রাত্রি এখন মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে পড়েছে, অনেক দূর থেকে একদঙ্গল শেয়ালের চিৎকার ভেসে আসছে থেমে-থেমে এবং তার সঙ্গে গৃহস্থবাড়ির কুকুরগুলোও কেমন বির্ভষভাবে টানাটানা ডেকে যাচ্ছে,
ঘৃণা কি? ঘৃণা কে অভিধানে খুঁজতে গেলে পাওয়া যায়: অশ্রদ্ধা; অতিশয় বিতৃষ্ণা, নোংরামির জন্য বিরাগ। কিন্তু 'ঘৃণা' অর্থ কি এর মধ্যে সীমাবদ্ধ? ঘৃণা হচ্ছে কাউকে মন থেকে অসহ্য করা বা অধিক অপছন্দ করা। এটা ব্যক্তি, দল, সত্ত্বা, বস্তু, আচরণ, বা ধ্যানধারণার বিরুদ্ধে সরাসরি নির্দেশ হতে পারে। কেউ ইচ্ছা করেই কাউকে ঘৃণা করতে পারে না। ঘৃণা মূলত কারো প্রতি বিশ্বাস বা ভালোবাসার অবনতি হলে অপর জনের ঘৃণা জন্ম হতে পারে। ঘৃণা অনেকটা ভালোবাসার বিপরীত শব্দ। সাধারণ মতে, ঘৃণা মানুষের একটি ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি ঘৃণা অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত বিশ্বাস বা ভালোবাসার মর্যাদা হানি হলে ঘৃণা প্রকাশ পায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বার্থপর লোকদের কে ঘৃণা বেশি করে থাকে। মানব জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে ঘৃণা - এ জন্য হয়ত, ঘৃণা নিয়ে হয় গল্প, রচিত হয় কবিতা। ঘৃণা নিয়ে গল্পকবিতা ডট কমের গল্প এবং কবিতার বিশাল সম্ভারে রয়েছে দুই বাংলার নবীন প্রবীণ লেখকদের নানা স্বাদের লেখা - যা, পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়।
-
গল্প
আলোর আশ্রয়আশরাফ উদ্ দীন আহমদঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬ -
গল্প
মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্নের ঘৃণ্য পরিণতিফাহিম আজমল রেমঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬অনেক আক্ষেপ আর জমাট বাধা কান্নার পর জমতে থাকে সেই পুরনো প্রিয় মানুষটির উপর চরম ঘৃণা।
-
গল্প
হলুদ ফুলপ্রান্ত স্বপ্নিলঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬মিষ্টি একটি গন্ধ সারা ঘরময় ম ম করছে......... অপরাজিতার নাসারন্ধ্রে ঘ্রাণটা পৌঁছুতেই কেমন যেন পুরো শরীরে শিহরণ খেলে গেলো।
-
গল্প
ডায়রিআলমগীর মাহমুদঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫আমাকে নিয়ে যখন গাড়িতে উঠায় কিছুদুর চোখ যেতেই দেখি আমার সেই মামা। দুরে দাঁড়িয়ে অদ্ভুত হাসি হাসছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলোনা। ইচ্ছে করছে সেই মামার মুখে থু থু দিয়ে আসি। আমি পাকিস্তানিদের বললাম “ঐ যে দুরে দাঁড়িয়ে লোকটা আমি তার সাথে একটু দেখা করতে চাই” ওরা রাজি হলো, বন্দুকের নল তাক করে আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো মামার সামনে। আমি দেরী না করে মামার মুখে থু থু ছিটিয়ে দিলাম। মামা অবাক হয়ে গেলো, আর বললো “লে যাও ওছকো”। আমি ভাবলাম অন্তত: নিজের ঘৃণাটা প্রকাশ করতে পারলাম।
-
গল্প
শেকড়ে রক্তক্ষরণএনামুল হক টগরঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫যে ভালোবাসা থেকে অসাম্যের প্রবল প্রাচীর ভেঙে যাবে। সবাই বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার পাবে। শেষরাতে আভা পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলছে। সুগন্ধি ফুলের বুকে ভ্রমরগুলো গুণগুণ করে গান গাইছে।
-
কবিতা
নীরব ঘাতকএ এইচ ইকবাল আহমেদঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫আর কত তুমি হবে চক্ষুলজ্জাহীনা
কৃতকর্মে জন্ম নিচ্ছে মূর্তিমান ঘৃণা
দিওনা অগ্নিতে ঢালা ঘৃতের দক্ষিণা -
গল্প
একটি রূপকথার গল্পমোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫রাজদুহিতা শ্যামলীর বিয়ে তো দুরের কথা, মানুষের নির্ঘুম রজনীই হয়ে গেল রাজা হায়দার আলীর দুঃশ্চিন্তার মূখ্য কারণ ! আর প্রতিবেশী রাজ্যের মহারাজাও প্রহর গুনতে থাকে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের !
