অদৃশ্য ঘৃণ্য জীবন........

ঘৃনা (আগষ্ট ২০১৫)

এই মেঘ এই রোদ্দুর
  • ১৬
  • ১৬৮
ওরা রাস্তায়, অলিগলিতে রাত্রি যাপন করে
রাস্তায় রাস্তায় ঘুরাফেরা করেই মন ভরে
খানাপিনা সারে তারা নোংরা জায়গায় বসে
সারা দিনভর পুরো শহরটা বেড়ায় চষে।

সেদিন দেখেছি ফ্লাইওভারের নিচে আবার
জীর্ণ মলিন ছেঁড়া পোশাক পড়া কিশোরী আর
চার কিশোর নোংরা স্থানে বসে নেশায় মগ্ন...
উস্কোকুস্কো চুলের কিশোরগুলো খুবই রুগ্ন।

মুখে ছড়িয়ে আছে দারিদ্র্যের নীল কষাঘাত
গায়ে মাখানো ছোপ ছোপ ময়লা আর আঘাত
এরা মাথা আঁচড়ায় না, দাঁতও ব্রাশ করে না
কভু সাবান লাগেনা সুন্দরের ধার ধারে না।

কে কি বলে তারা শুনে না, না বুঝার ভান ধরে
সারাদিন ধরে রাস্তায় রাস্তায়ই ঘুরে ফিরে
পেটের প্রয়োজনে বুঝি উচ্চিষ্ট খাবার খায়
কখনো হাত পাতে...কখনো বা কাগজ কুঁড়ায়।

পুরো শহর ঘুরাঘুরি শেষে এরা ক্লান্ত হয়;
সন্ধ্যায় কিশোর কিশোরী একস্থানে এসে রয়
সারাদিনের রোজগার দিয়ে নেশা কিনে এরা
হাসি ঠাট্টা আর নেশায় মেতে হয় তারা সারা।

রাতের গভীরে নির্জনে এরা একসাথে শোয়;
কোন একদিন একটি কিশোরী পোয়াতি হয়
আগত বাচ্চার বাপ যে কে তা কিশোরী জানে না
বরং সে খুশি হয়..কিশোরী এ নিয়ে ভাবে না।

রোজগার বেশি হবে বাচ্চা নিয়ে পাতলে হাত
মনে মনে ভাবে বাচ্চা দিয়ে মিলবে পেটে ভাত
রাস্তা আলো করে আসে সে কিশোরীকে করে কাবু
নামহীন বাপের শীর্ণ দেহের একটি বাবু।

এদের জীবনধারা এমনতরো তিক্ত ঝাঁঝ
এরা অন্যের অধীনে থাকতে সদাই নারাজ
নেশাময় জীবনই এদের কাছে স্বর্গোদ্যান;
রাস্তার জীবনই ওদের বেঁচে থাকার ধ্যান।

এরা শিক্ষা নেয় নেশা থেকে একত্রে বসবাসে
আসক্ত হয়ে কেউ কাউকে ছাড়ে না, থাকে পাশে
পাপে সিক্ত জীবন ওদের, আমরা ঘৃণা করি
ওদের দেখে ঘৃণায় নাক সিটকে প্রাণ ভরি।

আর আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও মরি
স্বার্থের জন্য প্রিয়জনদের রক্তে স্নান করি।
ফাঁসিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করি না, স্বপ্ন বুনি না
আমরা একসাথে থেকে কেউ কাউকে চিনি না...।

আঁড়াল করে রাখি স্বার্থপর মন, আনন্দ কষ্ট
ওদের চরিত্রটা নষ্ট, আমাদের মন নষ্ট
আমরা ভদ্ররা দূরে থাকি একে অন্যের হতে
ফিরেও দেখিনা কাউকে কভু দেখা হলে পথে!

আমাদের জীবনই যেনো একটা ইলোশন
ভিতরে নোংরা মন আর বাইরে ভদ্র ভুষন
যা দেখি তা দেখি না, যা বুঝি তা ফের বুঝিও না...
কারো মনের দু:খ মন থেকে কভু খুঁজিও না।

চোখের সামনে কখনো সমুদ্র, কুহক, গ্লানি
কখনো যেনো সীমাহীন আকাশের হাতছানি..
আমরা ভেসে বেড়াই ইলোশন জগতে আর
অদৃশ্য ঘৃণ্য জীবনে ডুবে কেটে যাই সাঁতার।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
তুলি-সুমি কবিতায় ভাল লাগা রইল অনেক অনেক
জামিউর রহমান কানন খুব সুন্দর । শুভকামনা রইল
কাজী সালমা শিল্পী সুন্দর কবিতা ভাল লাগল
হুমায়ূন কবির অনেক বড় হয়েছে কবিতাটি কিন্তূ প্রতিনিয়ত এই কাহিনী গুলো ঘটছে আমাদের সমাজে, ভালো লাগলো ভোট দিয়ে গেলাম
SC Barman ভালো লাগলো .................বাস্তব সত্যি কথা
জাকিয়া জেসমিন যূথী খুব ভালো লিখেছেন, আপু। শুভকামনা ও ভোট রইলো।
অনেক ধন্যবাদ যূথী পু । সুন্দর থাকুন হামেশা
তানি হক Dhonnobad apu oder vabar jonno likhar jonno. Salam roilo.
আন্তরিক ধন্যবাদ আপি । ভাল থাকুন
আবুল বাসার অনেক শুভেচ্ছা রইল।ভাল লাগল।ভোট রেখে গেলাম।
প্রিন্স মাহমুদ হাসান ভালো লাগল। ভোট দিয়ে গেলাম।
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া :)
ক্যায়স আমাদের জীবনই যেনো একটা ইলোশন ভিতরে নোংরা মন আর বাইরে ভদ্র ভুষন যা দেখি তা দেখি না, যা বুঝি তা ফের বুঝিও না... একেবারে সত্যি কথা বলেছেন আপু । শুভেচ্ছা ও ভোট থাকল । ভালো থাকবেন সর্বদা ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ভাল থাকুন

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৫৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী