এখনও সে হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা,
আধাঁর প্রদীপের টিমটিমে আলোর পাশে খুজে ফিরি,
যে স্বপ্ন বুনন জালে তুমি জড়িয়েছ,ওগো সরবোরী।
তোমার সে না দেখা আবেগ আজো ভাবায়,

হে খোদা তোমার জমিনে জমির জন্য চলছে কত যুদ্ধ
দখলের লড়াইয়ে নিজেদের করেছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
এক ইঞ্চি জমির জন্য ছড়িয়ে দেয় কত রক্তের গন্ধ
নিজের টা হলেই হল আমাদের সব করে দিয়ে বন্ধ।।

এদিকে কুড়েঘর হচ্ছে দালান
ওদিকে বন্ধ হচ্ছে মনের খিলান।
বিবেককে কুকুর কামড়িয়েছে গতদশক থেকে
মশা তবে পোকা হল সেই থেকে
কামান, গোলা-বারুদ, স্ট্যানগান অার বোমারা হাকে।

ভালো এখন বাসায় নাকো
থাকে অন্তরজালে
সেলফির ঐ যাতাকলে
ফেসবুকেরই কালে।

নিজেকে আড়ালে ঢেকে তোমার সাম্রাজ্যের পত্তনে
যদি অবজ্ঞার অমোচনীয় কালিতে লিখে দাও
“প্রবেশ নিষেধ”
আমি জানব ওটা আদতে তোমার আমন্ত্রণ,
আমাকে ডাকছো তুমি নিষেধের উস্কানিতে,

ভালবাসা নাহি আসে চাকচিক্য দেখে,
অনুভবের দোলনায় এসে যায় মনের রং টি মেখে ।
ভালবেসেছিলাম , তুমি সপ্ন দেখিয়ে ছিলে
তবে কেন আজ ছেড়ে চলে গেলে।

তখন সময়েরা থমকে যেত,কথামালার বাহুডোরে
নদীর স্রোত উঁকি দিত ক্ষণিক হেসে
নিঃস্বার্থ স্বপ্নরা বিলীন হত
ভালবাসার কাব্যিক ইথারে।

গল্পটার কাহিনী যাই হোক না | গল্পটার সারাংশ যাই থাক না | গল্পকারের ফাঁদ মস্তিষ্কের তারিফ না করে পারছি না | গল্পের প্রধান চরিত্র ছিল নর্তকী |

ক্লান্ত ফুলে শিশির তখন দু’এক ফোঁটা।
রাই কিশোরী এই বেলাতেও আদরে আঁকা।
একটু পরেই

প্রেমের মনা আমার মনে
সাজো তুমি কোন ধ্যানে
খোঁজো তুমি কিসের মানে
জানাও তুমি আমার মনে।

ভালবাসা যুগে যুগে নিজস্ব রূপে
পাড়ি দিয়েছে হৃদয়ের তেপান্তর
চলুন দেখে আসি আজ
কেমন ছিল ভালবাসার সেই যুগীয় রুপান্তর?

কেন এত ভালোবাস কেন এত অধীর থাকো উদাসিনী
কেন জোনাকীর সাথে রাত জাগো ষষ্ঠদশী বালিকা ?
শরতের আকাশের মতো হাসো কাঁদো ইচ্ছে মতো বাজাও বাঁশি
রাতের আঁধারে, নেট পাড়ায় ষাটউর্ধ্ব বালকে চুপিচুপি ডেকে ডেকে
মুখের ফেনা আঁচল তলে মুছবে কত ?

আকাশে আকাশে বাঁস বাগানের তলে
আমার আসমানির শরীর ভিজে জৌৎস্নার আলো ও আমার হাতের ইস্পর্শ দিয়ে।
চাঁদ টাকে বদলি করে নক্ষত্রে ভিড়ে তুমার সরু চোখ চেয়তাকে।

ভালবাসা আজ কাল
হয়ে গেছে ডিজিটাল
নতুন প্রজন্ম
হয়ে গেছে বেসামাল।

ডিজিটাল ভালোবাসা
বুকে নিয়ে শত আশা
শুরুতেই বাঁধে বাসা
শেষটা যে হতাশা!

পার্কের ঝুপটিতে
হোটেলের খোপটিতে
কাপলের লুটোপুটি
তারপর ছাটাছাটি।