হন হন করে হেটে গলিটা পার হয়ে গেলো রন। ওর চোখ দুটো ঢাকা আছে কালো রং এর আইভাইস* এ। এটি একটি ডিভাইস যা তার করোটির সাথে স্থায়ী ভাবে লাগানো আছে। মস্তিষ্কের টেম্পোরাল নামে যে হাড় রয়েছে সেটার সাথে সংযুক্ত।

“আচ্ছা দৃষ্টিহীনদের সবাই কি জন্মান্ধ নাকি কারো কারো সময়ের সাথে দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে পড়ে?”
টিভির ভলিউম কমিয়ে দিয়ে সোলাইমান সাহেব বললেনঃ “একজন অন্ধ দিসেবে উত্তরটা ত তোমারই জানার কথা। দুরকমই হতে পারে।

লেখালেখির জগৎ খুললে দেখা যায় বিভিন্ন ধরণের লেখা, আমার মনে হয় সমস্ত মানুষ যখন এক জন ভাল মানুষ, বইয়ের বা সমচলোনার মাঝে বেড়ে উঠে তখন সে ঠিক এক জন মেধাবী হয়।

টমেটোর জমিতে নিড়ানী দিচ্ছিল জিল্লু মিয়া। বাড়ির পেছনেই তার কাঠা পাঁচেক জমিতে এবার খুব ভালো টমেটো হয়েছে। হঠাৎ পাড়ার দিক থেকে একটা ছেলে দৌড়ে এসে খবর দিল জিল্লু মিয়াকে।
-“চাচা তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান- দ্যাখেনগা কি হয়েছে বাড়িতে।”

একবার এক অন্ধের বাড়ি কাটানো জীবনের শ্রেষ্ঠ রাতটার কথা আজো ভুলতে পারিনি, আর কোনদিন পারবো বলেও মনে হয় না। কোন অন্ধের বাড়ি রাত কাটিয়ে তার আহামরি কোন খাতির আপ্যায়নে প্রীত হয়ে এ কথা বলছি তা কিন্তু নয়, বরং তার পিছনে প্রীত হবার মত বিশেষ একটি কারণও ছিল।

নক্ষত্রখচিত আকাশের দিকে তাকিয়ে বদিউজ্জামান সাহেব ভাবতে লাগলেন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক অন্যায় অপরাধ করে থাকি অন্যের সাথে। কাউকে মেরে ফেলা, কারো সম্পত্তি দখল করা ইত্যাদি বড় অপরাধ যেমন অন্যায়,

জীবন থেমে থাকে না। সময়ের স্রোতে বয়ে চলে। কখনো কখনো গ্রীষ্মের ঝড়ো বাতাসে ধূলোর ঘূর্র্ণিপাকের মত পাক খায়। অজানা-অনিন্দ্য গন্তব্যে ধেয়ে চলে এভাবে। খরস্রোতা নদীর মত ভাঙা- গড়ার খেলায় মত্ত হয়ে বাক নেয় যথা-তথা।

এখন সকাল সাতটা; কিন্তু শীত তার উপর কুয়াশা। রাজেন সারারাত গাড়ি চালিয়ে ফিরছে আর মাত্র ১০০ কিমি তা হলেই পৌঁছে যাবে মাধবীর কাছে।

কী কর? চমকে উঠে মিতি! কথাটা কানে আসতেই তাড়াতাড়ি কম্পিউটার বন্ধ করে দেয়। দরজা খুলে রাজু যে কখন এসেছে মিতি টেরই পায়নি! উফঃ আর একটু হলেই মিতি আজ ধরা খেয়ে যেত। ভাগ্যিস রাজু দেখেনি মিতি কম্পিউটারে কী করছিল।রাজু কিছুই বুঝে পায় না কেন মিতি চমকে গিয়ে কম্পিউটার বন্ধ করে দিয়েছে!

আমার বাচ্চাদুটোর ভালোবাসা সব দুঃসহ স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়। শুধু বছরের একটা দিন আমি নীলিমার নীল চোখ আর অন্ধ নীলিমাকে যেন আবার নতুন করে দেখি। জানি না কতদিন আর এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে আমাকে। হয়তো আমৃত্যু পর্যন্ত!

এদিকে রাজ পরিবারের পাপাচার ফাঁস করে সাক্ষ্য দেয়াকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা যুবরাজ কংশরাজ। সত্য সাক্ষ্য দেয়ার অপরাধে প্রত্যুষে পরদেশী যুবকের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের ঘোষণা দেয় যুবরাজ।

আজ কলিং বেল একবার টিপতেই শরিফা খালা দরজা খুলে দিল। অবাক হওয়ার ভঙ্গি করে অরুণা বলল, কী ব্যাপার খালা, আজ যে বেল টিপতেই দরজা খুলে দিলেন! আপনি কি দরজার পাশেই ছিলেন!

ছেলে হিসেবে বেশ সাদামাটা জীবন শিশিরের।সে সারাদিন পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।তার এক জমজ ভাই আছে।তার নাম রাজন।সে খুব দুরন্ত।
সে আবার পড়াশুনাটাও ভালভাবে করে।তাদের বাবা সিরাজ সাহেব একজন সরকারী কেরানী।

পাগলীরে তোর পাগলামীতে
থাকি আমি মুগ্ধ,,,
মনের সাথে করে বেড়াই
দিবানিশি যুদ্ধ ।।

সেই দিনটার কথা আদৌ মনে আছে আমার, সেদিন প্রথম সে এসেছিলো , আমার আঙ্গিনায় তার সুবাদে বাগ বাগিচায় বনে জঙ্গলে ছেয়ে গিয়েছিলো হরেক রকম ফুল, কারন তখন চলছিলো ফাগুনে নিয়ে আসা বসন্ত।