তুমি কি আমার, গুমরে মরা আর্তনাদ শুনতে পাওনা মা?
খসে পড়ে যাবে যে নক্ষত্রটি অচিরেই
যার আগমনে উচ্ছ্বাসিত হবেনা এই জনপদ
আজ তাকে বিদায় দেয়ার জন্য, কত আয়োজন!

সুখের প্রেক্ষাগৃহে টানা
দুঃখের তথ্যচিত্র চলছে বহুদিন,
দর্শক আসছে
দর্শক যাচ্ছে
দুঃখের ব্যবসা বাড়ছে চড়চড় !

সে তো বুঝেনি ভালবাসা মোর
নিলতো দিলনা, তার অন্তর।
হারাল নিরবে ছলনা করে
বুকে বইয়ে বেদনার ঝড়।

আমি যদি মরে যাই,
দক্ষিনা জানালাটা খোলা রেখে দিও তুমি
বারান্দার ইজি চেয়ারটা নাড়িয়ে দিও মাঝেমাঝে

মাটিতে মুখ গুঁজে পড়ে থেকে
যারা আকাশ আঁকে
মুখ তোলার সময় পায় না ,

কাদঁতে কাদঁতে ভুলে গেছি মানুষ ক্যামনে হাসে
অবহেলা পেতে পেতে ভুলে গেছি ভালোবাসা

আমি বললাম “একটু বোসো, কতদিন আসোনা...
ভালো যদি নাই বা বাসো খারাপ তো বাসো না”।

সে বললো “এই তো সেদিন উঠলো যখন ঝড়
টের পাওনি আঁকড়ে তোমায় বাঁচিয়ে নিলাম ঘর”।

লিখেছি কত কাব্য রচনা মারিয়া দুঃখ অনুভূতি,
আসছে না আজ মোর কোথাও থেকে কবিতার সব পান্ডুলিপি।

এই যে আমার বসে থাকা
সারাটা দিন একলা একা;
জানলা ধারে বাঁশের ঝাড়ে
শন-শন-শন শব্দ করে,

দুপুরের ঝকঝকে রৌদ্রে ,
টি.এস.সি ধরে যখন হাঁটছিলাম ,
তখন কেউ একজন চিবুকে হাত রেখে
হয়ত বলেছিলে , “সত্যি করে বলতো,

ভালোবাসা আকাশের শুভ্র মেঘ, তুলার মত ।
ভালোবেসে আপনি আকাশ হতে পারেন,
হতে পারেন শুভ্র মেঘ

দুঃখ ছাড়া এই জগতে
সুখ না আর মেলে,
খাঁটি মানুষ হয়, দুখের-
আগুনে জ্বলে জ্বলে ।

স্মৃতির ইথার সাঁতরে আমি
যেই পাথারেই যাই,
দুঃখের ড্রাগন আগুনমুখো
স্বপ্ন পুড়ে ছাই।

আসছে বর্ষায়,
জানি তুমি ভিজবে বৃষ্টির জলে।
এমন করে কত বর্ষা কাটিয়েছি দুজন

রাতের আকাশে জ্বলন্ত তারাগুলো
কখনো কালো মেঘে হারিয়ে যাচ্ছে,
কখনো আবার চাঁদের আলো এসে
মনের খোলা জানালায় খেলা করছে।