আনমনে দাঁড়িয়েছিলাম সেদিন ধূলিউড়া পথটির বাঁকে
স্তব্ধ আমি, মানুষের আনাগোনা দেখার ছলে ভাবছি ফাঁকে।
ভাবনারা সীমা ছাড়িয়ে গেছে, আমাতে যেনো ছিলাম না আমি
বেশ কিছুক্ষণ একাকিত্বের এ প্রহরে হয়তো এসে থামি।

চুপি-চুপি ঢেউগুলো দেখছিলাম
মিট-মিট করে জ্বলা কুপির আলোতে,
পাজরের হাড়গুলো -ক্ষিধের যাতনায়
মুচকি হেসেছিল নব আশাতে।

কাকদের কাকা রবে
ভেঙ্গে গেল মোর ঘুম
চেয়ে দেখি মা নেই, বাবা নেই
চারিদিক একদম নি:ঝুম ।

সুখের প্রেক্ষাগৃহে টানা
দুঃখের তথ্যচিত্র চলছে বহুদিন,
দর্শক আসছে
দর্শক যাচ্ছে
দুঃখের ব্যবসা বাড়ছে চড়চড় !

আমার এই জল শহরে এখন নোটিশ করে ঝমঝম বৃষ্টি হয়
একেবারে রুটিন মাফিক, সুবেহ সাদিকের একটু আগে থেকে;
যখন ঘুম পরীরা সব জাতের ঘুম নিয়ে একসাথে হাজির হয়,
ঠিক তখন; যখন কামরাঙার গতর বেঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়ে
আদুরী বৃষ্টির আদর; সে আদর নিতে আমার খুউব ইচ্ছে করে!!

লিখেছি কত কাব্য রচনা মারিয়া দুঃখ অনুভূতি,
আসছে না আজ মোর কোথাও থেকে কবিতার সব পান্ডুলিপি।

কাগজে আঁকা আছে খুচরো স্বপ্নরা
একাকী ভেসে যায় নৌকো- দাঁড়-পাল;
মাঝি তো একলাই, দু'হাত সব জোড়া
বেহাত হবে ঠিক, স্বপ্ন বানচাল!

কোথায় হারালে মা জননী,
রাত কেটে যায় তোমারই ভাবনায় দু'দিনের দুনিয়াতে,
এসেছি তোমারই অঙ্গের ছোঁয়াতে, ক্ষনিকের রঙ্গমঞ্চে সুখের নাগাল পাই না খুজে।

এ বৃষ্টির অঝোর ধারায়
মাটির একটি দলাও ভেজে না- ভেজে না-
কারণ- বৃষ্টি নাকি বেওয়ারিশ ।

কখনোই ফিরবে না, তবুও
অপেক্ষার পালা শেষ হয় না।
প্রতীক্ষায় ভূলে থাকি
না ফেরার কষ্টগুলো।

দুঃখআমারমনেরঅসুখসুখেরঅন্তরায়
সুখেথাকতেহলেসুখেরঅংকজানতেহয়।

সুখের সওদাগর হে আমি সুখের সওদাগর,
দুঃখের বিনিময়ে বানাই সুখের বাড়ি ঘর।

স্বচ্ছ বিকেল
কনফারেন্স টেবিল,
তিন জনের আড্ডা

হয়তো দেখেছি তারে আমি নির্ঘুম মাঝ রাতে
চুম্বনের গভীরে বসে ছিল প্রেমের আসন পাতে;
চুমোর অন্বেষনে, অশ্রুপাথার কূলে
আমি বাস্পহীন যাযাবর কি হয়েছে তাতে ?

তুমি দুঃখ দেখাতে আসলে তোমাকে দেখাবো
বারুদে পোড়া বিশাল বুক,
দেখাবো কত জল এসে জমে জমে জলরাশিগুলো