আকাশে আকাশে বাঁস বাগানের তলে
আমার আসমানির শরীর ভিজে জৌৎস্নার আলো ও আমার হাতের ইস্পর্শ দিয়ে।
চাঁদ টাকে বদলি করে নক্ষত্রে ভিড়ে তুমার সরু চোখ চেয়তাকে।

একের পরে চার শূন্য পরেও শূন্য বা এক, বল দেখি কী রাশি?
এর অর্থ ডিজিটালি তোমায় ভালবাসি আমি, সংখ্যায় সে বিরাশি
শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য একের পরে দুটো এক, বল দেখি এর মানে কী
ঠোঁট ছুঁয়েছ হাত তো বুকে নামছ নিচে, অসভ্য বলব বাকি কানে কি?

এদিকে কুড়েঘর হচ্ছে দালান
ওদিকে বন্ধ হচ্ছে মনের খিলান।
বিবেককে কুকুর কামড়িয়েছে গতদশক থেকে
মশা তবে পোকা হল সেই থেকে
কামান, গোলা-বারুদ, স্ট্যানগান অার বোমারা হাকে।

ভালো এখন বাসায় নাকো
থাকে অন্তরজালে
সেলফির ঐ যাতাকলে
ফেসবুকেরই কালে।

ছেলেঃ তোমায় আমি অনেক ভালোবাসি
মেয়েঃ সব ছেলেরাই অমন কথা বলে
নতুন কিছু বল।
ছেলেঃ মিথ্যেতো নয়
প্রমান দিতে পারি,
মেয়েঃ দাওতো প্রমান
ফেল্টূ হলে মারবো মাথায় বাড়ি।

ক্লান্ত ফুলে শিশির তখন দু’এক ফোঁটা।
রাই কিশোরী এই বেলাতেও আদরে আঁকা।
একটু পরেই

ভালবাসা যুগে যুগে নিজস্ব রূপে
পাড়ি দিয়েছে হৃদয়ের তেপান্তর
চলুন দেখে আসি আজ
কেমন ছিল ভালবাসার সেই যুগীয় রুপান্তর?

এই বিবর্ণ শহরে
জীবন যেন অভিশপ্ত রূপকথা..
দিনের শুরুতে দূষিত কবিতা,
রাত হলেই নির্ঘুম গল্প,

হারিয়ে যাচ্ছে আবেগ সব ধীরে ধীরে
আবেগগুলো ডুবল প্রযুক্তির ভিড়ে
লিখি নাকো আবেগের কাব্য কিংবা ছড়া
লেখার বাগান পুড়ে অকালেতে খরা।

গৃহকোণে সারাক্ষণ
চলছে টেলিভিশন,
চলছে মগজধোলাই;
সিস্টেমেটিক সম্মোহন!

হঠাৎ একটা মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব হলো,
বারে বারে তার সাথে শুধু কথা বলতে বেশি ভালো লাগতো।
স্কাইপে যখন কথা বলি রাত্রে মেয়েটার সঙ্গে,
আপুর হাতে ধরা পড়লাম বলে কি কথা ঐ মেয়েটার সাথে।

চিঠি লেখার যুগ গিয়েছে বছর দশেক হল
টেক্সট ম্যাসেজে ভালোবাসা চলে মুঠোফোনে।
ইমেইল শেষে কত্ত কি যে নতুন অ্যাপস এল
ফেইসবুকে চ্যাটিং চলে তারুণ্যের প্রানে।

নিজেকে আড়ালে ঢেকে তোমার সাম্রাজ্যের পত্তনে
যদি অবজ্ঞার অমোচনীয় কালিতে লিখে দাও
“প্রবেশ নিষেধ”
আমি জানব ওটা আদতে তোমার আমন্ত্রণ,
আমাকে ডাকছো তুমি নিষেধের উস্কানিতে,

সারাক্ষণ তৃষ্ণার্ত দৃষ্টি নিয়ে চোখ গুলো তাকিয়ে থাকে ঐ দিকে
মুঠো ফোনের পর্দায় ভেসে থাকা অর্কিড পুস্প-পুটযেন তোমার অধর যুগল।
বাঁকা চাহনিতে চেয়ে থাকা-

আমি তোমার ঠিকানা খুজে পেয়েছি
খুজেছি অনেক ঘুরেছি সারা শহর
অলি গলি রাজপথ কিছুই রাখিনি বাকী
ভার্সিটির ক্যাম্পাস একুশের বই মেলা