‘এই, তুই আমার প্লেট নিয়েছিস। রাখ্‌ বললাম।’
‘রাখবো না যা, কী করবি তুই?’

তোমার সমগ্র শরীরে ছুটে চলা
নিযুত নিউট্রন গুলো আমার শরীরের
লক্ষ কোটি প্রোটনের সাথে জলকেলিতে লিপ্ত হতে চায়।

বাবার চোখে স্বপ্ন ছিল
আশা ছিল মনে ,
আমি যেন বড় হই
বলে গুরুজনে ।

মানব মনের রসায়ন বোঝা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ।এই রসে কখন প্রেম আর কখন নির্দয়তা ভর করে, বোঝা দায়।বিচিত্র এক খেলায় সারাক্ষন ডুবে থাকে মানুষ, কোন এক অনিয়ন্ত্রিত

অনেক সাবধানে চলতে হয় তোমাকে। যখন তখন হুড়মুড় করে বাড়িতে তুমি ঢুকতে পারনা। যে কেউ খবর পৌছে দিতে পারে মিলিটারী ক্যাম্পে।

প্রভাতের রোদ ঝরায় না ক্ষোভ ভুবন মাঝে,জড়াতে বুকে তোমায়
পড়ন্ত বিকেল হাওয়া হিমেল আসে অতিলাজে,বুলাতে তব গায়
রাজবিহঙ্গ দেয় সঙ্গ শুনায় কাহিনী কল্প,ভরাতে তোমার মন
ময়ূর পেখম তুলে তখন দোলায় অঙ্গ অল্প,জুড়াতে তোমার প্রাণ।

স্লিপ অব দ্যা টাং । ‘মা’ উপন্যাসের লেখকের নাম বলেছিলাম ম্যাক্সিমাম গোর্কি । বোর্ডের মেম্বাররা খোঁচাখুঁচি করতে পারতেন । না , তেমনটি হোল না । সবচেয়ে বড় কথা , কঠিন কোন প্রশ্নই আমাকে জিজ্ঞেস করা হোল না ।

মনের ভেতর শূন্যতা আমার
তোমায় পাবার জন্য আকুল

পাগলাটে চোখে ভেজা শেষরাত্রির
ভয়ানক চঞ্চূর হাসিতে
জর্জরিত বিভ্রমে দুই সূর্য ;
সব জড়ানো আবেগ ফিকে হতে থাকে অবশেষে অতঃপর..

চিত্ত আমার প্রেমময় করো
জগতের মাঝে প্রভু!
মানুষের তরে কর্ম সাধনে
ক্লান্ত না হই কভু।

প্রতি দিনের মত আজও সুই সুতা নিয়ে জয়িতা সেলাইয়ের কাজ করছে আর আমি পূবের জানালাটার পাশে চেয়ারটায় বসে আছি । খালা আজ বাড়ীতে নেই, ডাক্তার দেখাতে গেছেন। হঠাৎ জয়িতা আমার কাছে দৌড়ে এসে দুহাতে আমার গাল চেপে ধরে, মুখের কাছে মুখ এনে বলে কিরে বকুল আমাকে দেখলে তুই এত ভাল হয়ে যাস্ কেন?
তোকে খুব ভাললাগে।

চাইলেই তুমি হৃদয় কমলে
ঠাই দিতে পার,
সকল দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে
সবচেয়ে আপন কর ।

গরমে ঘাম মুছতে মুছতে রেহা রাস্তা দিয়ে হলের দিকে যাচ্ছিল, হঠাৎ রেহার চোখ যায় ফুলমনির দোকানের দিকে। ফুলমনি আজ অনেক বছর হলো দোকান চালাচ্ছে।

কী জানো- মৃত্যু আসলে হরেক রঙ এর! আমরা যখন মারা যাই, তখন ছবি হয়ে যাই।

রাত নিজ্জুম,মন পুড়ে হয় খাক
নিশ্চল ভূধরে স্বর্গীয় প্রতিমা ঝরে
নীল জোসনায় হেটে বেড়ায় মা
আলোর কোমলতা আর নারীর কোমলতা
যেন এক সূত্রেই বাধা পরে।