-
কবিতা
আড়াই কিংবা তিরিশঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫এই কবিতাও শেষের দিকে প্রায়
শুধু শেষ হয় না বুকের দীর্ঘশ্বাস-
হে অন্য কারো প্রিয়তমা, ভুলো
আড়াই বছর কিংবা তিরিশ মাস ! -
গল্প
গ্রেনার pachaliআশরাফ উদ্ দীন আহমদঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫সেই মরা মুখ, আর ভালো লাগে না, নিজেই ক্ষেপে ওঠে, কিন্তু একজন মোছাদ্দেক কামলা কি বা করতে পারে ?
-
কবিতা
শেষ কোথায়?গোবিন্দ বীনঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫ছোট্র এই অবুঝ শিশুর জীবনে কি ছিল পাপ,
হারাতে হল তার প্রান?
মনুষ্যত্ব বলে রইল না আর কিছু এ পৃথিবীতে,
থেকে গেল সেই প্রশ্নের অবসান। -
গল্প
বাবলুShimul Shikderঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫দীঘির ওপারে আমার বাসা কিছুদূর গেলেই আমার বাসা। দীঘির পাড় দিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ এক আর্ত চিৎকারে আমরা দুজন চমকে উঠলাম। দীঘির পাশের শুকনো ডোবা থেকে চিৎকারের শব্দটা আসছে। মনে হচ্ছে মেয়ে মানুষের গলা। কুয়াশার কারণে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আমি দীঘির পাড়ে দাড়িয়ে ঘটনা বুঝার চেষ্টা করছি। কিছু বোঝার আগেই বাবলু এক লাফে ডোবার ভিতর নেমে কুয়াশা ভিতর মিলিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে আমিও আস্তে আস্তে ডোবার ভিতর নামলাম। শুকনো ডোবায় কচুরিপানা শুকিয়ে আছে। পা রাখতেই পটপট শব্দে কচুরিপানাগুলো ফুটতে লাগলো। একটু দূরে একটা মেয়ের ...........
-
গল্প
থ্রী এফমনিরুজামান Maniruzzaman লিংকনঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫শিশুটিকে নিয়ে ফেরার পথে শিক্ষক যেন তার বারুদের কিছুটা ফুলকি আঁচ করলেন। তার থেকে কিঞ্চিৎ কম বয়সী অন্য একটি মেয়েকে দেখে বলল,“ কি হে তারা , তুই তো হিন্দুরে, হিন্দু গলি ছেড়ে আজও আবার গীর্জায় এলি!” মেয়েটির কাঁদো কাঁদো উত্তর,“ কাউকে বলিস নারে, মাত্র তিনবার যীশু নাম করে বাইরে এসে রাম রাম করেছি। দেখ, তিনটা বিস্কুট একটা সন্দেশ।” শিশুটি তার হাত মেলে ধরল। “ তা অনেক পেলি। রাম রাম ডাকলে তো কিছুই দেয় না।”
-
গল্প
দাবা কাহিনীArup Kumar Dasঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬আমি এক সর্বময়ী শক্তিধর রাজা ,
কিন্তু আমি এগোতে পারি মাত্র একঘর ,
আমার শক্তি কিছু নেই আমায় পঙ্গু করে
রেখেছে। -
গল্প
পাপিষ্ঠ প্রেমআল্ আমীনঘৃনা, আগষ্ট ২০১৫সেই চুখা চুখি আজ সাহেন ভুলতে পারেনা। সেই দিন উর্মিতাকে যতাটা স্নিগ্ধ দেখাচ্ছিল আজ সাহানের চোখে
সেই মেয়েটি পছা দুর্গন্ধ যুক্ত একটি বস্তু -
গল্প
কলমিলতামিলন বনিকঘৃণা, সেপ্টেম্বর ২০১৬শেষ বিকেল। বেলা তিনটা বাজে।
শীতটা আগেভাগেই ঝাঁকিয়ে বসেছে। করিমন বিবি বাড়ীর পেছনের বিলে পিটটা একটু তাতিয়ে নিতে বসেছে। রোদটা ভালোই লাগছে। খোলা পিট।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
