তার সাথে দেখা হল সময়ের কাঁটা বলছে প্রায় দশ বছর হয়ে গেলো। ঘড়ির কাঁটায় সময়টা হিসেব করলে দাঁড়ায় ৮৬৪০০ ঘণ্টা। এত তাড়াতাড়ি কিভাবে এতোটা সময় হারিয়ে ফেললাম??

১৯৫২ সালে বাঙালি জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তাই বোঝা যায় ভাষা কত স্পর্শকাতর বিষয় হতে পারে মানুষের কাছে! আর এই

ছোট সেলটার এককোণায় দুহাঁটুকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে গুঁটিসুটি মেরে বসে আছে রুবি। চোখে উদাস দৃষ্টি। চোখের কোণা থেকে গাল পর্যন্ত শুকিয়ে যাওয়া চোখের পানির সাদা দাগ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।

দুই সপ্তাহ পূর্বে ডাক্তার বলে দিল যা খেতে চায় খেতে দিন। সব আশাই তখন উড়ে গেল আমার পরিবারের। তাদের সঙ্গে আমিও গলা মিলিয়ে বললাম ‘হ্যাঁ তোমাদের বউ সত্যিই খুব ভাল মেয়ে ছিল।’

আমায় যখন পৃথিবী নামক ভূখণ্ডে স্লো মোশনে ল্যান্ড করানো হয় , মনে হল শক্ত কিছু পায়ের নিচে ঠেকছে । কালো কুচকুচে আঁধারে হতভম্ব আমি , বিব্রত এবং ভীত ! অনেকক্ষণ বাদে আমি আকাশ ও তারকারাজির দিকে তাকালাম।

পরন্ত বিকেল। রুপা বিষন্ন একাকী এলোচুলে জানালার গ্রিল ধরে বাহিরের স্থির দৃষ্টি মেলে পথ পানে চেয়ে আছে। মনের ভিতর এক শূন্যতা নিয়ে অনাকাঙ্খীত ভাকে কাউকে আশা করছে।

ছুড়ে ফেল্লাম ছাতা
এই বংশদণ্ড, আর এক টুকরো ত্যানা… প্রতিবন্ধ
আমার আর আকাশের সম্পর্ক
বর্ষাধারা গায়ে বসলো, হয়ে অনুভূতির রংহীন বর্ষাতি।

এই মাত্র একটি তারা ঝরে পড়লো । শান্তা একবার বলেছিল , এই সময়ে প্রেমিকার নামে প্রার্থনা করলে বিধাতা ফেরান না ।

সূর্য যেমন নিয়ম করে পূর্ব আকাশে উঠতো। ঠিক তেমনি আমিও নিয়োম করে যেতাম সেই রাস্তার ধাওে, শুধু একটি আশায় এক নজর বিন্দু কে দেখার জন্য। কিন্তু কোন লাভ নেই আমার এ দেখা শুধু চোখের দেখা।

কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের (প্রথম-বর্ষ)-এৱ ছাত্ৰী ছিল নিতু।
সারাক্ষণ হৈ-চৈ হাসি-আনন্দ উল্লাস করে সময় কাটাতে পছন্দ করত

অফিসে হঠাৎ কাজের চাপ বেড়ে গেলো। সকাল বুঝতে পারলো আজ লাঞ্চ করতে একটু দেড়ি হবে । ঠিক তাই হলো। বিকালে কাজে মন বসাতে পাছিলো না। প্রিয় মোবাইলটা হাতে নিয়ে কাকে কল করবে ভেবে পাচ্ছে না।

নারী, রহস্যময়ী! একথাটা কী প্রতিষ্ঠীত সত্য? নাকি পুরুষের মুগ্ধ হƒদয়ের প্রণয় কাতর উপহাস? মুনি ঋৃষীরা বলেছেন নারী চরিতম দেবানঃ নঃ জান্তি। অর্থাত নারীর মন বা চরিত্র দেবতারাও জানেনা।

রিয়াদ আম্মুর সাথে স্টেশনে এসেছে তার বড় আপুকে নেওয়ার জন্য ।
দুলাভাই ব্যাস্ত থাকাই খুলনা থেকে আপু একাই আসছে যশোরে ।
স্টেশনে অনেক্ষন থেকে অপেক্ষা করছে । এরই মধ্যে একটা মেয়ের সাথে তার বেশ চোখা-চোখি হয়েগেছে ,

সোনাইল গাছের আধো আলো আধো ছায়ার নীচে বসে বাহারি মানুষের আনাগোনা খুব ভালভাবে উপভোগ করছিল পড়ন্ত বেলা শেষে বৈশাখি মেলায়।