আমার কাছে দারুচিনি মনে হয়, কিন্তু সকাল বেলায় দাঁড়াই যখন জানালায় পূবালী আলোয় চিকচিকে কিরণ পাওয়া সেই ইউকেলিপ্টাস্ পত্রফলক আমার চোখের সম্মুখে হয়ে পড়ে বন্দুকের নলায় গাঁথা চকচকে বেয়োনেট যেন। একটা বিষাক্ত স্মৃতি তখন হানা দেয় অন্তরের ক্যানভাসে, নীল-বেগুনী মঞ্জরী উঠা কচুরীপানার উর্বর ভুমিকে হামাগুড়ি দিয়ে তছনছ করে, কর্দমাক্ত করে ক্লেদাক্ত শরীর ছুঠে যাওয়া শত্রুর বাংকারের খোঁজে, বুকের খাঁচায় মন্ত্র শুধু একটাই সেই ঐশ্বরিক বজ্রকন্ঠের উচ্চারণ- ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বাংলার সবুজ কার্পেট মাঠে ফেলে দিয়ে রঙিন হিমোগ্লোবিন কণা বুক থেকে ছিনিয়ে নিতে ঐ পতাকার লাল সবুজ হায় বিধাতা- সেই ইউকেলিপ্টাস্ গাছ যদি গাছ হতো অঝরে ঢেলে দিতে একেকটা বেয়োনেট আমার মুক্তিপাগল দামালদের হাতে, কচুরিপানার মঞ্জরীগুলো যদি রূপান্তরিত হতো হাতের মুঠোয় পাওয়া একেকটা গ্রেনেড এ আর এক ফোঁটা রক্তও ঝরতে দিতাম না বাংলার বুক থেকে, আর একজন মা-বোনকেও হারাতে না দিয়ে সম্ভ্রম বাঁচিয়ে দিতাম নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় আপন কুঠিরে। দুর্ভাগা দেশ… ন’মাস কাতরাতে কাতরাতে গর্ভবতী মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে আসার মতো জন্মনিলে একাত্তুরে- তিরিশ লক্ষ প্রাণের গোঙানি দিয়ে। তারপর আজ নতুন করে চিনলাম তোমায় ইউকেলিপ্টাস আর নীল-বেগুনী ফুল-মঞ্জরীর কচুরিপানায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
zaed hossain
সেই ইউকেলিপ্টাস্ গাছ যদি গাছ হতো
অঝরে ঢেলে দিতে একেকটা বেয়োনেট
আমার মুক্তিপাগল দামালদের হাতে,
কচুরিপানার মঞ্জরীগুলো যদি রূপান্তরিত হতো
হাতের মুঠোয় পাওয়া একেকটা গ্রেনেড ( valo kolpona)
zaed hossain
সেই ইউকেলিপ্টাস্ গাছ যদি গাছ হতো
অঝরে ঢেলে দিতে একেকটা বেয়োনেট
আমার মুক্তিপাগল দামালদের হাতে,
কচুরিপানার মঞ্জরীগুলো যদি রূপান্তরিত হতো
হাতের মুঠোয় পাওয়া একেকটা গ্রেনেড ( valo kolpona)
ধুতরাফুল .
সেই ঐশ্বরিক বজ্রকন্ঠের উচ্চারণ-
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম.....
এই ভাষন ঐশ্বরিক ছিল না .....এটা ছিল আমাদের স্বাধীনতা রূপকার জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমানের...আপনি খেয়াল করেছেন কি একটি স্বভাবিক ভাষন আপনার কবিতাই এসে ঐশ্বরিক হয়ে গেছে......আসলেই ভালোবাসা শ্রদ্ধা এই অনুভূতি গুলোই ঐশ্বরিক............ধুতরাফুল ।
হা হা হা...। ঐ কন্ঠ যদি ঐশ্বরিক না হয় তাহলে কয়টা ওরকম কন্ঠ বাংলাদেশে আছে বলতে পারবেন ? আসলে লেখকদের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দরকার পড়ে না কারন লেখকের ধারনা আর পাঠকের ধারনা কখনও এক হয়না। তবুও সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ভাল থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।