দৈনন্দিন সংঘর্ষে উত্তোরণের প্রয়াস,
উৎকর্ষের আতিশয্যে ঐশ্বরিক আভাস|

বোধ, চেতনার ঊর্ধে যদি আধ্যাত্মিক বিশ্বাস,
তবে, গতানুগতিক জীবনে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস|

ঘুমিয়ে নয় জেগে থেকে
স্বপ্ন দেখি রোজ,
আমায় তুমি রাখবে মনে
হয়তো নিবে খোঁজ।

পরাধীনতার জীবনে কিছুই দেখিনা আলো !
সাগর সম জল দিয়ে গুনি বৃষ্টির মত লাশ ,
যাদের বুকে রয়েছে জালিম এর বুলেট,
পথভ্রষ্ট হওয়ার পরেও পথ চেয়ে থাকি

দুষ্ট অন্ধকারে দিশা জোনাকি পথ
শুঁয়োপোকার ভবিতব্যে লেখা প্রজাপতি ডানা
কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের অবসানে কোকিল সুর
ও রুক্ষ জ্যৈষ্ঠের শেষে সিক্ত আষাঢ় কথা
সব তো তোমারই দান হে প্রভু...।

তুমি ছিলেনা বলে..
ঐ অমানীশা গুলো আরও কালো রুপে সেজেছিল
একটা নিষ্পাপ ফুলের উপর
পরেছিল রক্তাক্ত থাবা।

আঁধফোটা দুটি গোলাপ স্বপ্ন
চলছে আনমনে গোধুলী লগ্নে।
সন্ধ্যার পাদদেশ ছুঁয়ে কখন যেন
বেরিয়ে এল আলোক রেখা ।

এ জগৎ সংসারে ভালো মানুষের
খুব অভাব,
স্বার্থের প্রয়োজনে কাছে আসে
এই হলো মানুষের স্বভাব।

তোমার মলিন বদন হৃদয় কোনে
চিনচিনিয়ে ব্যাথা টানে, ওগো বিরহিণী।
বুকে ব্যাথার পাহার চেপে
মুখে চাঁদের হাসি হেসে
তুমি লুকিয়ে কাঁদ সংগোপনে,
কেন? ওগো বিরহিণী।

বন্দুকের নলায় গাঁথা চকচকে বেয়োনেট যেন।
একটা বিষাক্ত স্মৃতি তখন হানা দেয় অন্তরের ক্যানভাসে,
নীল-বেগুনী মঞ্জরী উঠা কচুরীপানার উর্বর ভুমিকে
হামাগুড়ি দিয়ে তছনছ করে, কর্দমাক্ত করে ক্লেদাক্ত শরীর

একুশ মানে তুমি আমি
একুশ মানে ভাষা
একুশ মানে তোমার আমার
অন্তমিলের ভাষা।

এই মেয়ে এলোকেশে দাড়িয়ে কেন?
বিষন্নতার পৃথিবী তোমাকে জোড়িয়ে রেখেছে যেন।
মায়ার ছাপ মুখে নিয়ে অপেক্ষা কিসের শুনি?
মায়ামাখা মুখটা উচ্চারিত করতে চাচ্ছে কি কষ্টের ধ্বনি?

আমার সব কিছুই অন্যরকম।
এ বেলা ও বেলা--
সব অসময়ে সুসময়;
সময়ে কখনোই সুসময় আসেনি।
এই যেমন--

একদিন এই পৃথিবীর আলো আমার চোখে পরবে না,
ভোরবেলা মুয়াজ্জিনের কন্ঠটাও হয়তো কানে যাবে না,
পাখির কিচিরমিচির ধ্বনিও হয়তো শুনতে পাবো না,
কুয়াশা ঘেরা ভোরে;

এক পড়ন্ত বেলায় ছাদে ছিলাম
আর পেছনে ছিল দিগন্তব্যাপী সবুজের শেড
আমার মাথা ছাড়িয়েছিল সেই সবুজ রেখা
এভাবেই বসেছিলাম আমি নির্ভার
নিশ্চুপ চারিধার!
নিথর ক্লান্ত প্রহর
আকাশের পানে চেয়ে ছিল সেদিন...দীর্ঘসময়।

এ কেমন প্রেম বলো না তুমি
এ কেমন ভালোবাসা,
এ কেমন পরী মনের ও ভূমি
এ দুঃখ কষ্টে ঠাসা।।