কোমলতা বান ডাকল!
মুক্তি পাখির মতো,
গাছপালা সতেজ মেখে
ফুল কুড়িতে
ফুল ঝারালো অবিরতো।

তোমার জন্য ক্লান্ত হয়েছি শ্রান্ত
হয়েছি আমি

মায়া মমতা আবেগ মরে যাচ্ছে ধীরে
অনুভূতি হচ্ছে দিনকে দিন ভোঁতা
অনুভবে স্নিগ্ধ কোমলতা কিছু নেই
শুধু অয়োময় সময় কাছে টানে আমায়।

নৈশব্দিক কথোপকথন
মহাশয় কর্কট

তুমি তোমার জানালায়
আর

যে দিন তোমায় দেখেছি প্রথম,
দৃষ্টি মোর ছিলো গরম।
ছিলে তাকিয়ে নিচে তুমি,
লজ্জাশীলা দৃষ্টি ধ্যানি।

ঝর্না ধারায় হালকা বৃষ্টি
ময়ূর ডাকে কেকা,
মনের সুখে বর্ষার রানী
নাচে একা একা।

মেঘের জাহাজে ভেসে তুমি পশ্চিমের দেশে চলে গেলে -
কেটে গেলো দুইপ্রহরি ফুলের ভাতঘুম।
বিকেলের মুখে রোদ্দুর আকাশে জেগে উঠলো 'নীল রঙ্গের চর'
তোমার খা খা করা শূন্যতা আমায় পুড়াতে লাগলো চৈত্রের খরতাপে...

চলো পরী বেয়ে তরী আজ সিন্ধু পথে যায় ভেসে,
হাওয়ায় জাহাজে শূন্যে উড়াল দিই দুর দেশে।

এখান থেকে যে ডলার উপার্জন করেন তার পুরোটাই প্রতিমাসে একটি ক্যান্সার হাসপাতালে গরীব মানুষদের চিকিৎসার জন্য দান করে দেন , শুধু তাই নয় , প্রত্যেক সপ্তাহে এখানকার কাজের ছুটির দিনে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে ।

তোমার কোমল হাতে আমাকে ধরে রাখতে পারবে তো! অনেক আগে অনিরুদ্ধ বলেছিল অনিমাকে। অনিমা বলেছিল কোমল হাত দিয়ে নয় তোমাকে বাঁধবো আমার কোমল হৃদয় দিয়ে।

ঐ কি হইছেরে, অমন কইরা চিৎকার দিলি ক্যান
- দেখ দেখ একই ব্যাডা ঘুমের ভান কইরা আছে, আবার পিট পিট কইরা আমার দিকে তাকায়
- ঐ ব্যাডা, তর লগে মুখ নাই। ট্যাহা না দিলে মুখ দিয়া না কইরা দিবি, অমন বেকনা করছ কেন, অন্য একটি হিজরা মেয়ে বলে
- ট্যাকা না থাকলে আমার কাছ থিইকা নিয়া যা, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি মেয়ে বলে

বেলা বাড়ছিলো ভাটার টানে সমুদ্র দূরে সরে যাচ্ছিলো । তিরের ভেতরে যে রংবেরঙের কোরালগুলো একটা মোহময় স্বর্গীয় পরিবেশের রচনা করেছিলো এই মুহুর্তে তারা যেন নিরাবরন, নিরাভরন হয়ে পরে । একটু আগেই যে ঢেউগুলো সেই রঙ্গিন কোরালের টুকরোগুলো আচল ভরে এনে বারংবার ক্লান্ত সৈকতকে উপহার দিচ্ছিলো, অন্তরা সেইগুলোই একমনে সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ।

হৃদয়ের ছোটঘরে ভালবাসা যত,
পাপড়ির কোমলতা মিশে আছে তত।
ফেলে আসা দিনগুলো স্বপ্নীল সাজে,
মধুমাখা স্মৃতিপট ভরে দেয় লাজে।

জনির খেতে যেতে ইচ্ছে করছেনা । এক লজ্জাবোধ তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। মাটির সাথে মিশে যেতে মন চাইছে । বসে বসে ভাবছে কি করবে এখন ?

অর্চি ঘুমিয়ে গেলে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে - তোমার সুখের দিন গুলোতে আমি ছিলাম সবচেয়ে কাছের