রংধনুর সাত রং এ যদি সাজে মন,

পড়ন্ত বিকেলে
শুনশান ঘাটের গা ঘেঁসে হেলে
ঢ্যাঙা,লম্বা ,রুক্ষ শুক্ষ বাবলা গাছটা –
কোমরে তার আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা মোটা কাছিটা ,
অস্তিচর্মসার ডিঙি নৌকোটাকে
উদয়অস্ত থাকে পাহারায় ।

তুমি বিশন্য ক্ষড়ার বুকে ঋণদাতা
জমাট বাঁধা একটু ক্ষড় ছাঁয়া
তুমি শিশির ক্রুজে ভেঁঝা শীতঋতু
সকাল সাঁজাও একটু মমতায়
তুমি সাঁজঘরে চাঁদের পলকবাহক
সময়কে করো তুমি রংঙিন

অলৌকিক শক্তি নিজ সত্তার ক্রিয়াপদ বিশিষ্ট।
সব মরা তারা যদি মনস্কামনা পূর্ণ করে!
তবে প্রেমিকের বুকে এতো কেন
অব্যাপ্ত মায়ারুপি কালো দাগ।

দুষ্ট অন্ধকারে দিশা জোনাকি পথ
শুঁয়োপোকার ভবিতব্যে লেখা প্রজাপতি ডানা
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের অবসানে কোকিল সুর
ও রুক্ষ জ্যৈষ্ঠের শেষে সিক্ত আষাঢ় কথা
সব তো তোমারই দান হে প্রভু...।

আমার মাতৃভাষা;
এক গৌরবোজ্জ্বল চেতনার ইতিহাস।
আমার বাকযন্ত্রের কম্পন,
আমার কন্ঠের ব্যগ্রতা,
বীরত্বশৈল মুষ্ঠির শক্তি।
স্নায়ূতন্ত্রের উদ্দীপক,
শিরাপথে রক্তের প্রবাহ।

তীব্রো ব্যাথা ভারাকান্ত হৃদয়ে যখনি অভিমানের পাল তুলে হারিয়ে যাবো আত্নহত্যার মিছিলে,
তখনি ঐশ্বরিকতা সুর তুলেছে অনুভবের ছায়াতলে।

সময়ের চীরে অসময়ের জলছাপ
নিগ্রো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে স্যাঁৎসেতে অবসাদ
যেনো নক্ষত্র-নিয়নবাতি- জোনাক আলো
হরিয়ে ফেলেছে নিজস্ব কৌলীন্য!

তোমার তরে লুটিয়া প্রভু
জোড় করি করতল,
অনুশোচনায় ক্লিষ্ট হয়ে
ফেলেছি চোখের জল।

অলৌকিকতা আর ঐশ্বরিক বিশ্বাসের এ দ্বন্দ্ব চিরকাল,
ধর্ম কিম্বা প্রেম , গল্প কিম্বা কবিতা
সব ক্ষেত্রেই একই প্রশ্নের জটিলতা ।
ইশ্বর কি ? ধর্ম কি ? প্রেম কারে কয় ?
কবিতা কি ?গল্প কি ?
সবই ঐন্দ্রজালিক সবই মায়াময়।

আবারো পালাতে চেয়েছিলো ও !
ভিড়ের মাঝে নাকি ভয়ঙ্কর শূন্যতা গ্রাস করে ওকে
কোলাহলে কান ফেটে যেতে চায়।
জোর করে ওকে কথা বলাতে বলাতে আমি ক্লান্ত l